Saturday, January 28, 2012

কমে যাবে অডিও-ভিডিও ফাইলের মেমোরি আকার

অডিও-ভিডিও ফাইলের মেমোরি আকার কমাতে চাইলে অডিও-ভিডিও ফাইলের মেমোরি আকার ছোট করে ফেলতে পারেন। এ জন্য প্রথমে উইন্ডোজ-চালিত কম্পিউটারে My Computer খুলুন। এবার Tools থেকে Folder Options-এ গিয়ে View-এ ক্লিক করে Hide extensions for known file types বক্সের থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে OK করুন। এখন যে ফাইলটির আকার কমাবেন, ভিডিও ফাইলের ক্ষেত্রে সেটির ফাইল সিস্টেম যদি .dat হয় তবে Rename করে .dat এর পরিবর্তে .mpg লিখে সেভ (এন্টার) করুন। এখন Start থেকে All Programs-এ গিয়ে Windows Movie maker-এ ক্লিক করুন। তারপর Import video/Import Audio-এ ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটির নিচে (ভিডিও ফাইলের ক্ষেত্রে) create clips for video files বক্স থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন। এবার যে ফাইলটির মেমোরি কমাতে চান সেটি নির্বাচন করে Import করুন। এখন ফাইলটিতে মাউস রেখে ডান ক্লিক করে Add to Storyboard-এ ক্লিক করুন। এরপর File থেকে Save Movie File-এ ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো এলে Next-এ ক্লিক করুন। তারপর আবার Next-এ ক্লিক করতে হবে। এখন Show more choices-এ ক্লিক করে Other settings থেকে video for broadband (150 kbps) আর অডিও ফাইলের ক্ষেত্রে 32kbps নির্বাচন করে Next এ ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। এখন My Documents থেকে My Videos-এ গিয়ে দেখবেন অডিও/ভিডিও ফাইল এর মেমোরি সাইজ প্রায় দশগুণ কমে গেছে।
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, January 10, 2012

ইন্টারনেট ব্রাউজার ট্যাব বন্ধ হয়ে গেছে?

ইন্টারনেট ব্রাউজার দিয়ে ওয়েবসাইট দেখার সময় প্রয়োজনে অনেক ট্যাব খুলতে হয়, বন্ধ করতে হয়। অনেক সময় বন্ধ করা ব্রাউজার ট্যাব আবার কাজে লাগে। বন্ধ করা ব্রাউজার ট্যাব আবার ফিরিয়ে আনতে কিবোর্ড থেকে CTRL + Shift + T চাপুন। যতবার চাপবেন ততবারই বন্ধ করা ব্রাউজার ট্যাব ফিরে আসবে। এ পদ্ধতি সব ধরনের ব্রাউজারের ক্ষেত্রেই কাজ করে। ব্রাউজার ট্যাবের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে ইচ্ছামতো ব্রাউজার ট্যাবগুলোকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন, রিফ্রেশ এবং রিলোডও করতে পারবেন।
মো. আমিনুর রহমান

Monday, January 9, 2012

পেনড্রাইভ ওপেন হচ্ছে না?

যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে, তাদের কাছে পেনড্রাইভ একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসে পরিণত হয়েছে। সহজে বহনযোগ্য বলে দিন দিন পেনড্রাইভের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। কিন্তু অনেক সময় ভাইরাসের আক্রমণে বা অন্য কোনো কারণে কম্পিউটারে পেনড্রাইভ ওপেন হয় না। তখন অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। স্বাভাবিকভাবে পেনড্রাইভ ওপেন না হলে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পেনড্রাইভ ওপেন করা যায়।
প্রথমত, মাই কম্পিউটার ওপেন করে ওপরে ফোল্ডারে ক্লিক করুন। তারপর বাম পাশ থেকে পেনড্রাইভে ক্লিক করুন। অথবা মাই কম্পিউটার ওপেন করে পেনড্রাইভের ওপর মাউস রেখে রাইট বাটনে ক্লিক করে explore-এ ক্লিক করুন। পেনড্রাইভ ওপেন হয়ে যাবে। তবে ভাইরাসের আক্রমণের কারণে অনেক সময় ফোল্ডার অপশনটি খুঁজে পাওয়া যায় না বা এই অপশনটি কাজ করে না।
দ্বিতীয়ত, মাই কম্পিউটার ওপেন করে অ্যাড্রেসবারে ক্লিক করে পেনড্রাইভ সিলেক্ট করুন। আশা করি, পেনড্রাইভ ওপেন হয়ে যাবে।
তৃতীয়ত, Start-এ ক্লিক করে Run-এ ক্লিক করুন। এখন পেনড্রাইভের ড্রাইভে যে লেটার (বর্ণ) লেখা আছে, সেটি ওই রানের বক্সে লিখে Browse অথবা ok-তে ক্লিক করুন। যেমন, আপনার পেনড্রাইভের ড্রাইভ যদি M হয়, তাহলে লিখুন M:/ তারপর Browse অথবা ok-তে ক্লিক করুন।
চতুর্থত, Start থেকে Control Panel-এ গিয়ে Administrative tools-এ দুই ক্লিক করুন। তারপর Computer Management-এ দুই ক্লিক করুন। এখন বাম পাশ থেকে Disk Management-এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেনড্রাইভসহ সব ড্রাইভের লিস্ট আসবে। সেখান থেকে পেনড্রাইভের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে explore অথবা open-এ ক্লিক করুন। আশা করি, পেনড্রাইভ ওপেন হয়ে যাবে।
আপনার কম্পিউটার যদি অনেক বছর আগের হয়, তাহলে অনেক সময় ওই কম্পিউটারের ডেটা ট্রান্সফার রেট আর বর্তমান পেনড্রাইভের ডেটা ট্রান্সফার রেট এক নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার অনেক ধীরগতিতে কাজ করতে পারে বা কম্পিউটার হ্যাং করতে পারে। ডেটা ট্রান্সফার রেট সমান বা কাছাকাছি কি না, সেটা ওই কম্পিউটারে পেনড্রাইভ প্রবেশ করালেই বুঝতে পারবেন। ওপরের পদ্ধতিগুলো উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমের জন্য বলা হয়েছে। অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেমেও এই পদ্ধতিগুলো পাওয়া যেতে পারে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, January 7, 2012

ফেসবুক থেকে ই-মেইল করতে চান?

ফেসবুক থেকে ই-মেইলও পাঠানো যায়। এ জন্য ফেসবুকে ঢুকে (লগ-ইন) বাম পাশ থেকে Message-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে ওপর থেকে New Message-এ ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো খুলবে।এতে To-তে কারও ই-মেইল ঠিকানা এবং Message বক্সে কোনো কিছু লিখে Send-এ ক্লিক করুন। ওই ই-মেইল ঠিকানায় মেইল চলে যাবে। প্রেরকের (From) জায়গায় আপনার নাম এবং আপনার ফেসবুক মেইল ঠিকানা লেখা থাকবে। আপনার ফেসবুক ইউজার নেম যদি হয় abcd, তাহলে আপনার ফেসবুক মেইল ঠিকানা হবে abcd@facebook.com। প্রেরকের ঠিকানায় আপনার এই ঠিকানাটা লেখা থাকবে। যার কাছে মেইলটি যাবে, সে যদি প্রেরকের এই ঠিকানা দিয়ে ফেসবুকে খোঁজ করে (সার্চ), তাহলেই সে জেনে যাবে কার ফেসবুক আইডি থেকে ই-মেইলটি এসেছে। আবার আপনি ইচ্ছা করলে কোনো ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে (যে ই-মেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা আছে) ফেসবুকের এই মেইল আইডিতে মেইল করতে পারেন। তাহলে যার আইডিতে মেইল করবেন, তার ফেসবুকের মেসেজের ইনবক্সে এসে মেইলটি জমা হবে।
আপনাকে যদি ফেসবুকে যে কেউ মেসেজ পাঠাতে পারে, তাহলে সবার ই-মেইল আইডি থেকে মেইল করলেই আপনার ফেসবুকে মেসেজ আসবে। আর আপনাকে যদি আপনার ফেসবুক বন্ধুরা ছাড়া অন্য কেউ ফেসবুকে মেসেজ দিতে না পারে, তাহলে সবার মেইল আইডি থেকে মেইল করলে আপনার ফেসবুকে মেসেজ আসবে না। শুধু আপনার ফেসবুক বন্ধুরা আপনাকে মেইল করলেই আপনার ফেসবুকে মেসেজ আসবে। আপনার ফেসবুক মেইল আইডি হলো আপনার ইউজার নেমের সঙ্গে @facebook.com অর্থাৎ username@facebook.com এটি দেখার জন্য আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে গিয়ে Info-তে ক্লিক করুন। তাহলে সবার নিচে দেখতে পাবেন। আর যারা ফেসবুক ইউজার নেম যোগ করেনি, তারা তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে (নামের ওপর) ক্লিক করুন। ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারে যে আইডি নম্বরটি দেখতে পাবেন, সেটির সঙ্গে @facebook.com যোগ করলেই আপনার ফেসবুক মেইল আইডি পেয়ে যাবেন। ওই আইডি নম্বরটি যদি 0000 হয়, তাহলে আপনার ফেসবুক মেইল আইডি হবে 0000@facebook.com. আপনার কোনো বন্ধুর ফেসবুক মেইল আইডি জানতে হলে তার প্রোফাইলে ক্লিক করুন। তার ইউজার নেম যোগ করা থাকলে তার সঙ্গে @facebook.com যোগ করে নিন। আর ইউজার নেম যোগ করা না থাকলে ওই আইডি নম্বরের সঙ্গে @facebook.com যোগ করে নিন। 
—মো. আমিনুর রহমান

Thursday, January 5, 2012

আইপি ঠিকানার পরিবর্তন

অনেক সময় বিভিন্ন কাজে আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়। যেমন একটি ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বেশি পরিমাণে ই-মেইল ঠিকানা অনেক সময় খোলা যায় না।আইপি ঠিকানা পরিবর্তন করলে তা সম্ভব।
সহজে আইপি ঠিকানা পরিবর্তন করার বিভিন্ন সফ্টওয়্যার আছে। এর মধ্যে একটি হলো হট স্পট শিল্ড। www.mediafire.com/?rvgsb2ht6bag0sp ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে ৫ মেগাবাইটের হট স্পট শিল্ড (এইচএসএস) সফটওয়্যারটি নামিয়ে (ডাউনলোড) ইনস্টল করে নিন। এখন সফটওয়্যারটি খুলুন। শুরুতে টাস্কবারে সফটওয়্যারটির আইকন লাল থাকে। লাল থেকে হলুদ হয়ে সবুজ বর্ণ ধারণ করবে। সবুজ বর্ণ ধারণ করলে বুঝতে হবে সফটওয়্যারটি যুক্ত (কানেক্টেড) হয়েছে, অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারের আইপি ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন আপনার কম্পিউটার ভিন্ন কোনো আইপি ব্যবহার করছে। ওই সফটওয়্যারটি আবার ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন (ডিসকানেক্ট) করতে চাইলে ওই আইকনের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে ডিসকানেক্ট সিলেক্ট করলে নতুন একটি পেইজ ওপেন হবে। ওই পেইজ থেকে ডিসকানেক্টে ক্লিক করলেই ডিসকানেক্ট হয়ে যাবে এবং ওই সফটওয়্যারটি আইকন আবার লাল বর্ণের হয়ে যাবে। অর্থাৎ, আপনার কম্পিউটারের আইপি ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে আবার আগের আইপি ঠিকানায় চলে আসবে। এই সফ্টওয়্যারটি রান করার আগে শুরুতে দেখে নিতে পারেন আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা। এ জন্য যেতে পারেন www.ip-address.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে। এখানে গেলেই দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটার বর্তমানে কোন আইপি ঠিকানা ব্যবহার করছে। এখন ওই সফ্টওয়্যারটি রান করে আইপি ঠিকানা পরিবর্তন হওয়ার পর আবার দেখে নিতে পারেন এখন আপনি কোন দেশের, কোন আইপি ব্যবহার করছেন। 
—মো. আমিনুর রহমান