Wednesday, November 21, 2012

ই-মেইল একজনের, ব্যবহার করছে আরেকজন?

Hi, I am in trouble. Please send me some money. নিচে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়া। আপনার কোনো বন্ধুর ই-মেইল থেকে হয়তো মেইলটি এসেছে। এ রকম ই-মেইল ইদানীং অনেকের কাছেই আসে। বিশেষ করে ইয়াহু মেইলে মাঝেমধ্যে এ ধরনের মেইল আসে পরিচিত জনের কাছ থেকে। যারা বিদেশে থাকে, তাদের মেইল থেকেই এ ধরনের মেইল আসে বেশি। অনেকে মেইল পাওয়া মাত্র টাকা (ডলার) পাঠিয়ে দেয় ওই ক্রেডিট কার্ড নম্বরে। এই টাকাগুলো চলে যায় হ্যাকারের দখলে। আবার যারা জানে, তারা ই-মেইলটা পাত্তা না দিয়ে মুছে ফেলে।
হ্যাকাররা কারও কারও ই-মেইল ঠিকানা বেদখল (হ্যাক করা) করে এ ধরনের মেইল পাঠিয়ে থাকে। ক্রেডিট কার্ডের তথ্যে নিজেদের কার্ডের নম্বর দিয়ে দেয়। টাকা চলে যায় তাদের অ্যাকাউন্টে।
যারা এ ধরনের ই-মেইল প্রায়ই পায়, তারা বুঝে যায় যে কাজটি হ্যাকারের। যারা নতুন বা প্রথম এ ধরনের মেইল পায়, তারা অনেক সময় বুঝতে পারে না। টাকা পাঠিয়ে পরে বুঝতে পারে। সেই টাকা সাধারণত আর ফেরত আনা যায় না।
হ্যাকাররা প্রথমে কারও আইডি হ্যাক করে ওই আইডির ইনবক্স, সেন্ট আইটেম থেকে কিছু মেইল পড়ে বা কনটাক্ট লিস্ট থেকে কারও কারও মেইলে এ ধরনের মেইল পাঠিয়ে থাকে, যাতে পুরো মেইল বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।
প্রতিকার: কারও ই-মেইলে এ ধরনের মেইল এলে তাকে (যার আইডি থেকে এসেছে) মোবাইল ফোনে, ফেসবুকে বা অন্য কোনো মাধ্যমে জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন যে সে এই মেইলটি করেছে কি না।
হ্যাকার যদি তার অন্যান্য মাধ্যমও (ফেসবুক, অন্য ই-মেইল ঠিকানা) হ্যাক করে ফেলে, তাহলে হ্যাকারই আবার অন্য আইডি থেকে উত্তর দেবে। এ জন্য সবচেয়ে ভালো হয় মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করা বা ভয়েস চ্যাট করে জিজ্ঞেস করা। মেইল বা ফেসবুকে বার্তা দিয়ে জিজ্ঞেস করতে চাইলে মেসেজটি ইংরেজি হরফে বাংলা লিখুন। যেমন, Tumi ki taka cheye amar kache email korecho? তাহলে হ্যাকার যদি বাংলা ভাষা না জানে, তাহলে সে বুঝবে না।
হ্যাকার যদি আপনার আইডি হ্যাক করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলে, তাহলে আপনি যখন আপনার আইডিতে ঢুকতে পারবেন না, তখনই বুঝতে পারবেন আপনার আইডি হ্যাক হয়েছে। আর হ্যাকার যদি আপনার পাসওয়ার্ড জেনে যায় কিন্তু পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করে মাঝেমধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে, তাহলে কীভাবে বুঝবেন?
আপনার ই-মেইল বেদখল বা হ্যাকড হয়েছে, এটা হয়তো আপনি বুঝেছেন, কিন্তু হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড জানে? কীভাবে জানবেন যে হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড জানে কি না?
ইয়াহুর ক্ষেত্রে: প্রথমে ইয়াহু মেইলে ঢুকে (লগ-ইন) আপনার নামের ওপর ক্লিক করে Account Info নির্বাচন করুন। পাসওয়ার্ড দিতে বললে আবার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন। এখন নতুন পেজ এলে বাম পাশ থেকে Sign-In and Security-এর সবার নিচের View your recent login activity-এ ক্লিক করুন।
নতুন পেজ এলে দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত কয়েকবার কোন দেশ থেকে, কত তারিখ, কতটার সময়, ব্রাউজার না ইয়াহু মেসেঞ্জার দিয়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছে এবং তখন কী কী কাজ করা হয়েছে। ডান পাশে Location থেকে IP Address নির্বাচন করে দিলে দেখতে পাবেন কোন কোন আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে। আপনি যদি সব সময় একই কম্পিউটার থেকে লগ-ইন করে থাকেন এবং একই সংযোগদাতার ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশ একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সংযোগদাতার, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
ইয়াহু মেইলের বিভিন্ন সংস্করণ আছে। যেমন—ক্লাসিক, বেটা ইত্যাদি। তাই বিভিন্ন সংস্করণে এই অপশনগুলো বিভিন্ন জায়গায় থাকতে পারে। একটু খোঁজাখুঁজি করলেই হয়তো পেয়ে যাবেন।
হ্যাকারের হাতে আপনার ই-মেইল ঠিকানা।এখন এটি পুনরুদ্ধার করতে হবে।কীভাবে ফিরে পাবেন আপনার ই-মেইল অ্যাকাউন্ট—তা নিচে দেওয়া হলো।
ইয়াহুর ক্ষেত্রে: ইয়াহুতে ঢোকার (লগ-ইন) সময় যখন ঢুকতে পারবেন না, তখন লগ-ইনের নিচে I can’t access my account-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে I have a problem with my password নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে My Yahoo! ID-এ আপনার ই-মেইল ঠিকানা লিখে Enter the code shown বক্সে নিচে থাকা সাংকেতিক সংখ্যা বা অক্ষর লিখে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে My alternate email-এ আপনার বিকল্প ই-মেইল ঠিকানা লিখে Next-এ ক্লিক করুন। আপনার বিকল্প ই-মেইল ঠিকানায় একটি মেইল যাবে এবং সেই মেইলে একটি লিংক থাকবে। ওই লিংকে ক্লিক করলে নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে, তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল আইডি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
আপনার ই-মেইল ঠিকানায় যদি বিকল্প ই-মেইল উল্লেখ না করা থাকে বা আপনার বিকল্প ঠিকানাটাও যদি হ্যাকড হয়ে যায়, তাহলে My alternate email-এর নিচের অপশনটি Use my secret questions নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে আপনাকে দুটি প্রশ্ন করা হবে (যে প্রশ্নগুলো ই-মেইল ঠিকানা তৈরি করার সময় নির্বাচন করে দিয়েছিলেন)। 
প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিলেই নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে, তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল আইডি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
ই-মেইল অ্যাকাউন্টে অলটারনেটিভ ই-মেইল নামে একটি অপশন থাকে সেখানে আপনার অন্য এক বা একাধিক ই-মেইল ঠিকানা দিন এবং এতে মোবাইল ফোন নম্বর যোগ করুন।
যে ই-মেইল আইডি একবার হ্যাকড হয়েছে, সেটি আর ব্যবহার না করাই ভালো।কারণ, হ্যাকার ওই ই-মেইল আইডির অনেক তথ্য জেনে যায় এবং সে ইচ্ছা করলে আবারও ওই আইডি হ্যাক করতে পারে।
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, November 17, 2012

Tuesday, October 30, 2012

ফেসবুক ই-মেইল ঠিকানা বদলাতে চান?

সব ব্যবহারকারীর ফেসবুক প্রোফাইলে তাদের নিজস্ব ই-মেইল পরিচিতি বা ঠিকানা ব্যবহার করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকের ইউজারনেমই হলো ফেসবুক ই-মেইল আইডি। যাঁরা তাঁদের ফেসবুকে ইউজারনেম যুক্ত করেছিলেন, তাঁদের সেই ইউজারনেমের সঙ্গে facebook.com নাম যুক্ত করে ফেসবুক ই-মেইল পরিচিতি তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা ফেসবুকে ইউজারনেম যুক্ত করেননি, ফেসবুক নিজে থেকে তাঁদের জন্য একটা ইউজারনেম নির্বাচন করে তাঁদের প্রোফাইলে যোগ করে দিয়েছে। তাই এখন প্রায় সবার ফেসবুক প্রোফাইলেই ফেসবুক ই-মেইল আইডি আছে।
কারও যদি ফেসবুক ই-মেইল আইডিটি পছন্দ না হয়, তাহলে সেটি একবার পরিবর্তন করতে পারবেন। ফেসবুকের ইউজারনেম পরিবর্তন করলেই ফেসবুক ই-মেইল আইডি পরিবর্তন হয়ে যাবে। আর এটি করার জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশের Home থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন Username-এর ডান পাশের Edit-এ ক্লিক করে কমপক্ষে পাঁচটি বর্ণের ইউজারনেম লিখে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন আপনার ফেসবুক ই-মেইল আইডি হবে username@facebook.com.। এখন অন্যান্য ই-মেইল আইডির মতো এই ই-মেইল আইডি দিয়েও মেইল আদান-প্রদানসহ সব ধরনের কাজ করতে পারবেন। আপনার ফেসবুকের ইনবক্সে আপনার কাছে আসা ই-মেইলগুলো দেখতে পাবেন এবং সেখান থেকে কাউকে ই-মেইলও করতে পারবেন।
-মো. আমিনুর রহমান

Sunday, October 21, 2012

ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই দেখুন জিমেইল

ইন্টারনেটে কাজ করছেন। হঠাৎ কোনো কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বা ইন্টারনেটের গতি খুব ধীর হলো। কিন্তু তখনই আপনার জিমেইলে আসা ই-মেইল দেখা খুবই জরুরি। কী করবেন? জিমেইলে ‘অফলাইন মোড’ নামে একটি সুবিধা আছে, যেটা সক্রিয় করে রাখতে পারেন। তাহলে অফলাইনেও জিমেইল দেখতে পারবেন। অফলাইন মোড সক্রিয় অ্যাকটিভ করার জন্য প্রথমে ওয়েবসাইট দেখার জন্য গুগল ক্রোম সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইনস্টল করে নিতে হবে। এখন http://goo.gl/yPOg3 ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে ওপরে ডান পাশ থেকে জিমেইলে সাইনইন করুন। তারপর ওপরে ডান পাশ থেকে Add to Chrome-এ ক্লিক করুন। ছোট একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করতে বললে ইনস্টল করুন। এখন ওপরে ডান পাশ থেকে Launch App-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Allow offline mail নির্বাচন করে Continue-এ ক্লিক করুন। এখন অফলাইন মোডে আপনার জিমেইলের ইনবক্স দেখতে পাবেন। এই পেজই হলো অফলাইন মোডে জিমেইল। সম্পূর্ণ জিমেইল, অর্থাৎ ইনবক্স, আউটবক্স, সেন্ট মেইল, ড্রাফটস, ক্যালেন্ডার, ডক্স, স্প্রেডশিট ইত্যাদি দেখতে চাইলে বা সম্পাদনা করতে চাইলে ওপরে ডান পাশে Menu-তে ক্লিক করুন। কারও কাছে ই-মেইল পাঠাতে হলে Compose-এ ক্লিক করে পাঠাতে পারবেন। Compose-এ ক্লিক করে মেইলটি লিখে Send-এ ক্লিক করলে আপনার ই-মেইলটি যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আউট বক্সে থেকে যাবে। যখনই আপনার ব্রাউজার ইন্টারনেট কানেকশন পাবে, সঙ্গে সঙ্গে আপনার মেইলটি অটো চলে যাবে।
এখন থেকে আপনি ইন্টারনেটে কাজ করার সময় যদি কখনো আপনার ইন্টারনেট সংযোগ চলে যায় বা ইন্টারনেটের গতি খুব কম থাকে, তাহলে আপনার জিমেইল অটো অফলাইন মোডে চলে যাবে এবং আপনি ওপরে Menu-তে ক্লিক করে জিমেইলের সবকিছু চেক করতে পারবেন।
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, October 20, 2012

ফেসবুকে বন্ধু বানানোর অনুরোধ

ফেসবুকে বেশি বেশি বন্ধু বানাতে পারছেন না? মানে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো যাচ্ছে না? মাঝেমধ্যেই হয়তো আপনার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ফেসবুক আটকে দিচ্ছে (ব্লক করা) দিচ্ছে দুই বা পাঁচ দিনের জন্য। অপরিচিত কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোটা ফেসবুকের অপব্যবহারের (মিসইউজ) মধ্যে পড়ে। এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার ঠেকাতে ফেসবুক মাঝে মাঝে এই কাজটি করে থাকে। এমনকি অনেক সময় পরিচিত কাউকেও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে দিচ্ছে না ফেসবুক।
ফেসবুক কাজ করে তার প্রোগ্রাম মেনে। প্রোগ্রাম আবেগ বোঝে না, যুক্তি বোঝে। আপনি কারও কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে চান। এখন ফেসবুক কীভাবে বুঝবে, আপনি তার পরিচিত। এর জন্য ফেসবুক যে জিনিসগুলো যাচাই করে, তা হলো আপনার সঙ্গে তার ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ কতজন, আপনি আর তিনি একই স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন কি না, আপনারা দুজন সহকর্মী কি না ইত্যাদি। এ ছাড়া আপনার ও তাঁর নেটওয়ার্ক একই কি না, একই এলাকায় বাস করেন কি না বা একই এলাকায় আপনাদের বাড়ি কি না? এই প্রশ্নগুলো যাচাই করে ফেসবুক বুঝতে পারে, আপনি তাঁর পরিচিত কি না। তা ছাড়া আপনি যাদের কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন, তারা সবাই কি আপনাকে গ্রহণ করেছে, নাকি বেশির ভাগই আপনাকে গ্রহণ করেনি। এগুলো যাচাই করে ফেসবুক বুঝতে পারে, আপনি ফেসবুকের অপব্যবহার করছেন কি না। অপব্যবহার করলে প্রথমে দুই দিন, তারপর পাঁচ দিন আপনার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো আটকে রেখে ফেসবুক আপনাকে সতর্ক করে। আপনি তার পরও সতর্ক না হলে ১৫ দিন, এক মাস, দুই মাস ব্লক থাকবে। তার পরও আপনি সতর্ক না হলে পরে ফেসবুক অ্যাকাউন্টই নিষ্ক্রিয় (ডিজেবল) হয়ে যায়। অনেক সময় ফেসবুক আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে রাখে। তখন জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিলে তখন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আবার অ্যাকাউন্ট ছেড়ে দেয়। তাই একেবারে অপরিচিত কাইকে ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো ঠিক নয়।
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, October 6, 2012

সিডি থেকে তথ্য পুনরুদ্ধার

অনেক সময় সিডি বা ডিভিডি পুরোনো হয়ে গেলে বা বেশি বেশি চালালে সিডির ফাইলগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তখন আর সেগুলো কপি করা যায় না। আপনার অনেক দরকারি তথ্য হয়তো কোনো সিডিতে রেখেছেন, কিন্তু সেই সিডি যদি আর না খোলে বা সেই তথ্যগুলো যদি আর পড়া না যায়, তা হলে সবই শেষ। 
আপনি চাইলে ছোট একটি সফটওয়্যারের সাহায্যে সেই নষ্ট সিডির ফাইলগুলো কপি করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে www.recoverytoolbox.com/cd.html ঠিকানা থেকে মাত্র ৬৫৫ কিলোবাইটের রিকভারি টুলবক্স সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) ইনস্টল করে ওপেন করলে দেখবেন আপনার সিডি/ডিভিডি-রম ড্রাইভটি দেখা যাচ্ছে। এখন পরপর দুইবার নেক্সট-এ ক্লিক করলে দেখবেন আপনার সিডির ফাইলগুলো দেখা যাচ্ছে। এখন সবগুলো ফাইল কপি করতে চাইলে বাঁদিক থেকে সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে সেভ করুন। আবার নির্দিষ্ট কিছু ফাইল কপি করতে চাইলে বাঁদিক থেকে নির্দিষ্ট বক্সগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে সেভ-এ ক্লিক করুন। ফাইলগুলো কপি হওয়ার পর সি ড্রাইভে গিয়ে দেখবেন CDRestored ফোল্ডারের ভেতর ফাইলগুলো সেভ হয়েছে এবং সেগুলো ভালো আছে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Thursday, October 4, 2012

কি-বোর্ডের বোতাম বদলাতে চান?

অনেক সময় কি-বোর্ডের এক বা একাধিক বোতাম নষ্ট হয়ে যায়। তখন অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন, কারও ই-মেইল ঠিকানা বা পাসওয়ার্ডে যদি a থাকে এবং কি-বোর্ডের a বাটনটি যদি নষ্ট হয়ে যায়, তা হলে কি-বোর্ড থেকে a লেখা যায় না। এর একটা সমাধান হলো, কোথাও a লেখা থাকলে সেখান থেকে আপনি a কপি করে এনে এখানে পেস্ট করতে পারেন বা কম্পিউটারের অন-স্ক্রিন কি-বোর্ডটি খুলে কাজ করতে পারেন। কিন্তু এতে অনেক সময় ব্যয় হয় এবং অনেকেরই বিরক্ত লাগে।
যাঁরা এই সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের ভালোই জানা আছে, তখন কী ঝামেলা হয়। অথচ আপনি ছোট একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। অর্থাৎ আপনি শার্প-কি নামের ছোট একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে কি-বোর্ডের বোতামগুলো পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন। যেমন ধরুন, আপনার কি-বোর্ডের a বোতামটি নষ্ট। আপনি ইচ্ছা করলে কি-বোর্ডের অন্য একটি বোতামকে (যেটি সব সময় কাজে লাগে না বা যে বোতাম কি-বোর্ডে একাধিক আছে) a বোতামে রূপান্তর করতে পারেন। শার্প-কি সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে From key-এ কোনো কি চেপে (যে কি-টি ভালো আছে) এবং To kay তে নষ্ট কি-টি (নষ্ট কি যদি a হয় তা হলে a) চেপে ওকে করুন। তা হলে অন্য কি-টি a কি-তে রূপান্তরিত হবে। অর্থাৎ ওই কি-টি চেপে a লেখা যাবে।
মাত্র ২৩ কিলোবাইটের শার্প-কি সফটওয়্যারটি http://www.ziddu.com/download/13507897/sharpkeys2.zip.html ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) নিতে পারেন। 
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, October 3, 2012

জিমেইলের মেইল রাখুন অন্য কোথাও

আপনার ই-মেইল ঠিকানায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল, তথ্য ইত্যাদি আছে। কিন্তু কোনো কারণে যদি আপনার ই-মেইল ঠিকানাটি নষ্ট হয়ে যায় বা চুরি (হ্যাকড) হয়ে যায় এবং অনেক চেষ্টা করেও সেটি যদি পুনরুদ্ধার করতে না পারেন তখন আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। অথচ, আপনি চাইলেই আপনার জিমেইলের মেইলগুলো স্থানান্তর করে রাখতে পারেন, আপনার কম্পিউটারে বা অন্য কোনো জিমেইল ঠিকানায়।
ই-মেইল অন্য কোথাও রাখতে প্রথমে http://home.zcu.cz/~honzas/gmb/gmail-backup-0.107.exe ঠিকানা থেকে ৪ মেগাবাইটের জিমেইল ব্যাকআপ সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) ইনস্টল করে নিন। এখন সফটওয়্যারটি খুলে জিমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড, কোথায় সেভ করতে চান, কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত আসা মেইলরাখতে চান, লিখে ব্যাকআপ বাটনে ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। জিমেইলে ব্যাকআপ ফাইল তৈরি হয়ে যাবে।
আবার রিস্টোর করতে চাইলে একই পদ্ধতিতে সফটওয়্যারটি খুলে জিমেইল ঠিকানা (যে ঠিকানায় স্থানান্তর করতে চান), পাসওয়ার্ড, কোথায় থেকে স্থানান্তর করতে চান (হার্ডডিস্কের যে জায়গায় ব্যাকআপ রেখেছেন), কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত স্থানান্তর করতে চান লিখে রিস্টোর বাটনে ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। 
—মো. আমিনুর রহমান

Thursday, September 20, 2012

ই-মেইলে দিন নিজের পরিচয়

আপনার কাছে যখন ই-মেইল আসে, তখন দেখা যায়, অনেকের ই-মেইলের নিচে সুন্দর করে প্রেরকের নাম, পরিচয়, পেশা ইত্যাদি লেখা থাকে।
আবার আপনি কাউকে ই-মেইল করবেন, তা হলে নিউ ই-মেইল বা কম্পোজ পেজ খোলে ই-মেইল লিখে লেখার শেষে আপনার নাম-পরিচয় লেখেন। আপনি যদি প্রতিদিন অনেক ই-মেইল করেন, তা হলে প্রতিবার মেইল লেখার পর নিচে আপনার নাম-পরিচয় দিতে হয়। এতে অনেক সময় নষ্ট হয়। আপনি চাইলে আপনার ই-মেইল নিউ ই-মেইল বা কম্পোজ পেজে আগে থেকেই আপনার নাম-পরিচয় লিখে রাখতে পারেন। আপনি যতবারই ই-মেইল করেন না কেন, এই নাম-পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন। বারবার আপনি নাম-পরিচয় লেখার হাত থেকে বেঁচে যাবেন এবং এতে আপনার অনেক সময়ও সেভ হবে। একেই বলে ই-মেইল সই যোগ করা।
জি-মেইলের ক্ষেত্রে: প্রথমে জি-মেইলে ঢুকে ওপরে ডান পাশে আপনার নাম বা ই-মেইল অ্যাড্রেসের নিচে সেটিংস থেকে সেটিংস-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি https://mail.google.com/mail/u/0/?shva=1#settings/general ঠিকানায় যান। এখন নিচে সিগনেচার-এর পাশে নো সিগনেচার-এর নিচের বাটনটি নির্বাচন করুন এবং নিচের বক্সে আপনার পছন্দমত নাম-পরিচয় লিখে সবার নিচে সেভ চেঞ্জেস বাটনে ক্লিক করুন। এখন আপনার জি-মেইল কম্পোজ পেজে গিয়ে দেখুন আপনার নাম-পরিচয় লেখা দেখাবে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, September 19, 2012

নিরাপদে রাখুন জিমেইল

আপনার জিমেইলের পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনে যায়, তা হলেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এর জন্য প্রথমে জি-মেইলে লগ-ইন করে ওপরে ডান পাশে আপনার নাম বা ই-মেইল ঠিকানার পাশের অ্যারোতে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি www.google.com/settings/account?hl=en ঠিকানায় যান। এখন বাঁ পাশ থেকে সিকিউরিটি-তে ক্লিক করুন।
এখন টু-সেটআপ ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস: অফ-এর পাশে এডিট-এ ক্লিক করুন। নতুন করে আবার লগ-ইন করার পেজ এলে লগ-ইন করুন। তারপর স্টার্ট সেটআপ বাটনে ক্লিক করুন। এখন ফোন নম্বর বক্সে আপনার মোবাইল ফোন নম্বর লিখে সেন্ড কোড বাটনে ক্লিক করুন। আপনার মুঠোফোনে একটি কোড নম্বর আসবে। এটি কোড বক্সে লিখে ভেরিফাই-এ ক্লিক করুন। এখন নেক্সট-এ ক্লিক করুন। তারপর কনফার্ম-এ ক্লিক করুন।
এখন থেকে প্রত্যেকবার আপনার কম্পিউটার ছাড়া অন্য কারও কম্পিউটার থেকে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে চাইলে আপনার মুঠোফোনে একটি কোড নাম্বার আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে ভেরিফাই-এ ক্লিক করলেই আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে। আপনার ফোন নম্বর যদি হারিয়ে ফেলেন, তা হলে যেকোনো সময় আপনার কম্পিউটার থেকে জিমেইলে লগ-ইন করে ফোন নম্বর পরিবর্তন করতে পারবেন বা এই সুবিধা বাদ দিতে পারবেন। এই সুবিধা চালু করার সুবিধা হলো, আপনার জিমেইল সব সময় নিরাপদ থাকবে, কখনো হ্যাক হবে না। 
—মো. আমিনুর রহমান

Sunday, September 9, 2012

উইন্ডোজ ৭-এর সেটিংস

বর্তমান সময়ের ল্যাপটপগুলোতে উইন্ডোজ-৭ অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেওয়া থাকে। উইন্ডোজ-৭ অপারেটিং সিস্টেম এবং উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম প্রায় একই রকম। যাঁরা অনেক দিন ধরে উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করে এসেছেন, তাঁদের কাছে প্রথম প্রথম উইন্ডোজ-৭ একটু অসুবিধা হতে পারে। কারণ, উইন্ডোজ এক্সপির প্রায় সব সেটিংস উইন্ডোজ ৭-এ থাকলেও প্রথম প্রথম সেগুলো খুঁজে পাওয়া যায় না। উইন্ডোজ-৭-এ সব কমন সেটিংস একই জায়গায় পেতে হলে প্রথমে Start থেকে Control Panel-এ ক্লিক করুন। তারপর সবার ওপরে অ্যাড্রেসবারে Control Panel-এর পাশের অ্যারোতে ক্লিক করে All Control Panel Items নির্বাচন করুন। এখন উইন্ডোজ এক্সপির মতো উইন্ডোজ-৭-এর প্রায় সব সেটিংয়ের অপশনই এখানে পাবেন। এখান থেকে আপনার ইচ্ছামতো পরিবর্তন করে নিতে পারেন। 
মো. আমিনুর রহমান

Thursday, September 6, 2012

হ্যাক হবে না ফেসবুক অ্যাকাউন্ট!

আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনে যায়, তাহলেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এর জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশে Home এর পাশে অ্যারোতে ক্লিক করে Account Settings-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি www.facebook.com /settings?ref=mb ঠিকানায় যান। এখন বাঁ পাশ থেকে Security-তে ক্লিক করুন। এখন Login Approvals-এর ডান পাশ থেকে edit-এ ক্লিক করুন। তারপর Require me to enter a security code…বক্সে টিকচিহ্ন দিন। টিকচিহ্ন দেওয়ার সময় নতুন একটি বার্তা এলে Set Up Now-এ ক্লিক করুন। এখন Phone number বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর লিখে Continue তে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে। কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Submit Code বাটনে ক্লিক করে Close-এ ক্লিক করুন। (Login Notifications-এর ডান পাশ থেকে edit-এ ক্লিক করে Email এবং Text message বক্সেও টিকচিহ্ন দিয়ে Save-এ ক্লিক করে রাখতে পারেন।) এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগআউট করে পুনরায় আবার ফেসবুকে লগইন করুন।
দেখবেন Name New Device নামে একটি পেজ এসেছে। সেখানে Device name বক্সে কোনো নাম লিখে Save Device-এ ক্লিক করুন। এখন থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার ছাড়া অন্য কারও কম্পিউটার থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চাইলে আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue তে ক্লিক করলেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে। কাজেই আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড সবাই জানলেও কেউ আপনার ফেসবুকে লগইন করতে পারবে না। 
—মো. আমিনুর রহমান

কম্পিউটারের গতি বাড়ান

My Computer-এর উপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন Advanced Settings নির্বাচন করে Performance-এর নিচে Settings-এ ক্লিক করুন। এখন Customs নির্বাচন করে সবার নিচের বক্সের টিক চিহ্নটি রেখে বাকি সবগুলো তুলে দিয়ে ok করুন।

Wednesday, August 29, 2012

ফেসবুকের তথ্য কম্পিউটারে

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যদি হ্যাকড বা চুরি হয়ে যায়, কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে যাতে কোনো তথ্য না হারাতে হয়, এ জন্য ফেসবুকের তথ্যগুলো আপনার কম্পিউটারে জমা করে রাখতে পারেন। ফেসবুকের তথ্যগুলো জমা রাখার জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশে Home-এর পাশে অ্যারোতে ক্লিক করে Account Settings-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি www.facebook.com/ settings?ref=mb ঠিকানায় যান। এখন সবার নিচে Download a copy-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Start My Archive বাটনে ক্লিক করুন। আবার Start My Archive বাটনে ক্লিক করে তারপর Confirm-এ ক্লিক করুন। এখন আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের একটি ডাউনলোড কপি তৈরি হতে থাকবে। ডাউনলোড কপি তৈরি হয়ে গেলে আপনার ই-মেইল ঠিকানায় একটি মেইল যাবে। তারপর আবার Home-এর পাশে অ্যারোতে ক্লিক করে Account Settings-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ ওপেন হলে নিচে Download-এ ক্লিক করলে আপনার ফেসবুকের ব্যাকআপ প্রোফাইলটি ডাউনলোড হয়ে যাবে। ডাউনলোড সম্পন্ন হওয়ার পর জিপ ফাইলটি আনজিপ করুন।
এখন index ফাইলটি ওপেন করলে আপনি আপনার ফেসবুকের পুরো প্রোপাইল (ছবি, ওয়াল, মেসেজ, ফ্রেন্ড ইত্যাদি) দেখতে পাবেন।
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, August 28, 2012

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কি নিরাপদ?

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কি নিরাপদ? তা জানার জন্য প্রথমে http://goo.gl/J2UPB ঠিকানায় যান। সেখানে গেলেই বুঝতে পারবেন, আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বর্তমান নিরাপত্তাব্যবস্থা কতটুকু। নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য সেখানে তিনটি স্টেপ আছে। পদ্ধতি-১: এখানে একাধিক ই-মেইল আইডি যোগ করুন। তারপর Next-এ ক্লিক করুন। পদ্ধতি-২: এখানে আপনার মোবাইল নম্বর যোগ করুন। আবার Next-এ ক্লিক করুন। স্টেপ-৩: এখানে নিরাপত্তার প্রশ্ন যোগ করুন। এখন ওপরে ডান পাশে Home-এর পাশে অ্যারোতে ক্লিক করে Account Settings-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি www.facebook.com/settings?ref=mb ঠিকানায় যান। এখন বাম পাশ থেকে Security-তে ক্লিক করুন। Login notifications-এর ডানপাশ থেকে edit-এ ক্লিক করুন। এখন টেক্সবক্স দুটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন ফেসবুক লগআউট করে আবার ফেসবুকে লগইন করুন। দেখবেন Name New Device নামে একটি পেইজ এসেছে। সেখানে Device name বক্সে কোনো নাম লিখে Save Device-এ ক্লিক করুন। এখন থেকে প্রত্যেকবার আপনার ফেসবুক আইডিতে লগইন করার সময় আপনার ই-মেইল ঠিকানায় এবং মোবাইল নম্বরে একটি মেসেজ যাবে এবং তাতে লেখা থাকবে কখন, কী নাম দিয়ে, কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করা হয়েছে।
আপনি যদি এই নাম দিয়ে এই সময় প্রবেশ না করে থাকেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন। মনে রাখবেন, হ্যাকাররা প্রথমে ই-মেইল আইডি হ্যাকিং করার চেষ্টা করে। ই-মেইল আইডি হ্যাকিং করতে পারলে খুব সহজে ফেসবুক আইডিও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে। ওপরের পন্থাগুলো অবলম্বন করলে আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাকিং হলেও পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। এমনকি আপনার সব কটি ই-মেইল আইডি হ্যাকিং হলেও বা আপনার ফেসবুকের ই-মেইল আইডি পরিবর্তন করে ফেললেও মোবাইল নম্বর নিয়ে তা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। 
—মো.আমিনুর রহমান

Thursday, August 9, 2012

কম্পিউটারের গতি বাড়ান

সাধারণত বিভিন্ন কারণেই কম্পিউটারের গতি কমে যেতে পারে। প্রতিদিন বেশ কিছু সহজ কাজ করলে আপনি আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়িয়ে নিতে পারেন। কম্পিউটারের গতি বাড়াতে
Start-এ গিয়ে
Run-এ যান। এখানে
Recent লিখে Enter দিন।যা আসলে সেগুলো সব করে Delete করে দিন।একই ভাবে
%temp% লিখে যা আসবে তা Delete করে দিন।

Monday, July 30, 2012

ই-মেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

নানা কারণে অনেকেই নিজের ই-মেইল ঠিকানার পাসওয়ার্ড ভুলে যেতে পারেন। ইচ্ছে করলে ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড পুনরায় উদ্ধার করা সম্ভব। এক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি রয়েছে।
ইয়াহুর ক্ষেত্রে: ইয়াহুতে ঢোকার (লগ-ইন) সময় যখন ঢুকতে পারবেন না তখন লগইন-এর নিচে I can’t access my account-এ ক্লিক করুন। নতুন পৃষ্ঠা এলে I have a problem with my password নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। এরপর My Yahoo! ID is: এ আপনার ইয়াহু ই-মেইল ঠিকানা লিখে Type the code shown বক্সে নিচের কোডগুলো লিখে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ আসলে Send a message to my alternate email address:-এ আপনার বিকল্প ই-মেইল ঠিকানাটি লিখে Next-এ ক্লিক করুন। আপনার বিকল্প ই-মেইল ঠিকানায় একটি মেইল যাবে এবং সেই মেইলে একটি ওয়েব লিংক থাকবে। ওটায় ক্লিক করলে নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল ঠিকানা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। আপনার ই-মেইল ঠিকানায় যদি বিকল্প ই-মেইল না দেওয়া থাকে বা আপনার বিকল্প ই-মেইলের পাসওয়ার্ডও যদি ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে Send a message to my alternate email address:-এর নিচের অপশনটি Use my secret questions নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন পৃষ্ঠা এলেআপনাকে দুটি প্রশ্ন করা হবে (যে প্রশ্নগুলো ই-মেইল ঠিকানা তৈরি করার সময় নির্বাচন করে দিয়েছিলেন)। প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিলেই নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল ঠিকানা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।

জিমেইলের ক্ষেত্রে: জিমেইলে ঢোকার (লগ-ইন) সময় যখন ঢুকতে পারবেন না তখন লগ-ইন-এর নিচে Can’t access your account?-এ ক্লিক করুন। নতুন পৃষ্ঠা এলে I don’t know my password নির্বাচন করে Email address বক্সে ই-মেইল ঠিকানা লিখে Continue-তে ক্লিক করুন। এখন কোড বক্সে ওপরের কোডগুলো লিখে Continue-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ আসলে আপনার বিকল্প ই-মেইল ঠিকানার অপশনটি নির্বাচন করাই থাকবে, না থাকলে নির্বাচন করে Continue-এ ক্লিক করুন। আপনার বিকল্প ই-মেইল আইডিতে একটি মেইল যাবে এবং সেই মেইলে একটি লিংক থাকবে। ওই লিংকে ক্লিক করলে নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে। তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল আইডি রিকভার করতে পারবেন।
আপনার ই-মেইল আইডিতে যদি বিকল্প ই-মেইল না দেওয়া থাকে বা আপনার বিকল্প ই-মেইল ঠিকানার পাসওয়ার্ডও যদি ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে Answer my security question নির্বাচন করে Continue-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ আসলে আপনাকে একটি প্রশ্ন করা হবে (যে প্রশ্নটি ই-মেইল ঠিকানা তৈরি করার সময় নির্বাচন করে দিয়েছিলেন)। 
প্রশ্নটির সঠিক উত্তর দিলেই নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল আইডি রিকভার করতে পারবেন। প্রশ্নটির উত্তরও যদি ভুলে যান বা কেউ পরিবর্তন করে ফেলে তাহলে I can’t answer my security question নির্বাচন করে Continue-তে ক্লিক করুন। এখানে একটি ফরম পাবেন সেটি পূরণ করে Submit-এ ক্লিক করুন।
ফরম পূরণ করার সময় সব প্রশ্নের উত্তর সঠিক দিয়ে থাকলে ২৪ ঘণ্টা পর আপনার অন্য ই-মেইল ঠিকানায় (যেটি ফরম পূরণ করার সময় দিয়েছেন) একটি মেইল যাবে এবং সেই মেইলে একটি লিংক থাকবে। ওই লিংকে ক্লিক করলে নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল আইডি রিকভার করতে পারবেন।
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, July 28, 2012

আপনার ই-মেইল ঠিকানা কি নিরাপদ?

ই-মেইল ঠিকানা করার সময়কিছু সাধারণ নিরাপত্তামূলক প্রশ্ন পাওয়া যায়। যেমন আপনার প্রিয় লেখকের নাম, আপনার প্রথম স্কুলের নাম, আপনার প্রথম ফোন নম্বর ইত্যাদি। এগুলোর উত্তরও সাধারণত কমন হয়। যেমন আপনার প্রথম স্কুলের নাম, আপনার প্রথম ফোন নম্বর, আপনার প্রিয় লেখকের নাম ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই জানা থাকে। তা ছাড়া দু-চারজন কমন লেখকের নাম সবাই ব্যবহার করে।
আবার অনেকেই তাদের ই-মেইল, ফেসবুক ঠিকানার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন নিজের নাম, নামের প্রথম অংশ, নামের শেষ অংশ, নামের শেষে রোল নম্বর, বছর, ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নাম, মোবাইল নম্বর, abcdef, ১২৩৪৫৬ ইত্যাদি। এসব পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে ই-মেইল আইডি হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

প্রতিকার:
 নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তরে এমন উত্তর লিখবেন যাতে কেউ ধারণা করতে না পারে। যেমন আপনার প্রিয় লেখকের নাম এর উত্তরে অন্য কোনো নাম লিখতে পারেন। নামটি যত বড় হয় ততই ভালো।
 পাসওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বড় পাসওয়ার্ড লিখবেন এবং তাতে বর্ণ, সংখ্যা, ডট, কমা, ডলার সাইন ইত্যাদির মিশ্রণ থাকলে ভালো হয়। ডিকশনারিতে পাওয়া যায় এমন শব্দ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবেন না। যেমন: Education, University ইত্যাদি।
 যেসব কম্পিউটার একাধিক মানুষ ব্যবহার করে সেসব কম্পিউটারে লগইন করার সময় ব্রাউজার থেকে ‘আপনার পাসওয়ার্ড সেভ করতে চান কি না’ বার্তা আসলে No-তে ক্লিক করবেন এবং কাজ শেষে করে লগআউট করতে ভুলবেন না।
 ই-মেইল ঠিকানায়, ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অলটারনেটিভ ই-মেইল নামে একটি অপশন থাকে সেখানে আপনার অন্য একটি ই-মেইল আইডি দিন এবং মোবাইল নম্বর অপশনে মোবাইল নম্বর যোগ করুন। তাহলে কেউ যদি আপনার ই-মেইল আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তখন সঙ্গে সঙ্গে আপনার অন্য ই-মেইলে মেসেজ চলে আসবে।
তখন আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট আবার পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে দুটি ই-মেইল আইডির পাসওয়ার্ড এবং নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর একই না হয়। —মো. আমিনুর রহমান

উইন্ডোজ ৭-এ লুকানো ফাইল দেখুন

উইন্ডোজ ৭-এ লুকানো (হিডেন) ফাইল দেখতে (শো করতে) প্রথমে কম্পিউটার চালু করুন। তারপর Start-এ ক্লিক করে All Programs-এর নিচে সার্চ বক্সে Folder Options লিখুন। এন্টার করলে Folder Options খুলবে। 
এখন View-তে ক্লিক করুন এবং নিচে থেকে Show hidden files, folders or drive নির্বাচন করুন এবং Apply ক্লিক করুন। তারপর ok ক্লিক করুন। এখন কম্পিউটারে হিডেন ফাইল দেখা যাবে।

Thursday, July 26, 2012

আউটসোর্সিং: পিএসডি থেকে এইচটিএমএল কনভার্ট করুন

যাঁরা আউটসোর্সিংয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে চান, তাঁরা শুরু করতে পারেন পিএসডি টু এইচটিএমএল কনভার্ট কাজ দিয়ে। এ ধরনের কাজের জন্য আপনার এইচটিএমএল, সিএসএস ও ফটোশপ সম্পর্কে ধারণা থাকলেই চলবে। যাঁরা এইচটিএমএল, সিএসএস জানেন না, তবে শিখতে চান এবং শেখার পর কাজ শুরু করতে চান, তারা www.w3schools.com/html/default.asp ঠিকানা থেকে এইচটিএমএল এবং www.w3schools.com/css/default.asp ঠিকানা থেকে সিএসএস শিখতে পারেন। এই সাইটে আপনি প্র্যাকটিস করারও সুযোগ পাবেন। এইচটিএমএল এবং সিএসএস শেখার পর http://goo.gl/GHqVF ঠিকানা থেকে দেখে নিতে পারেন, কীভাবে পিএসডি ইমেজ বা টেম্পপ্লেটকে ফটোশপ দিয়ে কেটে এইচটিএমএলে কনভার্ট করা হয়। এই ঠিকানায় ২০টিরও বেশি টিউটোরিয়াল দেওয়া আছে। এগুলো দেখে যেভাবে আপনার কাছে সহজ মনে হয়, সেভাবে আপনি করতে পারেন। এই কাজগুলো শিখে কোনো আউটসোর্সিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে পিএসডি টু এইচটিএমএল কনভার্ট লিখে সার্চ দিলেই অনেক কাজ পাবেন। সেই কাজগুলো পড়ে আপনার পছন্দমতো আবেদন করুন।
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, July 24, 2012

কম্পিউটারের গতি বাড়ান

 Start থেকে Control Panel-এ যান। Automatic Updates-এ ডবল ক্লিক করুন। Turn off Automatic Updates নির্বাচন করে ok তে ক্লিক করুন।
 My Computer-এর উপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন Advanced নির্বাচন করে নিচে ডান পাশে Error Reporting-এ ক্লিক করুন। Disable নির্বাচন করে ok করুন।
 My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন System Restore-এ ক্লিক করে Turn off System Restore on all drives-এ টিক চিহ্ন দিয়ে ok তে ক্লিক করুন। নতুন একটি উইন্ডো আসলে সেটির yes-এ ক্লিক করুন।

Sunday, July 22, 2012

কম্পিউটারের গতি বাড়ান

My Computer-এর উপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন Advanced Settings নির্বাচন করে Performance-এর নিচে Settings-এ ক্লিক করুন। এখন Customs নির্বাচন করে সবার নিচের বক্সের টিক চিহ্নটি রেখে বাকি সবগুলো তুলে দিয়ে ok করুন।

Wednesday, July 18, 2012

কম্পিউটারের গতি বাড়ান

কম্পিউটারের গতি বাড়াতে My Computer ওপেন করে সি ড্রাইভের উপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। তারপর Disk Cleanup-এ ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। নতুন উইন্ডো আসলে বাম পাশের সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে ok করুন। এভাবে প্রত্যেকটি ড্রাইভ ক্লিন করতে পারেন।

Saturday, July 14, 2012

কম্পিউটারের গতি বাড়ান

কম্পিউটারের Start থেকে Run এ ক্লিক করে msconfig লিখে ok করুন। এখন ডান পাশের Services এ ক্লিক করুন। যে প্রোগ্রামগুলো সবসময় কাজে লাগে না সেগুলোর বাম পাশ থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন।
এখন Startup এ ক্লিক করে বাম পাশের সবগুলো টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে ok করুন। Restart চাইলে Restart দিন।

Monday, July 9, 2012

আপনার ই-মেইলের পাসওয়ার্ড কেউ জানে?

গতকালের পর
ইয়াহুর ক্ষেত্রে: প্রথমে ইয়াহু মেইলে লগইন করে আপনার নামের ওপর ক্লিক করে Account Information নির্বাচন করুন। পাসওয়ার্ড দিতে বললে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। এখন নতুন পেইজ এলে বাঁ পাশ থেকে Sign-In and Security এর সবার নিচের View your recent login activity-তে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত ১০ বার কোন দেশ থেকে, কত তারিখ, কতটার সময়, ব্রাউজার না ইয়াহু মেসেঞ্জার দিয়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছে এবং তখন কী কী কাজ করা হয়েছে। ডান পাশে Location থেকে IP Address নির্বাচন করে দিলে দেখতে পাবেন কোন কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে। এবং নিচে View More-এ ক্লিক করলে গত ২০ বার কোন কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে, তা-ও দেখতে পাবেন। আপনি যদি সব সময় একই কম্পিউটার থেকে লগইন করে থাকেন এবং একই কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশের ঠিকানা একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সার্ভিস প্রোভাইডারের, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। ইয়াহু মেইলের বিভিন্ন ভার্সন আছে যেমন ক্ল্যাসিক, বিটা ইত্যাদি। তাই বিভিন্ন ভার্সনে এই অপশনগুলো বিভিন্ন জায়গায় থাকতে পারে।
—মো. আমিনুর রহমান

Sunday, July 8, 2012

আপনার ই-মেইলের পাসওয়ার্ড কেউ জানে?

আপনার মেইলের পাসওয়ার্ড কেউ হয়তো জেনে গেছে এবং সে মাঝেমধ্যে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করে। অথবা আপনার মেইল ঠিকানাটি হ্যাকিং হয়ে গিয়েছিল, কোনোভাবে হয়তো পুনরায় উদ্ধার করতে পেরেছেন। এখন কীভাবে জানবেন কে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করেছিল অর্থাৎ কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করা হয়েছিল?
জিমেইলের ক্ষেত্রে: প্রথমে জিমেইল ঠিকানায় লগইন করে সবার নিচে Last account activity এর ডান পাশে Details-এ ক্লিক করুন। নতুন একটি পেইজ আসবে।
সেখানে আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত ১০ বার কখন, কত তারিখ, কোন আইপি ঠিকানা (দেশের নামসহ) থেকে আপনার জিমেইলে প্রবেশ করা হয়েছে, সবগুলোর তালিকা আসবে। আপনি যদি সব সময় একই কম্পিউটার থেকে লগইন করে থাকেন এবং একই কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশের ঠিকানা একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন।
তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সার্ভিস প্রোভাইডারের, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, July 7, 2012

কম্পিউটারের গতি বাড়ান

কম্পিউটার অনেক কারণে ধীরগতির হয়ে যায়। এ জন্য কিছু টিপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটারের গতি বাড়ানো যাবে—
 শুধুমাত্র আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করুন। যে সফটওয়্যারগুলো সবসময় কাজে লাগে না সেগুলো কাজ শেষ করে আবার আন-ইনস্টল করে দিন।
 হার্ডডিস্কের ১৫ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রাখলে এবং নিয়মিত ডিফ্রাগমেন্ট করলে কম্পিউটার অনেক দ্রুত হয়। হার্ডডিস্কের ফাঁকা স্থানের পরিমাণ যত বেশি থাকে ততই ভাল।
 সফটওয়্যার ইনস্টল করে ব্যবহার করার চেয়ে বহনযোগ্য (পোর্টাবল) সফটওয়্যার ব্যবহার করলে কম্পিউটারের গতি বেশি থাকে।
 ডেস্কটপে যত কম আইকন রাখা যায় ততই ভাল। ডেস্কটপে বেশি আইকন বা ফাইল থাকলে কম্পিউটার ধীর গতির হয়ে যায়।
 কম্পিউটারে থিম ইনস্টল না করাই ভালো। থিম কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়।
 কম্পিউটারে Animated Wallpaper, Voice Clock ইত্যাদি ইনস্টল করবেন না। এগুলো কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়।
 Recycle bin সব সময় ফাঁকা রাখুন। Recycle bin-এ ফাইল রাখলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়।
 Start থেকে Run এ ক্লিক করে এক এক করে Prefetch, temp, %temp%, cookies, recent লিখে ok করুন। ফোল্ডারগুলো ওপেন হলে সবগুলো ফাইল মুছে ফেলুন (ডিলিট)। 
কোন ফাইল ডিলিট না হলে সেটি বাদ দিয়ে বাকিগুলো ডিলিট করুন।
—মো. আমিনুর রহমান

Thursday, July 5, 2012

ভাইরাসে লুকানো পেনড্রাইভের ফাইল উদ্ধার

অনেক সময় দেখা যায়, পেনড্রাইভে ভাইরাসের আক্রমণের ফলে পেনড্রাইভের ফাইল আর দেখা যায় না। কিন্তু ফাইলগুলো পেনড্রাইভের জায়গা দখল করে রাখে। সেই লুকানো ফাইলগুলো দেখার জন্য প্রথমে My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন System Restore-এ ক্লিক করে Turn off System Restore on all drives-এ টিক চিহ্ন দিয়ে ok ক্লিক করুন। নতুন একটি উইন্ডো এলে সেটির yes-এ ক্লিক করুন। এখন My Computer-এর মেনুবারের Tools থেকে Folder options নির্বাচন করে View-তে ক্লিক করুন। এখন Show hidden files and folders-এ টিক চিহ্ন দিন এবং Hide extensions. ও Hide protected.. বক্স থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে ok করুন। এখন দেখবেন পেনড্রাইভে আপনার ফাইল, ফোল্ডারগুলো লুকায়িত (হিডেন) অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। এই পদ্ধতিটি উইন্ডোজ এক্সপির জন্য বলা হয়েছে।
পেনড্রাইভে করে কোনো ফাইল বা ফোল্ডার অন্য কোনো কম্পিউটারে নিতে চাইলে সেগুলো জিপ করে নেবেন। জিপ করা ফাইল বা ফোল্ডারে ভাইরাস আক্রমণ করে না। কোনো ফাইল বা ফোল্ডার জিপ করতে চাইলে সেটিতে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Send to Compressed (Zipped)-এ ক্লিক করুন। দেখবেন জিপ হয়ে গেছে। আবার আনজিপ করতে চাইলে সেটিতে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Extract All-এ ক্লিক করে পরপর দুইবার Next-এ ক্লিক করে দেখবেন আনজিপ হয়ে গেছে।
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, July 4, 2012

পেনড্রাইভ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী পেনড্রাইভ। ডাটা স্থানান্তরের জন্য যখন কম্পিউটারে পেনড্রাইভ লাগানো হয় তখন অনেক সময় পেনড্রাইভ অটো ওপেন হয়ে যায় এবং পেনড্রাইভে ভাইরাস থাকলে তা কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে। পেনড্রাইভের অটোরান বন্ধ করে দিলে এবং পেনড্রাইভ না খুলে টাস্কবারের নেভিগেটর থেকে বা ফোল্ডার অপশনের মাধ্যমে পেনড্রাইভ ব্যবহার করলে, কম্পিউটারে ভাইরাস তুলনামূলকভাবে কম ছড়াবে।
পেনড্রাইভের অটোরান বন্ধ করার জন্য প্রথমে Start মেনু থেকে Run-এ ক্লিক করে gpedit.msc লিখে ok-তে ক্লিক করুন। যে উইন্ডোটি আসবে সেটিতে User configuration-এর বাম পাশের (+) এ ক্লিক করে Administrative Templates-এর বাম পাশের (+) এ ক্লিক করুন। তারপর System-এ ক্লিক করলে দেখবেন ডান পাশের উইন্ডোতে Turn off Autoplay নামে একটি লেখা এসেছে। সেটিতে ডবল ক্লিক করে Enable নির্বাচন করে Turn off Autoplay on অংশে All drives নির্বাচন করে ok করে বেরিয়ে আসুন।
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, June 27, 2012

ই-মেইলের পাসওয়ার্ড কি অন্য কেউ জানে?

আপনার মেইলের পাসওয়ার্ড কেউ হয়তো জেনে গেছে এবং সে মাঝেমধ্যে আপনার মেইল খোলে। আবার হয়তো আপনার মেইল ঠিকানা হ্যাকড হয়ে গিয়েছিল, কোনোভাবে হয়তো পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন। কিন্তু এখন কীভাবে জানবেন কে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করেছিল অর্থাৎ কোন আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা থেকে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করা হয়েছিল?
জিমেইলের ক্ষেত্রে: প্রথমে জিমেইল ঠিকানায় লগইন করে সবার নিচে Last account activity-এর ডান পাশে Details-এ ক্লিক করুন। নতুন একটি পৃষ্ঠা আসবে। সেখানে আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত ১০ বার কখন, কত তারিখ, কোন আইপি ঠিকানা (দেশের নামসহ) থেকে আপনার জিমেইলে প্রবেশ করা হয়েছে, সবগুলোর তালিকা আসবে। আপনি যদি সবসময় একই কম্পিউটার থেকে লগইন করে থাকেন এবং একই সংযোগদাতার ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশের ঠিকানা একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সট বক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সংযোগদাতা প্রোভাইডারের, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।

ইয়াহুর ক্ষেত্রে: প্রথমে ইয়াহু মেইলে লগইন করে আপনার নামের ওপর ক্লিক করে Account Information নির্বাচন করুন। পাসওয়ার্ড দিতে বললে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। এখন নতুন পেইজ এলে বাঁ পাশ থেকে Sign-In and Security-এর সবার নিচের View your recent login activity-তে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত ১০ বার কোন দেশ থেকে, কত তারিখ, কতটার সময়, ব্রাউজার না ইয়াহু মেসেঞ্জার দিয়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছে এবং তখন কী কী কাজ করা হয়েছে। ডান পাশে Location থেকে IP Address নির্বাচন করে দিলে দেখতে পাবেন কোন কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে। এবং নিচে View More-এ ক্লিক করলে গত ২০ বার কোন কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে, তা-ও দেখতে পাবেন। আপনি যদি সবসময় একই কম্পিউটার থেকে লগইন করে থাকেন এবং একই কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশের ঠিকানা একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সট বক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোনো সার্ভিস প্রোভাইডারের, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
ইয়াহু মেইলের বিভিন্ন সংষ্করণ আছে যেমন ক্ল্যাসিক, বিটা ইত্যাদি। তাই বিভিন্ন ভার্সনে এই অপশনগুলো বিভিন্ন জায়গায় থাকতে পারে। একটু খোঁজাখুঁজি করলেই হয়তো পেয়ে যাবেন।
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, June 26, 2012

পেনড্রাইভ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য অনেকক্ষেত্রেই দায়ী পেনড্রাইভ। তথ্য বা ডেটা স্থানান্তরের জন্য যখন কম্পিউটারে পেনড্রাইভ লাগানো হয় তখন অনেক সময় পেনড্রাইভ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু (অটোরান) হয়ে যায় এবং পেনড্রাইভে ভাইরাস থাকলে তা কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা যদি পেনড্রাইভের অটোরান বন্ধ করে দিই এবং পেনড্রাইভ না খুলে টাস্কবারের নেভিগেটর থেকে বা ফোল্ডার অপশনের মাধ্যমে পেনড্রাইভ ব্যবহার করি, তাহলে কম্পিউটারে ভাইরাস তুলনামূলকভাবে কম ছড়াবে।
টাস্কবার থেকে নেভিগেটর করে পেনড্রাইভ ব্যবহার করার জন্য প্রথমে টাস্কবারে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Toolbars থেকে New Toolbar-এ যান। সেখান থেকে My computer নির্বাচন করে ok-তে ক্লিক করুন। দেখবেন টাস্কবারে My computer-এর একটি লিংক এসেছে। এখন কোনো ফোল্ডার বা ফাইলে যেতে চাইলে বা কোনো কিছু ওপেন, কপি, কাট, পেস্ট, ডিলিট করতে চাইলে সেই লিংকের মাধ্যমে গিয়ে ফাইলে ডান বাটনে ক্লিক করে করবেন।
পেনড্রাইভ কখনো ডবল ক্লিক করে খুলবেন না। অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্কেন করে ফোল্ডার অপশনের সাহায্যে বা মাই কম্পিউটার ওপেন করে অ্যাড্রেসবারের পপ-আপ মেনুতে ক্লিক করে পেনড্রাইভ নির্বাচন করে খুলুন এবং অ্যান্টিভাইরাসের অটো প্রটেকটেড অপশনটি চালু করে রাখুন। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, June 23, 2012

ফেসবুকের টাইমলাইন বাদ দিন!

ফেসবুক বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুক টাইমলাইন নামে নতুন একটি ফিচার যোগ করেছে। অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইলে ফেসবুক টাইমলাইন-সুবিধা যুক্ত করেছেন। এটির অনেক সুবিধাও আছে।
তবে যাঁদের কম্পিউটারে ইন্টারনেটের গতি কম, তাঁদের জন্য এটি অনেক ঝামেলার মনে হয়। কারও প্রোপাইলের অনেক আগের তথ্য দেখতে চাইলে বারবার শুধু ইন্টারনেট ব্রাউজার হ্যাং করে। অনেকেই আবার না বুঝে ফেসবুক টাইমলাইন যুক্ত করে ফেঁসে গেছেন। এখন আর এটি বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। প্রোপাইল থেকে টাইমলাইন বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ ফেসবুক দিচ্ছে না। তবে আপনি চাইলে আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের সঙ্গে কয়েক কিলোবাইটের ছোট একটি সফটওয়্যার যুক্ত করে এটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য প্রথমে www.timelineremove.com ঠিকানায় গিয়ে ওই পেইজের মাঝখানের ডান পাশে click here বাটনে ক্লিক করুন। কয়েক কিলোবাইটের ছোট একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড হয়ে ইনস্টল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে। তারপর Install-এ ক্লিক করলেই সফটওয়্যারটি আপনার ব্রাউজারে ইনস্টল হয়ে যাবে।
এখন থেকে এই ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক টাইমলাইন অ্যাকটিভ করা প্রোপাইল বা ফ্যান পেইজগুলো দেখলে সেগুলো ফেসবুকের আগের সেটিংসের মতো দেখাবে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, June 9, 2012

আউটসোর্সিং : ফেসবুক থেকে আয় করুন

বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে যতক্ষণ সময় থাকেন, তার অনেকটাই কাটান ফেসবুকে। অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের ব্যবসায়িক পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয় ফেসবুকে। ফেসবুকে এখন ওয়েবসাইটের মতো করে ফেসবুক ফ্যান পেজ তৈরি করা যায়। এতে ভিডিও, ছবি, ওয়েব ঠিকানাসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করা যায়। যখন ব্যবহারকারী এ পেজগুলোতে লাইক দেন, তখন এই পেজগুলো ফেসবুক ওয়ালে দেখা যায়। যখনই এই পেজে কোনো কিছু পোস্ট করা হয়, তখনই এ পেজগুলো ফেসবুক ওয়ালে ব্যবহারকারীদের নজরে আসে। এতে এই পেজে থাকা বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন হয়। এতে পণ্যের বিজ্ঞাপন যেমন হয়, তেমনি ওয়েবসাইটের ভিজিটরও বেড়ে যায়। ফেসবুকে ফ্যান পেজ বিনা মূল্যে তৈরি করা যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ফেসবুক ফ্যান পেজের জন্য ফেসবুক লাইক কেনে। মানে, বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে তাদের ফ্যান পেজে অনেক ফেসবুক লাইক কালেক্ট করে দিতে হয়। এতে অল্প সময়ে অল্প ব্যয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রচারও ভালো হয়। আর ফ্রিল্যান্সাররাও এজাতীয় অনেক কাজ পেয়ে থাকেন। এসব কাজ করার জন্য তেমন দক্ষতারও প্রয়োজন হয় না। শুধু ফেসবুক সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকলেই চলে। আপনার ফেসবুক ওয়ালে এই ফ্যান পেজগুলো পোস্ট করলেন লাইক দেওয়ার জন্য, বন্ধুদের আমন্ত্রণ করলেন, বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করলেন লাইক দেওয়ার জন্য—এতেই হয়ে যায়।
ফেসবুক-সম্পর্কিত যে কাজ/জবগুলো আউটসোর্সিং সাইটে পাওয়া যায়, সেগুলো হলো কাউকে (কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য) ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া, ফ্যান পেজ তৈরি করে দেওয়া, ফেসবুক লাইক কালেক্ট করে দেওয়া, ফেসবুকে ভোট দেওয়া, ভোট কালেক্ট করে দেওয়া ইত্যাদি। কোনো আউটসোর্সিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেসবুক লিখে সার্চ দিলেই এই জবগুলো দেখতে পাবেন। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, May 26, 2012

ওয়েবসাইট ব্লক করতে চান?

আপনার বাসার বা অফিসের কম্পিউটার হয়তো অনেকেই ব্যবহার করেন। কাজের সময়ও হয়তো অনেকে ফেসবুক বা অন্য কোনো সাইটে অনেক সময় ব্যয় করেন। তাছাড়া পর্নো সাইটগুলো সব সময় শিশুদের কাছ থেকে দূরে রাখতে হয়। আপনি ওয়েব ব্রাউজারের History-তে ক্লিক করেই দেখতে পারেন বাসার বা অফিসের অন্যরা কোন সাইটগুলোতে ভিজিট করেন।
প্রয়োজনে অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্লক করার প্রয়োজন হয়। আপনি ইচ্ছা করলে খুব সহজেই আপনার কম্পিউটারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্লক করে রাখতে পারেন। তাহলে আর এই কম্পিউটার দিয়ে ওই সাইটগুলোতে কেউ ভিজিট করতে পারবে না। ওয়েবসাইট সাধারণত দুই ভাবে ব্লক করা হয়ে থাকে। ১. আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে ২. কম্পিউটার থেকে। আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে কোনো ওয়েবসাইট ব্লক করলে আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করলেই ওই সাইটে প্রবেশ করা যায়। কম্পিউটার থেকে কোনো ওয়েবসাইট ব্লক করার জন্য প্রথমে C:/windowsystem32/drivers/etc\ ঠিকানায় গিয়ে hosts ফাইলে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে open-এ ক্লিক করুন। এখন Notepad নির্বাচন করে ok-তে ক্লিক করুন। hosts ফাইলটি ওপেন হলে দেখবেন শেষ লাইনে 127.0.0.1 localhost লেখা আছে। এখন যে ওয়েবসাইটটি ব্লক করতে চান তার ঠিকানা 127.0.0.1 localhost-এর পরের লাইনে লিখুন। যেমন, আপনি যদি www.facebook.com সাইটটি ব্লক করতে চান তাহলে 127.0.0.1 localhost-এর পরের লাইনে লিখুন 127.0.0.1 www.facebook.com। এখন hosts ফাইলটি সেভ করুন। এখন থেকে আপনার কম্পিউটার দিয়ে আর ফেসবুক ওপেন হবে না। একইভাবে আপনি একাধিক ওয়েবসাইটও ব্লক করতে পারবেন। আবার আনব্লক করতে চাইলে একইভাবে 127.0.0.1 localhost-এর পরের লাইনগুলো ডিলিট করে দিয়ে সেভ করুন।
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, May 23, 2012

ই-মেইলটি কোন আইপি ঠিকানা থেকে এসেছে?

আপনার ই-মেইল ঠিকানায় একটি মেইল এসেছে। কীভাবে জানবেন সেটি কোথা থেকে এসেছে, মানে কোন আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা থেকে এসেছে?
ইয়াহুর ক্ষেত্রে: ইয়াহুর ক্লাসিক সংস্করণের ক্ষেত্রে মেইলে ক্লিক করে সবার নিচে ডান দিকে Full Headers-এ ক্লিক করুন। আর নতুন সংস্করণের ক্ষেত্রে মেইলের বিষয়ের ডান ক্লিক করে সবার নিচে View Full Header অপশনটিতে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে নিচের দিকে দেখবেন লেখা আছে Received: from []. এই আইপি ঠিকানাটিই হলো সেন্ডারের আইপি ঠিকানা।
জিমেইলের ক্ষেত্রে: ইনবক্সের কোনো একটি ই-মেইল ওপেন করে ডান পাশের Reply-এর পাশের অ্যারোতে ক্লিক করে Show Original-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে নিচের দিকে দেখবেন লেখা আছে Received: from []. এই আইপি ঠিকানাটিই হলো সেন্ডারের আইপি ঠিকানা।
এখন ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে http://www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সট বক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন ইন্টারনেট সেবাদাতার, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি।
ওপরের পদ্ধতি অনুসারে আইপি ঠিকানা খুঁজতে সমস্যা হলে ইয়াহু থেকে Full Header পেইজের লেখাগুলো কপি করে বা জিমেইল থেকে Show Original পেইজের লেখাগুলো কপি করে http://www.ip-adress.com/trace_email/ ঠিকানায় গিয়ে To Trace An Email বক্সে পেস্ট করে Trace Email Sender বাটনে ক্লিক করে বিস্তারিত জানতে পারবেন। একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
—মো. আমিনুর রহমান

Monday, May 21, 2012

একইসঙ্গে পিডিএফ ফাইল পড়া ও লেখা

সাধারণত পিডিএফ রিডার সফটওয়্যার দিয়ে পিডিএফ ফাইল শুধু পড়া যায়, কিন্তু লেখা যায় না। তার জন্য আলাদা পিডিএফ রাইটার দরকার। তা ছাড়া এই সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করলে কম্পিউটারে অনেক জায়গা দখল করে রাখে, কম্পিউটার অনেক স্লো হয়ে যায়। আর পিডিএফ ফাইল খুলতেও অনেক সময় লাগে। একটি সফটওয়্যার দিয়ে যদি একই সঙ্গে পিডিএফ ফাইল পড়া ও লেখা যায়, তাহলে অনেক সুবিধা হয়। তেমনি একটি সফটওয়্যার হলো নাইট্রো রিডার (NitroReader)। এটি দিয়ে একই সঙ্গে পড়াও যায় এবং লেখাও যায়। এবং এটি ইনস্টল করলে তুলনামূলকভাবে কম জায়গা দখল করে এবং কম্পিউটারও কম স্লো হয়। এটিতে এডোবি পিডিএফ রিডার সফটওয়্যারের সব সুবিধা তো আছেই, তার বাইরেও করতে পারবেন: নিজের স্বাক্ষর ব্যবহার করা, পিডিএফ ফাইল থেকে লেখা বা ছবি আলাদা করা, পিডিএফ ফরম তৈরি করা এবং সম্পাদনা করা, পিডিএফ ফাইলের যেকোনো স্থানে এডিট করা, বিভিন্ন স্থানে মন্তব্য করা, মন্তব্যের উত্তর দেওয়া, পাসওয়ার্ড দেওয়া, ৩০০-এর বেশি ফাইল ফরম্যাট থেকে পিডিএফ ফাইল তৈরি করা, পিডিএফ ফাইল থেকে একাধিক ফাইল ফরম্যাটে রূপান্তর করাসহ আরও অনেক কিছু। নাইট্রো পিডিএফ রিডার সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করতে পারেন www.nitroreader.com/download ঠিকানা থেকে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, May 19, 2012

কি-বোর্ডের বোতাম নষ্ট হয়ে গেছে?

অনেক সময় কি-বোর্ডের এক বা একাধিক বোতাম নষ্ট হয়ে যায়। তখন অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন, কারও ই-মেইল আইডি বা পাসওয়ার্ডে যদি a থাকে এবং কি-বোর্ডের a যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কি-বোর্ড থেকে a লেখা যায় না। তখন অনেক সমস্যা হয়। এর একটা সমাধান হলো কোথাও a লেখা থাকলে সেখান থেকে আপনি a-কে কপি করে এনে এখানে পেস্ট করতে পারেন বা কম্পিউটারের অন-স্ক্রিন কি-বোর্ডটি খুলে কাজ করতে পারেন। কিন্তু এতে অনেক সময় ব্যয় হয় এবং অনেক বিরক্ত লাগে। যাঁরা এই সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের ভালোই জানা আছে তখন কী ঝামেলা হয়। আপনি ছোট একটি সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। অর্থাৎ আপনি শার্প-কি নামের সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে কি-বোর্ডের বাটনগুলো পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন। যেমন ধরুন, আপনার কি-বোর্ডের a নষ্ট। আপনি ইচ্ছা করলে কি-বোর্ডের অন্য একটি বাটনকে (যে বাটনটি সব সময় কাজে লাগে না বা যে বাটন কি-বোর্ডে একাধিক আছে) a বোতামে রূপান্তর করতে পারেন। মাত্র ২৩ কিলোবাইটের শার্প-কি সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে From key-তে কোন কি চেপে (যে কি-টি ভালো আছে) এবং To kay-তে নষ্ট কি-টি (নষ্ট কি যদি a হয় তাহলে a) চেপে ওকে করুন। তাহলে অন্য কি-টি a কি-তে রূপান্তরিত হবে। অর্থাৎ ওই কি-টি চেপে a লেখা যাবে। মাত্র ২৩ কিলোবাইটের শার্প-কি সফ্টওয়্যারটি www.ziddu.com/download/13507897/sharpkeys2.zip.html ঠিকানা থেকে বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) নিতে পারেন। —মো. আমিনুর রহমান

Thursday, May 17, 2012

বাংলা বানানের ভুল ধরবে ফায়ারফক্স

ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার মজিলা ফায়ারফক্সে একটি বাংলা অভিধান রয়েছে। সেটি সক্রিয় করে বাংলা লিখলে লেখার সময় বানানে ভুল হলে সতর্ক করা হয়। ভুল বানানের নিচে লাল দাগ পড়ে। এ সুবিধা পেতে হলে প্রথমে https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/ addon/bengali-bangladesh-dictionary ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে Add to Firefox-এ ক্লিক করতে হবে। নতুন উইন্ডো এলে Install now-এ ক্লিক করুন। একটি ফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যুক্ত হবে। এরপর Restart Firefox-এ ক্লিক করুন। ফয়ারফক্স বন্ধ হয়ে আবার খুলবে। এখন ফায়ারফক্স দিয়ে কোনো কিছু যেমন ওয়েবসাইট, ব্লগ, মেইল ইত্যাদি খুলে লেখার স্থানে কোনো কিছু বাংলায় লিখে ডানে ক্লিক করে Language থেকে Bangla (Bangladesh) নির্বাচন করুন। এরপর কোনো কিছু লিখলে দেখবেন ভুল বানানের নিচে লাল কালির দাগ পড়েছে। এ অ্যাড-অনটি ফায়ারফক্সের সব ভার্সনে কাজ না-ও করতে পারে। অ্যাড-অনটি ডাউনলোড করার আগে ওই পেজের নিচে থেকে দেখে নেবেন আপনার ব্রাউজারটি এ অ্যাড-অনটি সমর্থন করবে কি না। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, May 12, 2012

ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড

ইদানীং ফেসবুকে অনেক ভিডিও শেয়ার করা হয়। ফ্লাশ পেয়ার ইনস্টল করা থাকলে বা গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করলে সেগুলো সরাসরি ফেসবুকেই দেখা যায়। কিন্তু যাঁদের কম্পিউটারে ইন্টারনেটের গতি কম, তাঁরা সহজে ভিডিও দেখতে পারেন না। আবার অনেকে অনেক ভিডিও ডাউনলোড করে রাখতে চান। কিন্তু ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করার সরাসরি কোনো লিংক না থাকায় তা করতে অনেক সমস্যা হয়। সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করতে চাইলে প্রথমে ফেসবুকের ভিডিওর ঠিকানাটি (লিংক) কপি করে www.facebookvideodown.com ঠিকানায় গিয়ে পেস্ট করে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলেই ফেসবুকের ভিডিওটি ডাউনলোড হয়ে যাবে।
—মো. আমিনুর রহমান

Thursday, May 10, 2012

সহজে ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড

ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করার সরাসরি কোনো লিংক না থাকায় ভিডিও ডাউনলোড করতে অনেক সমস্যা হয়। মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজারের সঙ্গে কয়েক কিলোবাইটের ছোট একটি সফটওয়্যার যোগ করে খুব সহজেই ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করা যায়। এর জন্য প্রথমে https://addons.mozilla.org/en-US/ firefox/addon/1-click-youtube-video-download/ ঠিকানায় গিয়ে Add to Firefox বাটনে ক্লিক করুন। নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হলে সেখান থেকে Install Now-এ ক্লিক করলে কয়েক কিলোবাইটের একটি সফটওয়্যার ইনস্টল হবে। তারপর Restart Firefox বাটনে ক্লিক করলে মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজারটি বন্ধ হয়ে আবার ওপেন হবে। এখন ইউটিউবের যে ভিডিওটি ডাউনলোড করতে চান মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার দিয়ে সেটি ওপেন করলে ভিডিওটির নিচে FLV, 3GP, MP4 ইত্যাদি লেখা দেখা যাবে। সেখান থেকে যে লেখাটির ওপর ক্লিক করবেন ইউটিউবের ভিডিওটি সেই ফরমেটেই আপনার কম্পিউটারের ডাউনলোড হবে।
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, May 8, 2012

অপারেটিং সিস্টেম ঠিকভাবে কাজ করছে না?

অনেক সময় Control panel-এর Add or Remove Programs থেকে কোনো সফটওয়্যার Uninstall করার সময় বা ভুলবশত সি ড্রাইভ থেকে যদি অপারেটিং সিস্টেমের দরকারি কোনো ফাইল ডিলিট হয়ে যায়, তাহলে কম্পিউটার ঠিকভাবে কাজ করে না বা অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল মিসিং দেখায় এবং অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কম্পিউটারকে কিছুদিন আগের অবস্থায় নিয়ে যান। অর্থাৎ আনুমানিক যে তারিখ আপনার কম্পিউটার ভালো ছিল, সেই তারিখে নিয়ে যান।
আর এটি করতে হলে প্রথমে C:\WINDOWS\ System32\Restore-এ গিয়ে rstrui.exe-তে ডাবল ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটাতে Restore my computer to an earlier time নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। দেখবেন একটি ক্যালেন্ডার এসেছে। এখন যে তারিখে আপনার কম্পিউটার ভালো ছিল, সেই তারিখ নির্বাচন করে (শুধু বোল্ড তারিখগুলো নির্বাচন করতে পারবেন) Next-এ ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো এলে আবার Next-এ ক্লিক করুন। দেখবেন কম্পিউটার অটো রিস্টার্ট নিয়ে কাজ শেষ করার পর সফলতার বার্তা এসেছে। এখন দেখবেন আপনার কম্পিউটারের সমস্যা ঠিক হয়ে গেছে। আর যদি তাতে ঠিক না হয় তাহলে আবার পুনরায় অন্য কোনো তারিখ নির্বাচন করেও Restore করতে পারেন। এখন করা Restore-টি আবার আপনি Undo-ও করতে পারবেন।
—মো. আমিনুর রহমান

Monday, May 7, 2012

পুরো পৃষ্ঠার ছবি!

অনেক সময় ওয়েবপেজ দেখার সময় সফটওয়্যারে (ব্রাউজার) খোলা পুরো পৃষ্ঠার ছবি (স্ক্রিনশট) নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু পৃষ্ঠাটি যদি বড় হয় এবং মনিটরে যদি পুরো পৃষ্ঠা না দেখা যায় তবে পুরো পৃষ্ঠাটির স্ক্রিনশট নিতে অনেক সমস্যা হয়। মজিলা ফায়ারফক্সের সঙ্গে ৭০ কিলোবাইটের ছোট্ট একটি প্রোগ্রাম (অ্যাড-অন) যোগ করে খুব সহজেই পুরো ওয়েবসাইটের পুরো পৃষ্ঠার স্ক্রিনশট নিতে পারেন।
এ জন্য প্রথমে মজিলা ফায়ারফক্স খুলে https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/screengrab ঠিকানায় গিয়ে Add to Firefox-এ ক্লিক করতে হবে। নতুন উইন্ডোতে Install Now-এ ক্লিক করুন। প্রোগ্রামটি ইনস্টল হওয়ার পর Restart Firefox-এ ক্লিক করলে মজিলা ফায়ারফক্স বন্ধ হয়ে আবার চালু হবে। এখন মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার দিয়ে কোনো ওয়েবপেজ খুলে তার ওপর মাউস রেখে ডান ক্লিক করলে দেখবেন, সবার নিচে ScreenGrab নামের একটি অপশন যোগ হয়েছে। এখন যে পেজের স্ক্রিনশট নিতে চান তার ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে সবার নিচে থেকে ScreenGrab>Save>Complete page/Frame-এ ক্লিক করে PNG বা JPG ফরম্যাটে স্ক্রিনশটটি সেভ করতে পারবেন। 
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, April 25, 2012

পুরোনো সিডি/ডিভিডি কপি করতে চান?

অনেক সময় সিডি/ডিভিডি পুরোনো হয়ে গেলে বা বেশি বেশি চালালে সিডি/ডিভিডির ফাইলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তখন আর সেগুলো কপি হয় না। আপনার অনেক দরকারি তথ্য হয়তো কোনো সিডি/ডিভিডিতে জমা (কপি) করে রেখেছেন, কিন্তু সেই সিডি/ডিভিডি যদি আর ওপেন না হয়, অর্থাৎ সেই তথ্যগুলো যদি আর পড়া না যায়, তাহলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
আপনি চাইলে ছোট একটি সফটওয়্যারের সাহায্যে সেই নষ্ট সিডি/ডিভিডির ফাইলগুলো কপি করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে www.recoverytoolbox.com/cd.html ঠিকানা থেকে মাত্র ৬৫৫ কিলোবাইটের রিকভারি টুলবক্স সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) ইনস্টল করে ওপেন করলে দেখবেন, আপনার সিডি/ডিভিডি ড্রাইভটি দেখা যাচ্ছে। এখন পরপর দুবার Next-এ ক্লিক করলে দেখবেন, আপনার সিডি/ডিভিডির ফাইলগুলো দেখা যাচ্ছে। এখন ফাইলগুলো কপি করতে চাইলে বাঁ পাশ থেকে সব বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save-এ ক্লিক করুন।
অথবা নির্দিষ্ট কিছু ফাইল কপি করতে চাইলে বাঁ পাশ থেকে নির্দিষ্ট বক্সগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে Save-এ ক্লিক করুন। ফাইলগুলো কপি হওয়ার পর সি ড্রাইভে গিয়ে দেখবেন, CDRestored ফোল্ডারের ভেতর ফাইলগুলো সেভ হয়েছে এবং সেগুলো ভালো আছে।
—মো. আমিনুর রহমান

Monday, April 23, 2012

জিমেইলের তথ্যগুলো সংরক্ষণ করুন

আজকাল ই-মেইল ঠিকানা, ফেসবুক ঠিকানা হ্যাক্ড হয় নানাভাবে। এ থেকে রক্ষা পেতে চাইলে আপনার জিমেইলের ব্যাকআপ রাখতে পারেন আপনার কম্পিউটারে বা অন্য কোনো জিমেইল আইডিতে। আর এটি করার জন্য প্রথমে http://home.zcu.cz/~honzas/gmb/gmail-backup-0.107.exe ঠিকানা থেকে ৪ মেগাবাইটের জিমেইল ব্যাকআপ সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে নামিয়ে ইনস্টল করে নিন।
এখন সফটওয়্যারটি খুলে জিমেইল আইডি, জিমেইলের পাসওয়ার্ড, কোথায় সেভ করতে চান, কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত ব্যাকআপ রাখতে চান লিখে ব্যাকআপ বাটনে ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। জিমেইলে ব্যাকআপ ফাইল তৈরি হয়ে যাবে। আবার রি-স্টোর করতে চাইলে একই পদ্ধতিতে সফটওয়্যারটি ওপেন করে জিমেইল আইডি (যে আইডিতে রিস্টোর করতে চান), জিমেইলের পাসওয়ার্ড, কোথায় থেকে রি-স্টোর করতে চান (হার্ডডিস্কের যে জায়গায় ব্যাকআপ রেখেছেন), কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত রি-স্টোর করতে চান লিখে রিস্টোর বাটনে ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। দেখবেন জিমেইলের সব তথ্য রিস্টোর হয়ে গেছে।
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, April 21, 2012

কপি-পেস্ট হবে দ্রুত

সাধারণত যখন কোনো ফাইল বা ফোল্ডার কম্পিউটার থেকে কপি করে পেনড্রাইভ বা অন্য কিছুতে নেওয়া হয়, তখন ওই ফাইল বা ফোল্ডারের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Send To Pendrive-এ ক্লিক করলেই হয়। কিন্তু যখন পেনড্রাইভ থেকে কোনো কিছু কপি করে কম্পিউটারে রাখার দরকার পড়ে বা হার্ডডিস্কের এক ড্রাইভ থেকে অন্য ড্রাইভে নেওয়ার জন্য ড্রাইভে গিয়ে পেস্ট করতে হয়, তখন এভাবে কপি-পেস্ট করলে অনেক সময় লাগে এবং কোনো ড্রাইভে ভাইরাস থাকলে তা অন্যান্য ড্রাইভেও ছড়িয়ে পড়ে। অথচ এই কপি-পেস্টের কাজগুলো অন্য ড্রাইভে না গিয়েও খুব সহজেই করা যায়।
এই কাজের জন্য প্রথমে Start/ Run-এ ক্লিক করে regedit লিখে OK করুন। এখন HKEY_CLASSES_ROOT/AllFileSystemObjectshellex ঠিকানায় গিয়ে ContextMenuHandlers-এর ওপর মাউস রেখে ডানে ক্লিক করে দুটি নতুন key তৈরি করুন। নাম দিন Copy To এবং Move To। এখন Copy To নির্বাচন করে ডান পাশ থেকে default-এ ডবল ক্লিক করে Value Data-এ {C2FBB630-2971-11d1-A18C-00C04FD75D13} লিখে OK করুন। এবং Move To নির্বাচন করে ডান পাশ থেকে default-এ ডবল ক্লিক করে Value Data-এ {C2FBB631-2971-11d1-A18C-00C04FD75D13} লিখে OK করে বেরিয়ে আসুন। এখন যে ফাইল বা ফোল্ডারটি কপি-পেস্ট বা কাট-পেস্ট করতে চান, সেটির ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Copy To Folder (কপি করার জন্য) বা Move To Folder-এ (কাট করার জন্য) ক্লিক করে কোথায় পেস্ট করতে চান, তা নির্বাচন করে দিয়ে Copy বা Move-এ ক্লিক করুন।
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, April 18, 2012

আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে


আউটসোর্সিং: ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার মানে হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিংয়ের কাজের খোঁজ থাকে, এমন সাইটে যিনি কাজটা করে দেন, তাঁকে বলা হয় কনট্রাকটর (তিনি কনট্রাক্টে কাজ করেন)। আর যিনি কাজ দেন, তাঁকে বলে বায়ার/এমপ্লয়ার (তিনি কনট্রাক্টে কাজ দেন)।

যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়: আউটসোর্সিং সাইট বা অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা থাকে। যেমন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (ইনফরমেশন সিস্টেম), লেখা ও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহায়তা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা (Customer Service), বিক্রয় ও বিপণন, ব্যবসাসেবা ইত্যাদি।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: এই বিভাগের মধ্যে আছে আবার ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, ই-কমার্স, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ওয়েবসাইট টেস্টিং, ওয়েবসাইট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টর মধ্যে আছে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, স্ক্রিপ্ট ও ইউটিলিটি, সফটওয়্যার প্লাগ-ইনস, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ইন্টারফেস ডিজাইন, সফটওয়্যার প্রকল্প-ব্যবস্থাপনা, সফটরয়্যার টেস্টিং, ভিওআইপি ইত্যাদি।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম: এর মধ্যে আছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিবিএ-ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইআরপি/সিআরএম ইমপ্লিমেনটেশন ইত্যাদি।
রাইটিং ও ট্রান্সলেশন: এর মধ্যে আছে কারিগরি নিবন্ধ লেখা (টেকনিক্যাল রাইটিং), ওয়েবসাইট কনটেন্ট, ব্লগ ও আর্টিকেল রাইটিং, কপি রাইটিং, অনুবাদ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইত্যাদি।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট: এর মধ্যে আছে ডেটা এন্ট্রি, পারসোনাল অ্যাসিসট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ই-মেইল রেসপন্স হ্যান্ডলিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া: এই বিভাগের মধ্যে আছে গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, প্রিন্ট ডিজাইন, থ্রিডি মডেলিং, ক্যাড, অডিও ও ভিডিও প্রোডাকশন, ভয়েস ট্যালেন্ট, অ্যানিমেশন, প্রেজেন্টেশন, প্রকৌশল ও কারিগরি ডিজাইন ইত্যাদি।
কাস্টমার সার্ভিস: এর মধ্যে আছে কাস্টমার সার্ভিস ও সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ফোন সাপোর্ট, অর্ডার প্রসেসিং ইত্যাদি।
বিক্রয় ও বিপণন: এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, ই-মেইল বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), এসইএম (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং), এসএমএম (সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং), জনসংযোগ, টেলিমার্কেটিং ও টেলিসেল্স, বিজনেস প্ল্যানিং ও মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ ও সার্ভেস, সেলস ও লিড জেনারেশন ইত্যাদি।
বিজনেস সার্ভিসেস: এর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, বুককিপিং, এইচআর/পে-রোল, ফাইনানসিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড প্ল্যানিং, পেমেন্ট প্রসেসিং, লিগ্যাল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস কনসাল্টিং, রিক্রুটিং, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ইত্যাদি। এগুলো সম্পর্কে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

কাজ পাবেন যেখানে: আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আবার ভুয়া সাইটও বের হয়েছে। ফলে সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা দেওয়া হলো— www.odesk.com, www.freelancer.com, www.elance.com, www.getacoder.com, www.guru.com, www.vworker.com, www.scriptlance.com ইত্যাদি। সবগুলো মোটামুটি একই রকম। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ওডেস্ক (odesk)। গত বছর (২০১১) সারা বিশ্বের মধ্যে আউটসোর্সিং কাজ করার ভিত্তিতে ওডেস্কে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল চতুর্থ। তার আগের বছর (২০১০) ওডেস্কে ঢাকা শহরের অবস্থান ছিল সারা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়।

কোন কাজের কী যোগ্যতা: সাধারণত অনলাইনে কী ধরনের কাজ পাওয়া যায়, তা বলা হয়েছে। এখন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের জন্য কী ধরনের যোগ্যতা লাগে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: এই কাজে ওয়েবসাইট তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা যেমনএইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস, মাইএসকিউএল ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ভাষাগুলোর ওপর দু-একটা পরীক্ষা দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: সফটওয়্যার তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন জাভা, সি শার্প, ভিজু্যয়াল বেসিক, মাইএসকিউএল, ওরাকল, এসকিউএল সার্ভার ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম: ডেটাবেইস, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তবেই নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিষয়ক নানা কাজ পাবেন।
লেখা ও অনুবাদ: এ ধরনের কাজের জন্য ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ভালো হয়।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট: এই বিভাগের কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। মূলত কপি পেস্টের কাজ। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটারএসব ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া: আপনাকে গ্রাফিক্সের কাজ জানতে হবে। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইন-ডিজাইন, ফ্ল্যাশ ইত্যাদি জানা থাকলে লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ খুব সহজেই করা যায়।
গ্রাহকসেবা: এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। দ্রুত ইংরেজি লেখা ও বলাদুটোতেই দক্ষ হতে হবে।
বিক্রয় ও বিপণন: ই-কমার্স সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ (ফেসবুক, টুইটার), বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
বিজনেস সার্ভিসেস: এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকতে হবে। লেনদেনের বিভিন্ন মাধ্যম (পেমেন্ট মেথড) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।

কীভাবে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন: প্রথমে www.odesk.com ঠিকানায় গিয়ে ওপরে ডান পাশ থেকে Sign up-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি www.odesk.com/w/signup.php? ঠিকানায় যান। এখন Freelance Contractor সিলেক্ট করুন (ইন্টারনেট ব্রাউজারের বিভিন্ন ভার্সনের কারণে নানা রকম ইন্টারফেস আসতে পারে। আমি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করেছি। আপনি Contractor সিলেক্ট করে Sign up-এ ক্লিক করবেন)। নিচের ফরমটি পূরণ করে continue-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে 1. Verify your email address-তে ক্লিক করুন। এখন আপনার ই-মেইল আইডিতে গিয়ে দেখবেন, একটি মেইল এসেছে। সেখানে একটি লিংক আছে, সেটাতে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Click here to continue-তে ক্লিক করুন। এখন 2. Fill out contact information-এ ক্লিক করুন। একটি ফরম আসবে। ফরমটি পূরণ করে Save and continue-তে ক্লিক করুন। এখন 3. Complete your oDesk Profile-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Job Category-তে আপনি যা যা পারবেন, তা সিলেক্ট করে দেন। যাঁরা একেবারেই নতুন, তাঁরা Blog & Article Writing, Data Entry, Personal Assistant, Email Response Handling, Other - Administrative Support, Customer Service & Support, Other - Customer Service, Advertising, Email Marketing, SMM - Social Media Marketing ইত্যাদি সিলেক্ট করে দিতে পারেন। নিচে Primary Role থেকে Data Entry Professional সিলেক্ট করে দিতে পারেন। Desired Hourly Rate-এ 1 অথবা 2 দিতে পারেন। Availability-তে আপনি সপ্তাহে কত ঘণ্টা সময় দিতে পারবেন, তা নির্বাচন করে দিন। এখন Title-এ Internet, Facebook, twitter, google plus, data entry, email, ms word, blog ইত্যাদি লিখে Save and continue-এ ক্লিক করুন। এখন 4. Accept the oDesk User Agreement-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে I agree to the terms and conditions বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save and continue-এ ক্লিক করুন। এখন Post my profile বাটনে ক্লিক করুন। My Contractor Profile-এর My Account Summary-তে দেখবেন Title, Portrait, Personal Email ইত্যাদি লেখা আছে। Portrait-এর ডান পাশে Upload portrait-এ ক্লিক করে আপনার ছবি যোগ করতে পারেন। ছবি যোগ করলে দেখবেন, আপনার প্রোফাইল ২০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে লেখা আসবে। প্রোফাইল কমপ্লিটনেস যত বেশি হবে, প্রতি সপ্তাহে তত বেশি জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন; এবং আপনার জব পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। (আপনি যদি অন্য পেজে চলে গিয়ে থাকেন, তাহলে বাঁ পাশ থেকে My Contractor Profile-এ ক্লিক করুন, তাহলে দেখতে পাবেন।) এখন oDesk Ready-এর ডান পাশে Take the oDesk Readiness Test-এ ক্লিক করুন। oDesk Readiness Test-এর নিচের লেখাগুলো পড়ুন, তারপর Ready to take the test বাটনে ক্লিক করুন। oDesk সাইটের নিয়মকানুনের ওপর আপনাকে ৪০ মিনিটের মধ্যে ১১টি প্রশ্নের একটি টেস্ট দিতে হবে। উত্তরগুলো প্রশ্নের নিচের লিংকে ক্লিক করলেই পাবেন। টেস্ট দেওয়ার জন্য Start test বাটনে ক্লিক করুন। এখন নিচে continue-তে ক্লিক করে নতুন পেজ এলে Click here to start the test বাটনে ক্লিক করুন, টেস্ট শুরু হয়ে যাবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পাবেন ওই প্রশ্নের নিচের লিংকে ক্লিক করলে। ১১টি প্রশ্নের উত্তরই সঠিক হলে এ টেস্টে পাস করবেন। ফেল করলে আপনার পাবলিক প্রোফাইলে এটি লেখা থাকবে না। পাস করলেই কেবল লেখা থাকবে। পাস না করলে আবার টেস্ট দেন। যতবার খুশি এই টেস্টটি দিতে পারবেন। পরীক্ষায় পাস করার পর প্রতি সপ্তাহে আপনি ১০টি করে জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। এখন আপনার My Contractor Profile পেজে যান। এখন Add a Skill-এ ক্লিক করে স্কিল যোগ করুন। নতুনেরা internet, facebook, twitter, google plus, data entry, email, ms word, blog ইত্যাদি যোগ করতে পারেন। এগুলোর এক-দুটি বর্ণ লিখলেই অটো সাজেশন চলে আসবে। সেখান থেকে সিলেক্ট করে Save করতে হবে। এখন দেখবেন প্রোফাইল ৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, লেখা আসবে। তারপর Add Employment Historyতে ক্লিক করে আপনি কোনো জব করে থাকলে এখানে যোগ করতে পারেন। তাহলে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস আরও ১০ শতাংশ বাড়বে। জব অনলাইনেরই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কোনো একটা হলেই হলো। মোটকথা, ওই ঘরটা পূরণ করা আছে কি না, এটাই দেখার বিষয়। কারও জব এক্সপেরিয়েন্স না থাকলেও সমস্যা নেই। এখন নিচে My Public Profile-এর নিচে Edit বাটনে ক্লিক করে নতুন পেজ এলে অনেকগুলো অপশনের মধ্যে Years of Experience-এ আপনি যত দিন ধরে ফেসবুক, ইন্টারনেট, কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার করেন, তত বছর সিলেক্ট করে দিতে পারেন। English অপশনে আপনি ইংরেজি কেমন জানেন তা সিলেক্ট করে দিতে পারেন। তবে ৫ দিতে পারেন। Objective-এ অবজেকটিভ লিখবেন। কীভাবে লিখবেন তা অবজেকটিভ বক্সের নিচে Example দেওয়া আছে। Example-এ ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন। এখানে কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। এসব প্রোগ্রামিং ভাষা আপনার জানা না থাকলে আপনি নিজের মতো করে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ই-মেইল ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে লিখতে পারেন যে আমি গত দু-তিন বছর ধরে ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ফেসবুকের নিয়মকানুন জানি, দ্রুত গুগল সার্চ করতে পারি, দ্রুত টাইপ করতে পারি, এম এস ওয়ার্ড ভালো জানি, ইত্যাদি ইংরেজিতে লিখতে পারেন। তারপর সেভ করুন। দেখবেন আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস আরও ১০ শতাংশ বাড়বে। এখন Education-এ ক্লিক করে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যোগ করতে পারেন। তারপর Portfolio Projects-এ আপনি আগে কোনো প্রজেক্ট করে থাকলে সেটি যোগ করুন। কোনো প্রজেক্ট না করে থাকলে www.blogger.com ঠিকানায় গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে একটি লেখা পোস্ট করলেই আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে যাবে। সেটির লিংকটা দিতে পারেন। তাহলে আপনার জব পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। Other Experiences-এ কোনো কিছু থাকলে দিতে পারেন, না দিলেও সমস্যা নেই। সার্টিফিকেশনসে কোনো কিছু না দিলে সমস্যা নেই। এখন দেখবেন, আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস অনেক বেড়ে গেছে। যদি আরও বাড়াতে চান, তাহলে www.odesk.com/tests ঠিকানা থেকে দু-তিনটি টেস্ট দিতে পারেন। তিন-চারটি টেস্ট দিলে প্রতি সপ্তাহে আপনি ২০টি কাজের (জব) জন্য আবেদন করতে পারবেন। Basic English test, English spelling test, MS word test, Windows xp test ইত্যাদি টেস্ট অনেক সহজ। ইচ্ছে হলে দিতে পারেন, না দিলেও সমস্যা নেই। ওপরের প্রতিটি সেটিংস যতবার খুশি ততবার পরিবর্তন করতে পারবেন। কাজেই কোনো কিছু ভুল হলে সমস্যা নেই, তা যেকোনো সময় আবার ঠিক করে নিতে পারবেন। আগের সেটিংস পরিবর্তন করার জন্য এই সাইটে লগইন করলেই ডান পাশে দেখবেন আপনার নাম এবং ছবির নিচে Edit Profile লেখা আছে। না থাকলে ওপর থেকে Find Work-এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই সবকিছু আবার পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনার প্রোফাইলটি অন্যরা, মানে যাঁরা (বায়ার) আপনাকে জব দেবেন, তাঁরা কেমন দেখতে পাবেন সেটি দেখার জন্য Find Work-এ ক্লিক করে নিচে ডান পাশে দেখবেন Your Profile Completeness-এর নিচে লেখা আছে View your public profile। এখানে ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন, আপনার পাবলিক প্রোফাইলটি কেমন।

কীভাবে জব খুঁজবেন: এ সাইটে লগইন করে Find Work-এ ক্লিক করুন। এখন সার্চ বক্সে আপনি যা যা পারেন, তা লিখে সার্চ দিন। আপনি যদি Facebook লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করেন, তাহলে ফেসবুক-সম্পর্কিত অনেকগুলো জবের তালিকা আসবে। একটি একটি করে পড়ে যেগুলো পারবেন, সেগুলোতে অ্যাপ্লাই করুন। আরেকটু কাস্টমাইজ করে সার্চ দিতে চাইলে সার্চ বাটনের পাশে দেখবেন Advanced লেখা আছে, সেখানে ক্লিক করুন। এখন আপনার পছন্দমতো সার্চ অপশনগুলোতে লিখে এবং চেক বক্সগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে সার্চ দিতে পারেন। এভাবে ফেসবুকের বাইরেও, যেমন: Internet, twitter, php, sql, c#, mysql, wordpress, joomla, google plus, data entry, email, ms word, blog ইত্যাদি লিখে সার্চ দিতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি যা যা পারেন, তা লিখে সার্চ দিতে পারেন।
কাজের জন্য যেভাবে আবেদন: ওয়েব বা পত্রিকায় কোনো চাকরি বা কাজের বিজ্ঞাপন পছন্দ হলে অনেকেই সেখানে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) পাঠান। কোনো একটা পদে এক বা দুজনকে হয়তো নিয়োগ দেওয়া হবে, কিন্তু সেখানে অনেকেই সিভি পাঠান। চাকরিদাতা সেই প্রতিষ্ঠান কিছু সিভি বাছাই করে তাঁদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকে। তারপর সেখান থেকে এক বা দুজনকে নিয়োগ দেয়। তেমনি আউটসোর্সিং সাইটেও যখন কোনো কাজের ঘোষণা (জব পোস্ট) দেওয়া হয়, তখন অনেকেই আবেদন করেন। তাঁদের মধ্য থেকে গ্রাহক বা বায়ার কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেন। তারপর এক বা দুজনকে কাজটি করতে দেন। এ প্রক্রিয়াকেই বলে বিডিং বা বিড করা।
সাক্ষাৎকার নেয় কীভাবে? আপনাকে ওই সাইটেই বার্তা পাঠানো হবে—আপনি কাজটি কত দিনে করতে পারবেন, আগে কখনো এ ধরনের কাজ করেছেন কি না, কত ডলারের বিনিময়ে করে দেবেন ইত্যাদি। আপনিও ফিরতি বার্তায় এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। তারপর আপনাকে পছন্দ হলে বায়ার আপনাকে কাজটি করতে দেবে। কোনো কোনো বায়ার স্কাইপ সফটওয়্যারে চ্যাট করতে চায়। তাই স্কাইপিতে (www.skype.com) একটা অ্যাকাউন্ট থাকা ভালো। কেউ কেউ আছেন, যাঁরা চার-পাঁচটি কাজের জন্য আবেদন করেই কাজ পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ১০০টি কাজের আবেদন করেও কাজ পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কাজটি করে দেওয়ার জন্য কত কম ডলার চাচ্ছেন তার ওপর। কোনো একটা কাজ ওই সাইটে প্রকাশ করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করা যায়, ততই ভালো। আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কারণ কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো ওয়েবে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই (এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে) জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে মানে ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে থাকার চেষ্টা করবেন। প্রতি মিনিটে দেখবেন নতুন নতুন কাজের বিজ্ঞপ্তি দেখা যাচ্ছে। কোনো একটা কাজের (জব) বিজ্ঞপ্তি খুলে এর ডানপাশে পাবেন বায়ারের তথ্য। যেসব বায়ারের Payment Method Verified লেখা আছে, সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন। কোনো একটি জবের বিজ্ঞাপন ভালোভাবে পড়ার পর এর নিচে দেখবেন Apply to this job নামের একটি বাটন আছে, সেখানে ক্লিক করুন। নতুন একটি পেজ আসবে। এ পৃষ্ঠার ওপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে ডলারের পরিমাণ লিখুন, মানে কত ডলারে আপনি কাজটি করতে চাচ্ছেন। ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি) কাজ হলে প্রতি ঘণ্টায় কত ডলার হারে কাজটি করতে চাচ্ছেন, তা লিখুন। তারপর Cover Letter বক্সে একটি কভার লেটার লিখুন। ফেসবুক-সম্পর্কিত জব হলে অর্থাৎ জবটি যদি হয় ফেসবুকের কোনো পেজে লাইক কালেক্ট করে দেওয়া, তাহলে লিখতে পারেন—
Hi,
I am interested to do your project. I can provide/collect you more than 000 facebook likes within 0 days. I have more than 0000 facebook friends and also have many facebook groups, page etc. So I think, I can do your project properly.
Thanks
AR
অর্থাৎ জবের বিজ্ঞাপনে যা যা চাওয়া হয়, তার উত্তর দিয়ে কভার লেটারটি লেখার চেষ্টা করুন। এ-সম্পর্কিত কোনো কাজ আগে করে থাকলে তা উল্লেখ করতে পারেন। Attachment: এ কিছু লাগবে না। এখন Agree to Terms: বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক করুন।
কোনো কাজ যদি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক অর্থাৎ ফিক্সড প্রাইসের হয়, তাহলে ওপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে কত ডলারের বিনিময়ে কাজটি করতে চান, তা লিখুন। Estimated Duration-এ কাজটি কত দিনের, তা নির্বাচন করে দিন। Cover Letter বক্সে আগের মতো করে একটি কভার লেটার লিখুন। এখন Agree to Terms বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। Upfront payment (optional) এবং Attachment লাগবে না। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক করুন। জবে অ্যাপ্লাই করা হয়ে গেছে। তারপর বায়ার আপনার ইন্টারভিউ (মেসেজ দেওয়া-নেওয়া) নেওয়ার পর আপনি সিলেক্ট হলে আপনাকে কাজটি করতে দেবে, মানে জবটিতে আপনাকে হায়ার্ড করা হবে। জবটি সক্রিয় হবে। তখন আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে Your contract “Facebook” started। ওই নোটিফিকেশনে ক্লিক করলে পাশের ছবিটির মতো দেখতে পাবেন।

কীভাবে একটি ভালো কভার লেটার লিখতে হয়, তা জানতে পারবেন http://kb.odesk.com/questions/136/What+is+a+good+cover+letter%3F
ঠিকানা থেকে। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে http://kb.odesk.com/categories/Contractors/Job+Applications+%28Contractors%29/#upfront ঠিকানায় যেতে পারেন।

কীভাবে কাজ করবেন: ওডেস্কে দুই ধরনের কাজ আছে। একটা হলো—ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি), আরেকটা হলো নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকে (ফিক্সড প্রাইস)। ফিক্সড প্রাইসের কাজগুলো ইচ্ছামতো করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার পর বায়ার কাজগুলো যাচাই করবেন। এরা আপনাকে পারিশ্রমিকের অর্থ (পেমেন্ট) দেবেন। আর ঘণ্টাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে www.odesk.com/downloads ঠিকানা থেকে ওডেস্ক টিম সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিতে হবে। এটি ইনস্টল করার পর সফটওয়্যারটি চালু করে সাইন-ইন করতে হবে। এরপর যে কাজটি করতে চান অর্থাত্ যে জবটি পেতে চান, সেটি নির্বাচন করে Start-এ ক্লিক করবেন। তাহলে ওই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার কাজের সময় গণনা শুরু হবে। ওই সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেবে। প্রতি ঘণ্টায় ছয়টি করে। সময় গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার স্ক্রিনশটগুলো দেখে বুঝতে পারবে আপনি কাজ করেছেন কি না। স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় আপনি ইচ্ছা করলে ডিলিটে ক্লিক করে এক-দুইটা স্ক্রিনশট মুছেও দিতে পারবেন। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে BuyerName ended your contract Facebook। তখন বায়ার আপনার কাজের মূল্যায়ন বা ফিডব্যাক জানাবেন। আপনিও বায়ারকে একটি ফিডব্যাক দেবেন। পূর্ণমান ৫-এর মধ্যে আপনি বায়ারকে নম্বর দেবেন এবং বায়ারও আপনাকে নম্বর দেবে। কেউ কারওটা আগে দেখতে পাবেন না। উভয় পক্ষ ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অপরেরটা দেখতে পাবেন। সাধারণত ৫-এর নিচে কেউ ফিডব্যাক দেয় না। আপনি বায়ারের সঙ্গে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারবেন, তাঁর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন এবং তিনি আপনাকে কেমন ফিডব্যাক দিতে পারেন। ফিডব্যাক নিয়ে আপনি যতটুকু টেনশনে থাকবেন, বায়ারও ততটুকু টেনশনে থাকবেন। কারণ, আপনিও বায়ারকে বাজে ফিডব্যাক দিতে পারেন। ফিডব্যাক আপনার ও বায়ার উভয়েরই প্রোফাইলে যুক্ত থাকবে—যা সবাই দেখতে পাবে। ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে সেটি মুছে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি বায়ারের পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দেন, তাহলে আপনার প্রোফাইলে ওই বাজে ফিডব্যাক আর দেখা যাবে না। নোটিফিকেশন পেইজে Give refund-এ ক্লিক করে আপনি বায়ারকে পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেন্ডিং থেকে তারপর আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আপনার বর্তমানে ব্যালান্স কত আছে এবং পেনডিং-এ কত আছে, সেটি জানার জন্য ওপরে Wallet-এ ক্লিক করে Transaction History-এ ক্লিক করুন।


কীভাবে টাকা তুলবেন: ওডেস্কে কাজ করেছেন, আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে নিজের কাছে আনবেন কীভাবে? এর জন্য প্রথমে ওপরের Wallet-এ ক্লিক করে তারপর Payment Methods-এ ক্লিক করুন। নতুন পৃষ্ঠা খুললে দেখবেন অনেকগুলো লেনদেনের পদ্ধতি আছে। এসবের মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারেন। এর একটি পদ্ধতি হলো, পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড। পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ডের ডান পাশে Sign Up Now-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে সবার নিচে Get your prepaid MasterCard card now বাটনে ক্লিক করুন। এরপর Order Card-এর নিচে তিনটি বাটনের প্রথমটি Start Here-এ ক্লিক করুন। একটি ফরম আসবে সেটি পূরণ করে বাকি দুটি বাটনে ক্লিক করে সেগুলোও পূরণ করে Finish-এ ক্লিক করুন। এখন এক মাসের মধ্যে আপনার বাসার ঠিকানায় (ফরম পূরণের সময় যে ঠিকানা দিয়েছেন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি প্রিপেইড মাস্টার কার্ড আসবে। এর জন্য কোনো টাকা-পয়সা দিতে হবে না। তবে আপনি যখন ওডেস্ক থেকে বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে প্রথমবার এই মাস্টার কার্ডে ডলার লোড করবেন তখন শুরুতে ১০-১৫ ডলার এই কার্ডের সার্ভিস চার্জ বাবদ কেটে নেবে। প্রতি মাসে তিন ডলার করে আপনার মাস্টার কার্ড অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেবে। কাজেই প্রথমবার ওডেস্ক থেকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে ১৫ ডলারের মতো খরচ হবে। ওডেস্ক থেকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে বা অন্য কোনো মাধ্যমে অর্থ (ডলার) উত্তোলন করতে প্রথমে ওপরে Wallet-এ ক্লিক করে তারপর Withdraw-তে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে Withdrawal Method থেকে কোনো মেথড সিলেক্ট করে Amount থেকে কত ডলার তুলতে চান, তার পরিমাণ লিখে Withdraw বাটনে ক্লিক করুন। দুই দিন পর আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার চলে আসবে। প্রতিবার ওডেস্ক থেকে ডলার ট্রান্সফার করতে দুই ডলার খরচ হয়। মাস্টার কার্ডের সুবিধা হলো, এটি দিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশের সব এটিএম বুথ থেকে ডলার তুলতে পারবেন। বাংলাদেশের যেকোনো এটিএম বুথ থেকে তুললে ডলার অটো টাকায় কনভার্ট হয়ে সমপরিমাণ টাকা বেরিয়ে আসবে। —মো. আমিনুর রহমান

Monday, April 16, 2012

Wednesday, April 4, 2012

Radio

রেডিও শুনতে চাইলে প্লে বাটন ক্লিক করুনঃ

Sunday, March 18, 2012

আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে - শেষ পর্ব

কীভাবে টাকা তুলবেন: ওডেস্কে কাজ করেছেন, আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে নিজের কাছে আনবেন কীভাবে? এর জন্য প্রথমে ওপরের Wallet-এ ক্লিক করে তারপর Payment Methods-এ ক্লিক করুন। নতুন পৃষ্ঠা খুললে দেখবেন অনেকগুলো লেনদেনের পদ্ধতি আছে। এসবের মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারেন। এর একটি পদ্ধতি হলো, পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড। পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ডের ডান পাশে Sign Up Now-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে সবার নিচে Get your prepaid MasterCard card now বাটনে ক্লিক করুন। এরপর Order Card-এর নিচে তিনটি বাটনের প্রথমটি Start Here-এ ক্লিক করুন। একটি ফরম আসবে সেটি পূরণ করে বাকি দুটি বাটনে ক্লিক করে সেগুলোও পূরণ করে Finish-এ ক্লিক করুন। এখন এক মাসের মধ্যে আপনার বাসার ঠিকানায় (ফরম পূরণের সময় যে ঠিকানা দিয়েছেন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি প্রিপেইড মাস্টার কার্ড আসবে। এর জন্য কোনো টাকা-পয়সা দিতে হবে না। তবে আপনি যখন ওডেস্ক থেকে বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে প্রথমবার এই মাস্টার কার্ডে ডলার লোড করবেন তখন শুরুতে ১০-১৫ ডলার এই কার্ডের সার্ভিস চার্জ বাবদ কেটে নেবে। প্রতি মাসে তিন ডলার করে আপনার মাস্টার কার্ড অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেবে। কাজেই প্রথমবার ওডেস্ক থেকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে ১৫ ডলারের মতো খরচ হবে। ওডেস্ক থেকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে বা অন্য কোনো মাধ্যমে অর্থ (ডলার) উত্তোলন করতে প্রথমে ওপরে Wallet-এ ক্লিক করে তারপর Withdraw-তে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে Withdrawal Method থেকে কোনো মেথড সিলেক্ট করে Amount থেকে কত ডলার তুলতে চান, তার পরিমাণ লিখে Withdraw বাটনে ক্লিক করুন। দুই দিন পর আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার চলে আসবে। প্রতিবার ওডেস্ক থেকে ডলার ট্রান্সফার করতে দুই ডলার খরচ হয়। মাস্টার কার্ডের সুবিধা হলো, এটি দিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশের সব এটিএম বুথ থেকে ডলার তুলতে পারবেন। বাংলাদেশের যেকোনো এটিএম বুথ থেকে তুললে ডলার অটো টাকায় কনভার্ট হয়ে সমপরিমাণ টাকা বেরিয়ে আসবে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, March 17, 2012

আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে -পর্ব-১১

কীভাবে কাজ করবেন: ওডেস্কে দুই ধরনের কাজ আছে। একটা হলো—ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি), আরেকটা হলো নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকে (ফিক্সড প্রাইস)। 
ফিক্সড প্রাইসের কাজগুলো ইচ্ছামতো করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার পর বায়ার কাজগুলো যাচাই করবেন। এরা আপনাকে পারিশ্রমিকের অর্থ (পেমেন্ট) দেবেন। আর ঘণ্টাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে www.odesk.com/downloads ঠিকানা থেকে ওডেস্ক টিম সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিতে হবে। এটি ইনস্টল করার পর সফটওয়্যারটি চালু করে সাইন-ইন করতে হবে। এরপর যে কাজটি করতে চান অর্থাত্ যে জবটি পেতে চান, সেটি নির্বাচন করে Start-এ ক্লিক করবেন। তাহলে ওই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার কাজের সময় গণনা শুরু হবে। ওই সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেবে। প্রতি ঘণ্টায় ছয়টি করে। সময় গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার স্ক্রিনশটগুলো দেখে বুঝতে পারবে আপনি কাজ করেছেন কি না। স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় আপনি ইচ্ছা করলে ডিলিটে ক্লিক করে এক-দুইটা স্ক্রিনশট মুছেও দিতে পারবেন।
কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে BuyerName ended your contract Facebook। তখন বায়ার আপনার কাজের মূল্যায়ন বা ফিডব্যাক জানাবেন। আপনিও বায়ারকে একটি ফিডব্যাক দেবেন। পূর্ণমান ৫-এর মধ্যে আপনি বায়ারকে নম্বর দেবেন এবং বায়ারও আপনাকে নম্বর দেবে। কেউ কারওটা আগে দেখতে পাবেন না। উভয় পক্ষ ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অপরেরটা দেখতে পাবেন। সাধারণত ৫-এর নিচে কেউ ফিডব্যাক দেয় না। আপনি বায়ারের সঙ্গে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারবেন, তাঁর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন এবং তিনি আপনাকে কেমন ফিডব্যাক দিতে পারেন। ফিডব্যাক নিয়ে আপনি যতটুকু টেনশনে থাকবেন, বায়ারও ততটুকু টেনশনে থাকবেন। কারণ, আপনিও বায়ারকে বাজে ফিডব্যাক দিতে পারেন। ফিডব্যাক আপনার ও বায়ার উভয়েরই প্রোফাইলে যুক্ত থাকবে—যা সবাই দেখতে পাবে। ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে সেটি মুছে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি বায়ারের পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দেন, তাহলে আপনার প্রোফাইলে ওই বাজে ফিডব্যাক আর দেখা যাবে না। নোটিফিকেশন পেইজে Give refund-এ ক্লিক করে আপনি বায়ারকে পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেন্ডিং থেকে তারপর আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আপনার বর্তমানে ব্যালান্স কত আছে এবং পেনডিং-এ কত আছে, সেটি জানার জন্য ওপরে Wallet-এ ক্লিক করে Transaction History-এ ক্লিক করুন। (চলবে)
—মো. আমিনুর রহমান

Thursday, March 15, 2012

আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে -পর্ব-১০

কোনো কাজ যদি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক অর্থাৎ ফিক্সড প্রাইসের হয়, তাহলে ওপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে কত ডলারের বিনিময়ে কাজটি করতে চান, তা লিখুন। Estimated Duration-এ কাজটি কত দিনের, তা নির্বাচন করে দিন। Cover Letter বক্সে আগের মতো করে একটি কভার লেটার লিখুন। এখন Agree to Terms বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। Upfront payment (optional) এবং Attachment লাগবে না। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক করুন। জবে অ্যাপ্লাই করা হয়ে গেছে। তারপর বায়ার আপনার ইন্টারভিউ (মেসেজ দেওয়া-নেওয়া) নেওয়ার পর আপনি সিলেক্ট হলে আপনাকে কাজটি করতে দেবে, মানে জবটিতে আপনাকে হায়ার্ড করা হবে। জবটি সক্রিয় হবে। তখন আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে Your contract “Facebook” started। ই নোটিফিকেশনে ক্লিক করলে পাশের ছবিটির মতো দেখতে পাবেন।

কীভাবে একটি ভালো কভার লেটার লিখতে হয়, তা জানতে পারবেন http://kb.odesk.com/questions/ 136/What+is+a+good+cover+letter%3F
ঠিকানা থেকে। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে http://kb.odesk.com/categories/Contractors/Job+Applications+%28Contractors%29/#upfront ঠিকানায় যেতে পারেন। (চলবে)
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, March 14, 2012

আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে -পর্ব-৯

কোনো একটা কাজের (জব) বিজ্ঞপ্তি খুলে এর ডানপাশে পাবেন বায়ারের তথ্য। যেসব বায়ারের Payment Method Verified লেখা আছে, সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন। কোনো একটি জবের বিজ্ঞাপন ভালোভাবে পড়ার পর এর নিচে দেখবেন Apply to this job নামের একটি বাটন আছে, সেখানে ক্লিক করুন। নতুন একটি পেজ আসবে। এ পৃষ্ঠার ওপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে ডলারের পরিমাণ লিখুন, মানে কত ডলারে আপনি কাজটি করতে চাচ্ছেন। ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি) কাজ হলে প্রতি ঘণ্টায় কত ডলার হারে কাজটি করতে চাচ্ছেন, তা লিখুন। তারপর Cover Letter বক্সে একটি কভার লেটার লিখুন। ফেসবুক-সম্পর্কিত জব হলে অর্থাৎ জবটি যদি হয় ফেসবুকের কোনো পেজে লাইক কালেক্ট করে দেওয়া, তাহলে লিখতে পারেন—
Hi,
I am interested to do your project. I can provide/collect you more than 000 facebook likes within 0 days. I have more than 0000 facebook friends and also have many facebook groups, page etc. So I think, I can do your project properly.
Thanks
AR
অর্থাৎ জবের বিজ্ঞাপনে যা যা চাওয়া হয়, তার উত্তর দিয়ে কভার লেটারটি লেখার চেষ্টা করুন। এ-সম্পর্কিত কোনো কাজ আগে করে থাকলে তা উল্লেখ করতে পারেন। Attachment: এ কিছু লাগবে না। এখন Agree to Terms: বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক করুন।
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, March 13, 2012

আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে - পর্ব-৮

কাজের জন্য যেভাবে আবেদন: ওয়েব বা পত্রিকায় কোনো চাকরি বা কাজের বিজ্ঞাপন পছন্দ হলে অনেকেই সেখানে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) পাঠান। কোনো একটা পদে এক বা দুজনকে হয়তো নিয়োগ দেওয়া হবে, কিন্তু সেখানে অনেকেই সিভি পাঠান। চাকরিদাতা সেই প্রতিষ্ঠান কিছু সিভি বাছাই করে তাঁদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকে। তারপর সেখান থেকে এক বা দুজনকে নিয়োগ দেয়। তেমনি আউটসোর্সিং সাইটেও যখন কোনো কাজের ঘোষণা (জব পোস্ট) দেওয়া হয়, তখন অনেকেই আবেদন করেন। তাঁদের মধ্য থেকে গ্রাহক বা বায়ার কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেন। তারপর এক বা দুজনকে কাজটি করতে দেন। এ প্রক্রিয়াকেই বলে বিডিং বা বিড করা। 
সাক্ষাৎকার নেয় কীভাবে? আপনাকে ওই সাইটেই বার্তা পাঠানো হবে—আপনি কাজটি কত দিনে করতে পারবেন, আগে কখনো এ ধরনের কাজ করেছেন কি না, কত ডলারের বিনিময়ে করে দেবেন ইত্যাদি। আপনিও ফিরতি বার্তায় এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। তারপর আপনাকে পছন্দ হলে বায়ার আপনাকে কাজটি করতে দেবে। কোনো কোনো বায়ার স্কাইপ সফটওয়্যারে চ্যাট করতে চায়। তাই স্কাইপিতে (www.skype.com) একটা অ্যাকাউন্ট থাকা ভালো।
কেউ কেউ আছেন, যাঁরা চার-পাঁচটি কাজের জন্য আবেদন করেই কাজ পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ১০০টি কাজের আবেদন করেও কাজ পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কাজটি করে দেওয়ার জন্য কত কম ডলার চাচ্ছেন তার ওপর। কোনো একটা কাজ ওই সাইটে প্রকাশ করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করা যায়, ততই ভালো। আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কারণ কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো ওয়েবে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই (এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে) জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে মানে ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে থাকার চেষ্টা করবেন। প্রতি মিনিটে দেখবেন নতুন নতুন কাজের বিজ্ঞপ্তি দেখা যাচ্ছে। (চলবে) 
—মো. আমিনুর রহমান

Monday, March 12, 2012

আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে - পর্ব-৭

সার্টিফিকেশনসে কোনো কিছু না দিলে সমস্যা নেই। এখন দেখবেন, আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস অনেক বেড়ে গেছে। যদি আরও বাড়াতে চান, তাহলে www.odesk.com/tests ঠিকানা থেকে দু-তিনটি টেস্ট দিতে পারেন। তিন-চারটি টেস্ট দিলে প্রতি সপ্তাহে আপনি ২০টি কাজের (জব) জন্য আবেদন করতে পারবেন। Basic English test, English spelling test, MS word test, Windows xp test ইত্যাদি টেস্ট অনেক সহজ। ইচ্ছে হলে দিতে পারেন, না দিলেও সমস্যা নেই। ওপরের প্রতিটি সেটিংস যতবার খুশি ততবার পরিবর্তন করতে পারবেন। কাজেই কোনো কিছু ভুল হলে সমস্যা নেই, তা যেকোনো সময় আবার ঠিক করে নিতে পারবেন। আগের সেটিংস পরিবর্তন করার জন্য এই সাইটে লগইন করলেই ডান পাশে দেখবেন আপনার নাম এবং ছবির নিচে Edit Profile লেখা আছে। না থাকলে ওপর থেকে Find Work-এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই সবকিছু আবার পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনার প্রোফাইলটি অন্যরা, মানে যাঁরা (বায়ার) আপনাকে জব দেবেন, তাঁরা কেমন দেখতে পাবেন সেটি দেখার জন্য Find Work-এ ক্লিক করে নিচে ডান পাশে দেখবেন Your Profile Completeness-এর নিচে লেখা আছে View your public profile। এখানে ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন, আপনার পাবলিক প্রোফাইলটি কেমন।
কীভাবে জব খুঁজবেন: এ সাইটে লগইন করে Find Work-এ ক্লিক করুন। এখন সার্চ বক্সে আপনি যা যা পারেন, তা লিখে সার্চ দিন। আপনি যদি Facebook লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করেন, তাহলে ফেসবুক-সম্পর্কিত অনেকগুলো জবের তালিকা আসবে। একটি একটি করে পড়ে যেগুলো পারবেন, সেগুলোতে অ্যাপ্লাই করুন। আরেকটু কাস্টমাইজ করে সার্চ দিতে চাইলে সার্চ বাটনের পাশে দেখবেন Advanced লেখা আছে, সেখানে ক্লিক করুন। এখন আপনার পছন্দমতো সার্চ অপশনগুলোতে লিখে এবং চেক বক্সগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে সার্চ দিতে পারেন। এভাবে ফেসবুকের বাইরেও, যেমন: Internet, twitter, php, sql, c#, mysql, wordpress, joomla, google plus, data entry, email, ms word, blog ইত্যাদি লিখে সার্চ দিতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি যা যা পারেন, তা লিখে সার্চ দিতে পারেন। (চলবে) 
—মো. আমিনুর রহমান