Monday, January 31, 2011

আউটসোর্সিং আয়

অনেকেই এখন ইন্টারনেটে বসে বিদেশের কাজ (আউটসোর্সিং) করে থাকে। সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি (আউটসোর্সিং) কাজ করা দেশগুলোর শীর্ষ ৩০-এর তালিকায় বাংলাদেশের নাম যুক্ত হয়েছে। প্রযুক্তি-বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আউটসোর্সিং কাজের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওডেস্কের (odesk.com) মতে, ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের দিক থেকে ঢাকা বিশ্বে তিন নম্বরে। অথচ এর পেছনে সরকারের তেমন অবদান নেই। বাংলাদেশি প্রোগ্রামাররা ভয়াবহ বিদ্যুৎ সমস্যা, উচ্চমূল্যের কম গতির ইন্টারনেটসহ হাজারো সমস্যার ভিড়ে বিভিন্ন দেশের প্রোগ্রামারদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এ পর্যায়ে এসেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিদেশ থেকে আসা আউটসোর্সিং আয়ের চেক ভাঙাতে ব্যাংককে উচ্চ কমিশন দিতে হয়। তারা ৩০ থেকে ৪০ ডলার কেটে রেখে দেয়। অথচ পেপালের মাধ্যমে মাত্র এক থেকে পাঁচ ডলারের মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপালেও পেপাল উন্মুক্ত। এই মুহূর্তে প্রয়োজন, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে অনলাইন ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট সিস্টেম পেপাল উন্মুক্ত করা।
মো. আমিনুর রহমান
কম্পিউটার প্রকৌশলী।

Live Cricket Match-4

Live Football Match

Live-Football-Match-2      Live-Cricket-Match

Live Cricket Match-3

Live Cricket Match

Sunday, January 30, 2011

ডিভিডি রাইটার যখন ডিভিডি ড্রাইভ

আপনি চাইলে সিডি-ডিভিডি রাইটারকে সিডি-ডিভিডি ড্রাইভেও রূপান্তর করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে মাই কম্পিউটার খুলেসিডি-ডিভিডি রাইটারের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। সেখান থেকে Recording-এ ক্লিক করুন।এখন Enable CD Recording on this drive বক্স থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে ওকে করুন।দেখবেন সিডি রাইটারটি সিডি ড্রাইভের মতো কাজ করছে অর্থাৎ আর সিডি রাইট করা যাচ্ছে না।একই পদ্ধতিতে পুনরায় আবার সিডি-ডিভিডি রাইটারে রূপান্তর করতে পারবেন।

Live Cricket Match



Thursday, January 27, 2011

উইন্ডোজ এক্সপিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে অনেক সময় Control panel-এর Add or Remove Programs থেকে কোনো সফ্টওয়্যার Uninstall করার সময় বা ভুলবশত সি ড্রাইভ থেকে যদি অপারেটিং সিস্টেমের দরকারি কোনো ফাইল ডিলিট হয়ে যায়, তাহলে কম্পিউটার ঠিকভাবে কাজ করে না বা অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল মিসিং দেখায় এবং অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কম্পিউটারকে কিছুদিন আগের অবস্থায় নিয়ে যান। অর্থাৎ আনুমানিক যে তারিখে আপনার কম্পিউটার ভালো ছিল, সেই তারিখে নিয়ে যান।আর এটি করতে হলে প্রথমে C:\WINDOWS\System32\Restore-এ গিয়ে rstrui.exe-তে ডবল ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটাতে Restore my computer to an earlier time নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। দেখবেন একটি কেলেন্ডার এসেছে। এখন যে তারিখে আপনার কম্পিউটার ভালো ছিল, সেই তারিখ নির্বাচন করে (শুধু বোল্ড তারিখগুলো নির্বাচন করতে পারবেন) Next-এ ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো আসলে আবার Next-এ ক্লিক করুন। দেখবেন, কম্পিউটার অটো রিস্টার্ট নিয়ে কাজ শেষ করার পর সফলতার বার্তা এসেছে। এখন দেখবেন, আপনার কম্পিউটারের সমস্যা ঠিক হয়ে গেছে। আর যদি তাতে ঠিক না হয়, তাহলে আবার পুনরায় অন্য কোনো তারিখ নির্বাচন করেও Restore করতে পারেন। এখন করা Restoreটি আবার আপনি Undo-ও করতে পারবেন।

Sunday, January 23, 2011

হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর!

অনেক সময় হার্ডডিস্কে ব্যড সেক্টর পড়ে। ব্যাড সেক্টর হলো কিছু মেমোরি নষ্ট হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ হার্ডডিস্কের যেখানে বেড সেক্টর পড়ে, সেখানে কোনো তথ্য সংরক্ষিত হয় না। হার্ডডিস্কের মেমোরির যে অংশটুকু দীর্ঘ সময় ধরে ফাঁকা বা অব্যবহূত থাকে, সেখানে ব্যাড সেক্টর পড়ে। তাই হার্ডডিস্কের মেমোরি বেশি সময় ধরে ফাঁকা রাখা ঠিক নয়। প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে এক ড্রাইভের ডেটা অন্য ড্রাইভে রাখবেন; অন্য ড্রাইভ থেকে আবার এ ড্রাইভে আনবেন। ভোল্টেজের ওঠা-নামার কারণেও অনেক সময় ব্যাড সেক্টর পড়ে।

Thursday, January 20, 2011

অফিস ২০০৭-এ ফ্রন্ট পেইজ

ওয়েব ডিজাইনাররা দ্রুত ওয়েব পেইজ ডিজাইন করার জন্য ফ্রন্ট পেইজ ব্যবহার করে থাকেন। অফিস ২০০৫ বা তারও আগের ভার্সনগুলোতে ফ্রন্ট পেইজ আছে। অফিস ২০০৭-এও ফ্রন্ট পেইজ আছে, তবে অন্য নামে। অফিস ২০০৭-এ ফ্রন্ট পেইজ খোলার জন্য Start/All programs/Microsoft office/Microsoft office infoPath 2007-এ ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে Design a Form Template-এ ক্লিক করুন। তারপর Blank নির্বাচন করে ok করুন। দেখবেন, ডান পাশে layout, controls ইত্যাদি নামে অনেক অপশন আছে। layout হলো table draw করার জন্য। আর controls-এ ক্লিক করে দেখবেন TextBox, ComboBox, ListBox, Button ইত্যাদি নামে অনেক অপশন আছে। এখান থেকে টেনে টেনে (Drug Drop) আপনার পছন্দমতো ওয়েব পেইজ ডিজাইন করতে পারেন।

Monday, January 10, 2011

একটি ড্রাইভ দিয়ে সিডি থেকে সিডি রাইট করুন

বুটাবল সিডি বা অপারেটিং সিস্টেমের সিডিগুলো সাধারণত সিডি থেকে সিডি রাইট করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনার ড্রাইভ যদি থাকে একটি অর্থাৎ শুধু সিডি রাইটার তাহলেও সিডি থেকে সিডি রাইট করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে মূল/উৎস সিডিটা সিডি/ডিভিডি রাইটারে প্রবেশ করুন। তারপর Nero সফটওয়্যারটি রান করে Copy CD-তে ক্লিক করলে দেখবেন একটি উইন্ডো এসেছে সেটি থেকে Copy-তে ক্লিক করুন।সিডি/ডিভিডিটা নিজে নিজেই হার্ডডিস্কের সি ড্রাইভে কপি হবে। কপি হওয়ার পর সিডিটা নিজে নিজেই বেরিয়ে আসবে। তারপর ফাঁকা সিডি/ডিভিডিটা প্রবেশ করালে সেটিতে ডাটাগুলো নিজে নিজেই রাইট হবে।

Wednesday, January 5, 2011

দুঃখটাকে ভাগাভাগি করি

প্রথম আলোয় প্রকাশিত মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘দুঃখটাকে ভাগাভাগি করি’ লেখাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে অত্যন্ত জরুরি পরামর্শ উঠে এসেছে।
আমার মনে পড়ে, ২০০৩-০৪ সেশনে আমরা যখন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হয়েছিল, তখন ছিলাম ১২০ জন। কিছুদিনের মধ্যেই ১০ জন ভর্তি বাতিল করে অন্যত্র চলে যায়। তারপর আমরা ১১০ জন চার বছর একসঙ্গে পড়াশোনা করি। আমার এক বন্ধু বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল। সেখানে এক মাস পড়ার পর সে ভর্তি বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। পরে শুনেছি, বুয়েটে তার আসনটি নাকি চার বছর ফাঁকাই ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর প্রায় এক মাস পর্যন্ত মাইগ্রেশনের সময় দেওয়া হয় (যদিও সব বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয় না)। কিন্তু এরপর যদি কেউ ভর্তি বাতিল করে অন্য কোথাও চলে যায়, তাহলে আর সেই ফাঁকা আসনগুলো পূরণ করা হয় না। এভাবে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক আসন ফাঁকা থাকে। তা ছাড়া আবার দেখা যায়, একই সঙ্গে পড়াশোনা শুরু করে চার বছর পর কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাকরি করে; আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ে ছয় বছরেও অনার্স কোর্স শেষ করতে পারে না। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসনও ফাঁকা থাকবে না এবং সেশনজটও অনেক কমে যাবে।গত বছর একমাত্র শাবিপ্রবিতে এসএমএসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এ বছর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএমএসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেটা যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কষ্ট কতটা কমিয়ে দিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু বড় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে এসএমএসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ভর্তি পরীক্ষা নিতে দেখা যায়নি। শিগগিরই নেবে বলেও মনে হচ্ছে না। রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট আগে যখন বিআইটি ছিল, তখন সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিত। এখন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর তারাও আর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয় না। শিক্ষার্থীদের দুঃখ-কষ্টের কথা অনেকেই বুঝতে চায় না।বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার পরও দেখা যায়, সরকার বদল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনেরও বদল হয়। দলীয় লোক বসানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যের আসনে। তাই সরকার থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশ দিলে নিশ্চয়ই উপাচার্য মহোদয় অমত করবেন না। সরকার কি লাখ লাখ শিক্ষার্থীর কষ্টের কথা, অভিভাবকদের কষ্টের কথা চিন্তা করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এতটুকু কাজ করতে পারে না?
মো. আমিনুর রহমান
কম্পিউটার প্রকৌশলী।
amin_cse71@yahoo.com