Thursday, August 15, 2013

তারিখ দেখানোর ধরনে পরিবর্তন

সাধারণত তারিখ দেখানের ধরন (ফরম্যাট) হিসেবে আমরা দিন/মাস/বছর দেখে অভ্যস্ত। প্রায় সব কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমেই তারিখ দেখানো হয় মাস/দিন/বছর হিসেবে। তাই দিন ও মাস নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় মাঝে মাঝে। 
কম্পিউটারের তারিখ ফরম্যাট পরিবর্তন করা যায় সহজেই।উইন্ডোজ-৭-এ তারিখ ফরম্যাট পরিবর্তন করতে নিচে ডান পাশ থেকে তারিখের ওপর ক্লিক করুন। এখন Change date and time settings-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটির Change date and time-এ ক্লিক করুন। এখন Change calendar settings-এ ক্লিক করে দেখুন Short date-এ mm/dd/yyyy নির্বাচন করা আছে। সেটি পরিবর্তন করে dd-mm-yy নির্বাচন করে OK করুন। দেখবেন আপনার কম্পিউটারের তারিখ দেখানোর ধরনটা বদলেগিয়ে দিন/মাস/বছরে রূপান্তরিত হয়েছে।
উইন্ডোজ এক্সপির তারিখ ফরম্যাট পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে Control panel-এ গিয়ে Regional and Language options-এ দুই ক্লিক করুন। এখন Customize-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো আসলে সেটির Date-এ ক্লিক করুন। এখন Short date format-এ দেখুন mm/dd/yyyy নির্বাচন করা আছে। সেটি পরিবর্তন করে dd-mm-yy নির্বাচন করে OK করুন। পরের উইন্ডোতে আবার OK করুন। এখন দেখবেন আপনার কম্পিউটারের তারিখ ফরমেট পরিবর্তন হয়ে দিন/মাস/বছরে রূপান্তরিত হয়েছে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Monday, August 12, 2013

স্ক্রিনশটের খুঁটিনাটি

যেকোনো সময়ে কোনো ওয়েব পেইজের ছবিটি অর্থাৎ স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করার দরকার পড়তে পারে।স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য প্রথমে ওই পেইজটি খুলে করে কিবোর্ড থেকে Print Screen/Sys Rq বোতামটি চাপুন। এখন পেইন্ট বা ফটোশপ খুলে করে নতুন একটি পেইজ নিন। এবার এতে Paste করুন বা কিবোর্ড থেকে Ctrl+V চাপুন।
এখন File থেকে Save as-এ ক্লিক করে কোনো নাম দিয়ে ছবিটি সেভ করুন। কোনো ওয়েবসাইটের কোনো পেইজের স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য কিবোর্ড থেকে F11 চাপলে পেইজটি কিছুটা বড় হবে। 
অনেক সময় ব্রাউজারে খোলা পুরো পেইজের স্ক্রিনশট নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু পেইজটি যদি বড় হয় এবং মনিটরে যদি পুরো পেইজ না দেখা যায়, তাহলে পুরো পেইজের স্ক্রিনশট নিতে অনেক সমস্যা হয়। মজিলা ফায়ারফক্সের সঙ্গে মাত্র ৭০ কিলোবাইটের ছোট একটি প্রোগ্রাম (অ্যাড-অন) যোগ করে খুব সহজেই পুরো পেইজের স্ক্রিনশট নিতে পারেন। 
এ জন্য প্রথমে মজিলা ফায়ারফক্স খুলে https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/screengrab ঠিকানায় গিয়ে Add to Firefox-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে Install Now-এ ক্লিক করুন। ৭০ কিলোবাইটের ছোট একটি অ্যাড-অন ইনস্টল হবে। ইনস্টল হওয়ার পর Restart Firefox বাটনে ক্লিক করলে মজিলা ফায়ারফক্স বন্ধ হয়ে আবার চালু হবে। এখন মজিলা ফায়ারফক্স দিয়ে কোনো ওয়েবপেইজ খুলে তার ওপর মাউস রেখে ডান ক্লিক করলে দেখবেন সবার নিচে ScreenGrab নামে একটি অপশন যোগ হয়েছে। এখন যে পেইজের স্ক্রিনশট নিতে চান তার ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে সবার নিচে থেকে ScreenGrab>Save>Complete page/Frame-এ ক্লিক করে *.png বা *jpg ফরম্যাটে স্ক্রিনশটটি সেভ করতে পারবেন। 
—মো. আমিনুর রহমান

Thursday, August 8, 2013

ওয়ার্ডে স্বয়ংক্রিয় সংরক্ষণ

মাইক্রোসফট অফিসের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলোতে ‘অটো রিকভারি’ নামে একটি সুবিধা থাকে। সেটি চালু করে রাখলে কোনো কারণে যদি হঠাৎ কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায় তখন মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইলের লেখাগুলো আবার পুনরুদ্ধার করা যায়। তবে তাতেও সব লেখা পাওয়া যায় না মানে সাধারণত কম্পিউটার বন্ধ হওয়ার ১০ মিনিট আগের অবস্থা পর্যন্ত সবগুলো লেখা ফিরে পাওয়া যায়। 
আপনি চাইলে ওয়ার্ডের অটো সেভ অপশনটি চালু করে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। প্রথমে ফাইল মেন্যুর Save As থেকে কোনো একটি অপশনে ক্লিক করুন। এখন নিচে বাম পাশের Tools থেকে Save Options-এ ক্লিক করুন। 
নতুন উইন্ডো এলে Save Auto Recover... অপশনটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে ডান পাশে এক মিনিট নির্বাচন করে OK দিন। এখন ওয়ার্ডে কোনো ফাইল খুলে ফাইলটির কোনো নাম দিয়ে কোনো কিছু লিখলে প্রতি এক মিনিট পর পর ফাইলটি অটো সেভ হবে। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলেও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, ফাইলটিতে কম্পিউটার বন্ধ হওয়ার এক মিনিট আগের অবস্থা পর্যন্ত সেভ করা থাকবে। 
যদি কম্পিউটারে কাজ করে মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডের ফাইলটি পেনড্রাইভে করে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে চান, তাহলে ওই ফাইলটি পেনড্রাইভেই খুলুন বা পেনড্রাইভে সেভ করে কাজ শুরু করুন। তাহলে বিদ্যুৎ চলে গেলে ওই ফাইলটি পেনড্রাইভেই সেভ থাকবে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, May 28, 2013

কম্পিউটারে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করা

কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেস বেশ জনপ্রিয়। ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের কাজ যেখানে পাওয়া যায় সেই মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ওয়ার্ডপ্রেসের অনেক কাজ থাকে।ওয়েবসাইট তৈরির জন্য তুলনামূলক অনেক সহজ হলো ওয়ার্ডপ্রেস। কারণ, এর মাধ্যমে অনেক সহজেই ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় কোনো রকম প্রোগ্রামিংয়ের ধারণা ছাড়াই। ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য আপনার কম্পিউটারে xampp সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে তারপর ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করে চর্চা করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার জন্য প্রথমে http://abcomputertips.blogspot.com/2013/04/installing-wordpress.html ঠিকানা থেকে xampp সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। তারপর ইন্টারনেট ব্রাউজার ওপেন করে http://localhost/phpmyadmin ঠিকানা থেকে Databases-এ ক্লিক করুন। এখন Create database-এ কোনো নাম (যেমন database) লিখে Create বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে database নামে একটি ডেটাবেস তৈরি হয়ে যাবে।
এখন http://wordpress.org/download ঠিকানা থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করে আনজিপ করে সি ড্রাইভের htdocs (C:/xampp/htdocs) ফোল্ডারের ভেতরে পেস্ট করুন। এখন আবার ইন্টারনেট ব্রাউজার ওপেন করে http://localhost/wordpress/ ঠিকানায় যান। তারপর Create a Configuration File বাটনে ক্লিক করুন। তারপর Let¤s go! বাটনে ক্লিক করুন। নতুন পেজ ওপেন হলে Database Name-এ আপনার ডেটাবেসের নাম (database) লিখুন। User Name-এ root লিখুন। Password-এ কোনো কিছু লেখার দরকার নেই। আর কোনো কিছু পরিবর্তন করার দরকার নেই। এখন Submit বাটনে ক্লিক করুন। তারপর Run the install বাটনে ক্লিক করুন। নতুন পেজ ওপেন হলে Site Title-এ কোনো কিছু লিখুন। Username-এ admin এবং Password-এ দুবার পাসওয়ার্ড লিখুন। Your E-mail-এ আপনার ই-মেইল আইডি লিখুন। এখন Install Wordpress-এ ক্লিক করুন। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল হয়ে যাবে। এখন ওয়ার্ডপ্রেসে লগইন করার জন্য http://localhost/wordpress/wp-login.php ঠিকানায় যান। এখানে Username-এ admin এবং Password-এ আপনার দেওয়া পাসওয়ার্ড লিখে Log In বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে ওয়ার্ডপ্রেসে লগইন হয়ে যাবে। তারপর ড্যাসবোর্ড থেকে পছন্দমতো করে পোস্ট, পেজ যোগ করে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটটি সাজাতে পারেন।
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, April 23, 2013

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কতটা নিরাপদ?

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কতটুকু নিরাপদ তা জানার জন্য প্রথমে ফেসবুকে ঢোকার (লগ-ইন) পর http://goo.gl/OqZwQ ঠিকানায় যান (নতুন করে আবার পাসওয়ার্ড দিতে বললে পাসওয়ার্ড দিয়ে Continue-এ ক্লিক করুন)। সেখানে গেলেই দেখতে পাবেন, আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বর্তমান নিরাপত্তাব্যবস্থা সবল, না দুর্বল। 
নিরাপত্তাব্যবস্থা সবলকরার করার জন্য তিনটি ধাপ আছে। ধাপ ১: এখানে Add another email address-এ ক্লিক করে একাধিক ই-মেইল আইডি যোগ করুন। Next-এ ক্লিক করুন। ধাপ ২: এখানে Add your mobile phone number to your Timeline-এ ক্লিক করে আপনার মোবাইল ফোন নম্বর যোগ করুন। তারপর আবার Next করুন। ধাপ ৩: এখানে একটি নিরাপত্তা প্রশ্ন নির্বাচন করে দিন এবং এর নিচে উত্তর লিখে Save and Continue-এ ক্লিক করুন। এখন ওপরে ডান পাশে Home-এর ডান পাশের সেটিংসে ক্লিক করে Account Settings-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি www.facebook.com/settings?ref=mb ঠিকানায় যান। এখন বাম পাশ থেকে Security-এ ক্লিক করুন। Login notifications-এর ডান পাশ থেকে edit-এ ক্লিক করুন। 
এখন টেক্সটবক্স দুটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এরপর ফেসবুক থেকে বেরিয়ে (লগ-আউট) আবার ফেসবুকে লগ-ইন করুন। দেখবেন Remember Browser নামে একটি পেজ এসেছে। এখানে Save Browser নির্বাচন করে Continue-এ ক্লিক করুন।
এখন থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার এবং ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার (ব্রাউজার) ছাড়া অন্য কোনো কম্পিউটার ও ব্রাউজার দিয়ে আপনার ফেসবুক আইডিতে লগইন করার সময় আপনার ই-মেইল ঠিকানায় ও মোবাইল নম্বরে একটি মেসেজ যাবে এবং তাতে লেখা থাকবে—কখন, কোন ব্রাউজার দিয়ে আপনার ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করা হয়েছে। 
আপনি যদি এই সময় প্রবেশ না করে থাকেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন। মনে রাখবেন, হ্যাকাররা প্রথমে ই-মেইল আইডি হ্যাকিং করার চেষ্টা করে। ই-মেইল আইডি হ্যাকিং করতে পারলে খুব সহজে ফেসবুক আইডিও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে। ওপরের পন্থাগুলো অবলম্বন করলে আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাকিং হলেও পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। এমনকি আপনার সব কটি ই-মেইল আইডি হ্যাকিং হলেও বা আপনার ফেসবুকের ই-মেইল আইডি পরিবর্তন করে ফেললেও মোবাইল নম্বর নিয়ে তা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, April 6, 2013

ব্লগের লেখা ফেসবুকে

অনেকেই তাদের ব্লগের লেখা ফেসবুকের অ্যাকাউন্টে, গ্রুপে এবং ফ্যান পেজে শেয়ার করেন। ফেসবুকের একটি অ্যাপলিকেশনের সাহায্যে ব্লগের লেখা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুকে শেয়ার করা যায়। এর জন্য প্রথমে https://apps.facebook. com/rssgraffiti ঠিকানায় যান। এখন to Permissions Dialog বাটনে ক্লিক করুন। তারপর নতুন পেজ এলে to App বাটনে ক্লিক করুন। তারপর Allow বাটনে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Add New Publishing Plan-এ ক্লিক করুন। এখন আপনার পাবলিশিং প্ল্যানের কোনো নাম (যেমন: Blogpost) দিয়ে Create Publishing Plan বাটনে ক্লিক করুন। 
পাবলিশিং প্ল্যানের নামের (Blogpost) নিচে SOURCES-এর পাশে ADD NEW তে ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো ওপেন হলে আপনার ব্লগের ঠিকানা (URL) লিখে Add Source বাটনে ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো এলে Feed Title-এ আপনার ব্লগের টাইটেল নেম এবং Feed URL-এ দেখবেন আপনার ব্লগের ঠিকানা লেখা আছে। এখন নিচে SCHEDULIN থেকে Update Frequency তে দেখে নিন আপনার ব্লগের পোস্টগুলো কতবার কখন কখন পোস্ট হবে। ইচ্ছে হলে আপনার নিজের মতো করে সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। তারপর Save বাটনে ক্লিক করুন। এখন ডান পাশে TARGET-এর পাশে ADD NEW তে ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো এলে ওপরে TARGET SETUP-এর পাশে Choose Target থেকে আপনার ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট, ফেসবুকের গ্রুপ বা ফেসবুকের ফ্যান পেজ নির্বাচন করে নিচে Save Changes বাটনে ক্লিক করুন। এখন SOURCES এবং TARGET-এর মধ্যের OFF-এ ক্লিক করে ON করে দিন। ফেসবুকের কোনো গ্রুপে বা ফ্যান পেজে ব্লগের লেখা স্বয়ংক্রিয় পোস্ট করতে চাইলে আপনাকে ওই গ্রুপের বা ফ্যান পেজের অ্যাডমিন হতে হবে।
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, April 3, 2013

ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো

স্টিভ জবস বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও অ্যানিমেশন স্টুডিও পিক্সারের (টয় স্টোরি, ফাইন্ডিং নিমো, মনস্টার ইনকরপোরেটেড, ওয়াল-ই, আপ-এর মতো অসাধারণ অ্যানিমেশন তৈরি করেছেন) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ২০০৫ সালে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন স্টিভ জবস। সে বছর ১২ জুন এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যে ভাষণটি তিনি দিয়েছিলেন, সেটি সত্যিই অসাধারণ। 
ভাষান্তর সিমু নাসের 

প্রথমেই একটা সত্য কথা বলে নিই। আমি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় পাস করিনি। তাই সমাবর্তন জিনিসটাতেও আমার কখনো কোনো দিন উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। এর চেয়ে বড় সত্য কথা হলো, আজকেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সবচেয়ে কাছে থেকে দেখছি আমি। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। কোনো কথার ফুলঝুরি নয় আজ, স্রেফ তিনটা গল্প বলব আমি তোমাদের। এর বাইরে কিছু নয়।

আমার প্রথম গল্পটি কিছু বিচ্ছিন্ন বিন্দুকে এক সুতায় বেঁধে ফেলার গল্প।
ভর্তি হওয়ার ছয় মাসের মাথাতেই রিড কলেজে পড়ালেখায় ক্ষ্যান্ত দিই আমি। যদিও এর পরও সেখানে আমি প্রায় দেড় বছর ছিলাম, কিন্তু সেটাকে পড়ালেখা নিয়ে থাকা বলে না। আচ্ছা, কেন আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লাম?
এর শুরু আসলে আমার জন্মেরও আগে। আমার আসল মা ছিলেন একজন অবিবাহিত তরুণী। তিনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। আমার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আমাকে এমন কারও কাছে দত্তক দেবেন, যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে। সিদ্ধান্ত হলো এক আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রী আমাকে দত্তক নেবেন। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে দেখা গেল, ওই দম্পতির কারোরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেই, বিশেষ করে আইনজীবী ভদ্রলোক কখনো হাইস্কুলের গণ্ডিই পেরোতে পারেননি। আমার মা তো আর কাগজপত্রে সই করতে রাজি হন না। অনেক ঘটনার পর ওই দম্পতি প্রতিজ্ঞা করলেন, তাঁরা আমাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন, তখন মায়ের মন একটু গলল। তিনি কাগজে সই করে আমাকে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন।
এর ১৭ বছর পরের ঘটনা। তাঁরা আমাকে সত্যি সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বোকার মতো বেছে নিয়েছিলাম এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়, যার পড়ালেখার খরচ প্রায় তোমাদের এই স্ট্যানফোর্ডের সমান। আমার দরিদ্র মা-বাবার সব জমানো টাকা আমার পড়ালেখার পেছনে চলে যাচ্ছিল। ছয় মাসের মাথাতেই আমি বুঝলাম, এর কোনো মানে হয় না। জীবনে কী করতে চাই, সে ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা এ ব্যাপারে কীভাবে সাহায্য করবে, সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। অথচ মা-বাবার সারা জীবনের জমানো সব টাকা এই অর্থহীন পড়ালেখার পেছনে আমি ব্যয় করছিলাম। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং মনে হলো যে এবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। সিদ্ধান্তটা ভয়াবহ মনে হলেও এখন আমি যখন পেছন ফিরে তাকাই, তখন মনে হয়, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ডিগ্রির জন্য দরকারি কিন্তু আমার অপছন্দের কোর্সগুলো নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারলাম, কোনো বাধ্যবাধকতা থাকল না, আমি আমার আগ্রহের বিষয়গুলো খুঁজে নিতে লাগলাম।
পুরো ব্যাপারটিকে কোনোভাবেই রোমান্টিক বলা যাবে না। আমার কোনো রুম ছিল না, বন্ধুদের রুমের ফ্লোরে ঘুমোতাম। ব্যবহূত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে আমি পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতাম, যেটা দিয়ে খাবার কিনতাম। প্রতি রোববার রাতে আমি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য। এটা আমার খুবই ভালো লাগত। এই ভালো লাগাটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
রিড কলেজে সম্ভবত দেশে সেরা ক্যালিগ্রাফি শেখানো হতো সে সময়। ক্যাম্পাসে সাঁটা পোস্টারসহ সবকিছুই করা হতো চমত্কার হাতের লেখা দিয়ে। আমি যেহেতু আর স্বাভাবিক পড়ালেখার মাঝে ছিলাম না, তাই যে কোনো কোর্সই চাইলে নিতে পারতাম। আমি ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হয়ে গেলাম। সেরিফ ও স্যান সেরিফের বিভিন্ন অক্ষরের মধ্যে স্পেস কমানো-বাড়ানো শিখলাম, ভালো টাইপোগ্রাফি কীভাবে করতে হয়, সেটা শিখলাম। ব্যাপারটা ছিল সত্যিই দারুণ সুন্দর, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরের একটা আর্ট। আমি এর মধ্যে মজা খুঁজে পেলাম।
এ ক্যালিগ্রাফি জিনিসটা কোনো দিন বাস্তবজীবনে আমার কাজে আসবে—এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ১০ বছর পর আমরা যখন আমাদের প্রথম ম্যাকিন্টোস কম্পিউটার ডিজাইন করি, তখন এর পুরো ব্যাপারটাই আমার কাজে লাগল। ওটাই ছিল প্রথম কম্পিউটার, যেটায় চমত্কার টাইপোগ্রাফির ব্যবহার ছিল। আমি যদি সেই ক্যালিগ্রাফি কোর্সটা না নিতাম, তাহলে ম্যাক কম্পিউটারে কখনো নানা রকম অক্ষর (টাইপফেইস) এবং আনুপাতিক দূরত্বের অক্ষর থাকত না। আর যেহেতু উইন্ডোজ ম্যাকের এই ফন্ট সরাসরি নকল করেছে, তাই বলা যায়, কোনো কম্পিউটারেই এ ধরনের ফন্ট থাকত না। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয় না ছাড়তাম, তাহলে আমি কখনোই ওই ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হতাম না এবং কম্পিউটারে হয়তো কখনো এত সুন্দর ফন্ট থাকত না। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে এক সুতায় বাঁধা অসম্ভব ছিল, কিন্তু ১০ বছর পর পেছনে তাকালে এটা ছিল খুবই পরিষ্কার একটা বিষয়।
আবার তুমি কখনোই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সুতায় বাঁধতে পারবে না। এটা কেবল পেছনে তাকিয়েই সম্ভব। অতএব, তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একসময় ভবিষ্যতে গিয়ে একটা অর্থবহ জিনিসে পরিণত হবেই। তোমার ভাগ্য, জীবন, কর্ম, কিছু না কিছু একটার ওপর তোমাকে বিশ্বাস রাখতেই হবে। এটা কখনোই আমাকে ব্যর্থ করেনি, বরং উল্টোটা করেছে।

আমার দ্বিতীয় গল্পটি ভালোবাসা আর হারানোর গল্প।
আমি খুব ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, জীবনের শুরুতেই আমি যা করতে ভালোবাসি, তা খুঁজে পেয়েছিলাম। আমার বয়স যখন ২০, তখন আমি আর ওজ দুজনে মিলে আমাদের বাড়ির গ্যারেজে অ্যাপল কোম্পানি শুরু করেছিলাম। আমরা পরিশ্রম করেছিলাম ফাটাফাটি, তাই তো দুজনের সেই কোম্পানি ১০ বছরের মাথায় চার হাজার কর্মচারীর দুই বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়। আমার বয়স যখন ৩০, তখন আমরা আমাদের সেরা কম্পিউটার ম্যাকিন্টোস বাজারে ছেড়েছি। এর ঠিক এক বছর পরের ঘটনা। আমি অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হই। যে কোম্পানির মালিক তুমি নিজে, সেই কোম্পানি থেকে কীভাবে তোমার চাকরি চলে যায়? মজার হলেও আমার ক্ষেত্রে সেটা ঘটেছিল। প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপল যখন বড় হতে লাগল, তখন কোম্পানিটি ভালোভাবে চালানোর জন্য এমন একজনকে নিয়োগ দিলাম, যে আমার সঙ্গে কাজ করবে। এক বছর ঠিকঠাকমতো কাটলেও এর পর থেকে তার সঙ্গে আমার মতের অমিল হতে শুরু করল। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ তার পক্ষ নিলে আমি অ্যাপল থেকে বহিষ্কৃত হলাম। এবং সেটা ছিল খুব ঢাকঢোল পিটিয়েই। তোমরা বুঝতেই পারছ, ঘটনাটা আমার জন্য কেমন হতাশার ছিল। আমি সারা জীবন যে জিনিসটার পেছনে খেটেছি, সেটাই আর আমার রইল না।
সত্যিই এর পরের কয়েক মাস আমি দিশেহারা অবস্থায় ছিলাম। আমি ডেভিড প্যাকার্ড ও বব নয়েসের সঙ্গে দেখা করে পুরো ব্যাপারটার জন্য ক্ষমা চাইলাম। আমাকে তখন সবাই চিনত, তাই এই চাপ আমি আর নিতে পারছিলাম না। মনে হতো, ভ্যালি ছেড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু সেই সঙ্গে আরেকটা জিনিস আমি বুঝতে পারলাম, আমি যা করছিলাম, সেটাই আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। চাকরিচ্যুতির কারণে কাজের প্রতি আমার ভালোবাসা এক বিন্দুও কমেনি। তাই আমি আবার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
প্রথমে মনে না হলেও পরে আবিষ্কার করলাম, অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুতিটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনা। আমি অনেকটা নির্ভার হয়ে গেলাম, কোনো চাপ নেই, সফল হওয়ার জন্য বাড়াবাড়ি রকমের কৌশল নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই। আমি প্রবেশ করলাম আমার জীবনের সবচেয়ে সৃজনশীল অংশে।
পরবর্তী পাঁচ বছরে নেক্সট ও পিক্সার নামের দুটো কোম্পানি শুরু করি আমি, আর প্রেমে পড়ি এক অসাধারণ মেয়ের, যাকে পরে বিয়ে করি। পিক্সার থেকে আমরা পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার অ্যানিমেশন ছবি টয় স্টোরি তৈরি করি, আর এখন তো পিক্সারকে সবাই চেনে। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল অ্যানিমেশন স্টুডিও। এরপর ঘটে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা। অ্যাপল নেক্সটকে কিনে নেয় এবং আমি অ্যাপলে ফিরে আসি। আর লরেনের সঙ্গে চলতে থাকে আমার চমত্কার সংসার জীবন।
আমি মোটামুটি নিশ্চিত, এগুলোর কিছুই ঘটত না, যদি না অ্যাপল থেকে আমি চাকরিচ্যুত হতাম। এটা ছিল খুব বাজে, তেতো একটা ওষুধ আমার জন্য, কিন্তু দরকারি। কখনো কখনো জীবন তোমাকে ইটপাটকেল মারবে, কিন্তু বিশ্বাস হারিয়ো না। আমি নিশ্চিত, যে জিনিসটা আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেটা হচ্ছে, আমি যে কাজটি করছিলাম, সেটাকে আমি অনেক ভালোবাসতাম। তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে, ঠিক যেভাবে তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে বের করো। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সত্যিকারের সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এমন কাজ করা, যে কাজ সম্পর্কে তোমার ধারণা, এটা একটা অসাধারণ কাজ। আর কোনো কাজ তখনই অসাধারণ মনে হবে, যখন তুমি তোমার কাজটিকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও, তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেয়ো না। তোমার মনই তোমাকে বলে দেবে, যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যেকোনো ভালো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতই তুমি করতে থাকবে, সময় যাবে, ততই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো, যতক্ষণ না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছ। অন্য কোনোখানে নিজেকে স্থায়ী করে ফেলো না।

আমার শেষ গল্পটির বিষয় মৃত্যু।
আমার বয়স যখন ১৭ ছিল, তখন আমি একটা উদ্ধৃতি পড়েছিলাম—‘তুুমি যদি প্রতিটি দিনকেই তোমার জীবনের শেষ দিন ভাব, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সত্যিই সঠিক হবে।’ এ কথাটা আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল এবং সেই থেকে গত ৩৩ বছর আমি প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করি—আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো, তাহলে আমি কি যা যা করতে যাচ্ছি, আজ তা-ই করতাম, নাকি অন্য কিছু করতাম? যখনই এ প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গে কয়েক দিন ‘না’ হতো, আমি বুঝতাম, আমার কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে।
পৃথিবী ছেড়ে আমাকে একদিন চলে যেতে হবে, এ জিনিসটা মাথায় রাখার ব্যাপারটাই জীবনে আমাকে বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। কারণ, প্রায় সবকিছুই যেমন, সব অতি প্রত্যাশা, সব গর্ব, সব লাজলজ্জা আর ব্যর্থতার গ্লানি—মৃত্যুর মুখে হঠাত্ করে সব নেই হয়ে যায়, টিকে থাকে শুধু সেটাই, যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তোমার কিছু হারানোর আছে—আমার জানা মতে, এ চিন্তা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, সব সময় মনে রাখা যে একদিন তুমি মরে যাবে। তুমি খোলা বইয়ের মতো উন্মুক্ত হয়েই আছ। তাহলে কেন তুমি সেই পথে যাবে না, যে পথে তোমার মন যেতে বলছে তোমাকে?
প্রায় এক বছর আগের এক সকালে আমার ক্যানসার ধরা পড়ে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, এর থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই আমার। প্রায় নিশ্চিতভাবে অনারোগ্য এই ক্যানসারের কারণে তাঁরা আমার আয়ু বেঁধে দিলেন তিন থেকে ছয় মাস। উপদেশ দিলেন বাসায় ফিরে যেতে। যেটার সোজাসাপটা মানে দাঁড়ায়, বাসায় গিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। এমনভাবে জিনিসটাকে ম্যানেজ করো, যাতে পরিবারের সবার জন্য বিষয়টা যথাসম্ভব কম বেদনাদায়ক হয়।
সারা দিন পর সন্ধ্যায় আমার একটা বায়োপসি হলো। তাঁরা আমার গলার ভেতর দিয়ে একটা এন্ডোস্কোপ নামিয়ে দিয়ে পেটের ভেতর দিয়ে গিয়ে টিউমার থেকে সুঁই দিয়ে কিছু কোষ নিয়ে এলেন। আমাকে অজ্ঞান করে রেখেছিলেন, তাই কিছুই দেখিনি। কিন্তু আমার স্ত্রী পরে আমাকে বলেছিল, চিকিত্সকেরা যখন এন্ডোস্কোপি থেকে পাওয়া কোষগুলো মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে পরীক্ষা করা শুরু করলেন, তখন তাঁরা কাঁদতে শুরু করেছিলেন। কারণ, আমার ক্যানসার এখন যে অবস্থায় আছে, তা সার্জারির মাধ্যমে চিকিত্সা সম্ভব। আমার সেই সার্জারি হয়েছিল এবং দেখতেই পাচ্ছ, এখন আমি সুস্থ। 
কেউই মরতে চায় না। এমনকি যারা স্বর্গে যেতে চায়, তারাও সেখানে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি মরতে চায় না। কিন্তু মৃত্যুই আমাদের গন্তব্য। এখনো পর্যন্ত কেউ এটা থেকে বাঁচতে পারেনি। এমনই তো হওয়ার কথা। কারণ, মৃত্যুই সম্ভবত জীবনের অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। এটা জীবনের পরিবর্তনের এজেন্ট। মৃত্যু পুরোনোকে ঝেড়ে ফেলে ‘এসেছে নতুন শিশু’র জন্য জায়গা করে দেয়। এই মুহূর্তে তোমরা হচ্ছ নতুন, কিন্তু খুব বেশি দিন দূরে নয়, যেদিন তোমরা পুরোনো হয়ে যাবে এবং তোমাদের ঝেড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমার অতি নাটুকেপনার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এটাই আসল সত্য।
তোমাদের সময় সীমিত। কাজেই কোনো মতবাদের ফাঁদে পড়ে, অর্থাত্ অন্য কারও চিন্তাভাবনার ফাঁদে পড়ে অন্য কারও জীবনযাপন করে নিজের সময় নষ্ট কোরো না। যাদের মতবাদে তুমি নিজের জীবন চালাতে চাচ্ছ, তারা কিন্তু অন্যের মতবাদে চলেনি, নিজের মতবাদেই চলেছে। তোমার নিজের ভেতরের কণ্ঠকে অন্যদের শেকলে শৃঙ্খলিত করো না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, নিজের মন আর ইনটুইশনের মাধ্যমে নিজেকে চালানোর সাহস রাখবে। ওরা যেভাবেই হোক, এরই মধ্যে জেনে ফেলেছে, তুমি আসলে কী হতে চাও। এ ছাড়া আর যা বাকি থাকে, সবই খুব গৌণ ব্যাপার।
আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন দি হোল আর্থ ক্যাটালগ নামের অসাধারণ একটা পত্রিকা প্রকাশিত হতো; যেটা কিনা ছিল আমাদের প্রজন্মের বাইবেল। এটা বের করতেন স্টুয়ার্ড ব্র্যান্ড নামের এক ভদ্রলোক। তিনি তাঁর কবিত্ব দিয়ে পত্রিকাটিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন।
স্টুয়ার্ট ও তাঁর টিম পত্রিকাটির অনেক সংখ্যা বের করেছিল। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, আমার বয়স যখন ঠিক তোমাদের বয়সের কাছাকাছি, তখন পত্রিকাটির শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বিদায়ী সেই সংখ্যার শেষ পাতায় ছিল একটা ভোরের ছবি। তার নিচে লেখা ছিল—ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এটা ছিল তাদের বিদায়কালের বার্তা। ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এবং আমি নিজেও সব সময় এটা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। আজ তোমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি ছেড়ে আরও বড়, নতুন একটা জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, আমি তোমাদেরও এটা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো।

Tuesday, February 12, 2013

আউটসোর্সিং শুরু করার বই

আউটসোর্সিং : শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর
-মো. আমিনুর রহমান

এবারের বই মেলায় তাম্রলিপির স্টলে(১৮১, ১৮২, ১৮৩) and http://rokomari.com/book/61910 -এ পাওয়া যাচ্ছে বইটি
Fro home delivery call (01841 115 115)

Book Summary

গত বছরের শুরুতে ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে’ শিরোনামে আমার এই লেখাগুলো প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হয়েছিল। তখন বিপুল পরিমাণ পাঠকের সাড়া পেয়েছিলাম। অনেক পাঠক অনুরোধ করেছিল লেখাগুলো বই আকারে বের করার জন্য। কিন্তু সময় স্বল্পতার জন্য তখন আর বই বের করা হলো না। তারপর থেকেই প্রস্তুতি শুরু। তার সাথে নতুন আরও অনেক কিছু যোগ করে এবং আরও বিস্তারিত ভাবে এই বইটি লেখার চেষ্টা করেছি। এই বইটি পড়ে জানতে পারবেন আউটসোর্সিং শুরু করতে হবে কীভাবে, কোথায় কাজ পাওয়া যাবে, কোন কাজের কী যোগ্যতা লাগে, কীভাবে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন, কীভাবে জবে আবেদন করবেন, ইন্টারভিউ হয় কীভাবে, অর্থ উত্তোলন করবেন কীভাবে, কীভাবে কোম্পানি দিবেন, কোম্পানির পেমেন্ট মেথড ভেরিফাই করবেন, কনট্রাকটরকে হায়ার করবেন কীভাবে, কনট্রাকটরকে পেমেন্ট দিবেন কোথায় থেকে, সমস্যার সমাধান পাবেন কোথায়, সহজে কাজ পাওয়ার কিছু টিপস, ফ্রিল্যান্সিং সাইট চিনবার উপায় এবং কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারের সফলতার গল্প।

ভূমিকা

আউটসোর্সিং শব্দটি হয়তো শুনেছেন। আউটসোর্সিং করে অনেকে লাখ লাখ টাকা আয় করে এ কথাও হয়তো শুনেছেন। কিন্তু বিষয়টি কী, কীভাবে, কী করতে হয় এসব কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারও কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই, আউটসোর্সিং কী জিনিস? এর মাধ্যমে নাকি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়?’ আপনার সে ভাই উত্তর দিলেন, ‘কেউ কেউ এর চেয়েও বেশি ইনকাম করেন। আপনি কম্পিউটারের কী কী জানেন?’ আপনি উত্তর দিলেন, ‘আমি তেমন কিছুই জানি না। এমএস ওয়ার্ড জানি, ফেসবুকে আমার একটা অ্যাকাউন্ট আছে, কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞান আছে এই আর কি?’ আপনার সে ভাই জানালেন, ‘আপনি কি মনে করেছেন ডলার ইনকাম করা এতোই সোজা? এখানে সারা বিশ্বের প্রোগ্রামারদের সাথে কম্পিটিশন দিয়ে জবে বিড করে কাজ পেতে হয়। আপনি যতটা সহজ ভাবছেন ততটা সহজ না।’ এ কথা শুনে আউটসোর্সিংয়ের প্রতি আপনার আগ্রহই নষ্ট হয়ে গেল, স্বপ্নটাও মরে গেল। আপনার ওই ভাই যদিও সত্যি কথাই বলেছেন তবু আপনার প্রশ্নের উত্তর এমনও হতে পারত, ‘আপনি কোনো আউটসোর্সিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে দেখতে পারেন। ওখানে ফেসবুকের বেশ কিছু কাজ পাওয়া যায়। যেমন ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া, ফেসবুকের ফ্যান পেইজে লাইক সংগ্রহ করে দেওয়া, ডেটা এন্ট্রিরও অনেক কাজ আছে। আপনি অল্প রেটে আবেদন করলে সহজেই কাজ পেয়ে যেতে পারেন। আপনি হয়তো শুরুতে বেশি ইনকাম করতে পারবেন না, তবে চেষ্টা চালিয়ে গেলে ধীরে ধীরে আপনার ইনকাম বাড়বে। তখন আপনি নিজেই বুঝে যাবেন কীভাবে, কী করতে হবে?’ এ ধরনের উত্তর শুনে আপনি অনেক উৎসাহিত হবেন।

এই বইয়ে আমি যতটুকু সম্ভব আউটসোর্সিং বিষয়টিকে সহজভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। বইটি পড়ে যদি পাঠকেরা উপকৃত হয় তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।

-মো. আমিনুর রহমান

সূচিপত্র

আউটসোর্সিং
যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়
কোন কাজের কী যোগ্যতা?
কাজ পাবেন যেখানে
কীভাবে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
কীভাবে জব খুঁজবেন?
কীভাবে জবে আবেদন করবেন?
ইন্টারভিউ নেয় কীভাবে?
কীভাবে জব করবেন?
কীভাবে অর্থ উত্তোলন করবেন?
ওডেস্কে কোম্পানি দেবেন কীভাবে?
কীভাবে কোম্পানির পেমেন্ট মেথড ভেরিফাই করবেন?
কীভাবে জব পোস্ট করবেন?
কনট্রাকটরকে হায়ার করবেন যেভাবে
কনট্রাকটরকে পেমেন্ট দেবেন কোথা থেকে?
সমস্যার সমাধান পাবেন যেখানে
সহজে কাজ পাওয়ার কিছু টিপস
ফ্রিল্যান্সিং সাইট চেনার উপায়
সফলতার গল্প

লেখক পরিচিতি

মো. আমিনুর রহমান। লেখাপড়া করেছেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বর্ষে পড়ার সময় থেকেই প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে লেখালেখি শুরু করেন, চলছে এখনো। তৃতীয়বর্ষে পড়ার সময় ডাক্তারদের জন্য তৈরি করেন ডক্টর প্রেসক্রিপশন নামের একটি সফ্টওয়্যার। সেটি নিয়ে ১৮-০৭-২০০৮ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে এবং ২১-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কয়েকজন ডাক্তার এখনো এই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করছেন। চতুর্থবর্ষে পড়ার সময় তৈরি করেন এসএমএসে টিকেট কাটার সফ্টওয়্যার। ২৩-১০-২০০৯ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে সেটি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার মাস ছয়েক পর মোবাইল কোম্পানিগুলো এই ধরনের একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য ব্যবহার করেন।

গত বছরের শুরুতে ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে’ শিরোনামে লেখকের এই লেখাগুলো প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হয়েছিল। অনেকটা শখের বসেই লেখালেখি করেন। পেশা তাঁর আউটসোর্সিং। ভালোবাসেন সমরেশ মজুমদার এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই পড়তে, সিনেমা দেখতে, আনিসুল হকের লেখা নাটক দেখতে এবং মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা কলাম পড়তে।


Thursday, January 31, 2013

আউটসোর্সিং : নতুনদের কাজ পাওয়ার কিছু টিপস

আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ওডেস্ক ডট কমে চার-পাঁচটা কাজের আবেদন করেই কাজ (জব) পেয়ে যায়। আবার কেউ কেউ ১০০টা আবেদন করেও কাজ পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কত কম পারিশ্রমিকে (ডলার) আবেদন করেছেন, তার ওপর। নতুন যাঁরা ওডেস্কের মাধ্যমে কোম্পানি হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন বা করতে চান, তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো নিচে—
১. যেসব কাজদাতা বা বায়ারের লেনদেন পদ্ধতি পরীক্ষিত (পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড) হয় না, সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাকটরকে কাজ দিতে গেলে বায়ারের লেনদেন পদ্ধতি পরীক্ষিত থাকতে হয়।
২. কোনো একটা কাজ প্রকাশ (জব পোস্ট) করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন ততই ভালো।
৩. আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে (ওডেস্কে) থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, কিছু কিছু জব আছে যেগুলো প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে মানে এক দুই ঘণ্টার মধ্যেই করে জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া বা হঠাৎ করে কোন ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে বায়ার আপনাকে কোনো মেসেজ দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার রিপ্লাই দিতে পারেন। তাহলে বায়ার বুঝতে পারবে, আপনি কাজের প্রতি কতটা আন্তরিক।
৫. ওডেস্কে দেখবেন, প্রতি মিনিটে নতুন নতুন জব পোস্ট করা হচ্ছে সেগুলোতে আবেদন করুন। যেসব জবে কোনো কনট্রাকটরকে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেসব জবে আবেদন না করাই ভালো। নিচের ছবিতে দেখুন, ছবির নিচের অংশে ডান পাশে Interviewing: 1লেখা আছে। অর্থাৎ এই জবে একজন কনট্রাকটরের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। বায়ার যদি তার পছন্দের কনট্রাকটর পেয়ে যায়, তাহলে আর অন্য কনট্রাকটরদের প্রোফাইল দেখবে না। 
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, January 29, 2013

ওডেস্কে কোম্পানি দেবেন যেভাবে

আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়ার জন্য মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) মধ্যে জনপ্রিয় ওডেস্ক ডট কম। অনেক দিন ধরেই হয়তো ওডেস্কে কাজ করছেন, অনেক প্রকল্প সম্পন্নও করেছেন। এখন অনেক কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন। কিন্তু একা সব কাজ করে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। আবার কোনো সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান চালু করার মতো অবস্থাও হয়নি।
এ অবস্থায় চাইলে ওডেস্কেই কোম্পানি খুলে বসতে পারেন। আপনার কনট্রাকটর অ্যাকাউন্টকে একই সঙ্গে কনট্রাকটর ও কোম্পানি, দুভাবে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ আপনি একই সঙ্গে অন্যদের কাছে কাজের (জব) আবেদন করতে পারবেন, আবার আপনি নিজে কাজের ঘোষণা দিয়ে কনট্রাকটরদের দিয়ে কাজটি করিয়েও নিতে পারবেন। এতে সুবিধা হবে আপনি একটি কাজ ১৫০ ডলার চুক্তিতে নিয়ে অন্য কনট্রাকটর দিয়ে সেটি ১০০ ডলারে করিয়ে নিলেন, আপনার লাভ থাকল ৫০ ডলার।
ওডেস্কে কোম্পানি দেওয়ার জন্য প্রথমে আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে হবে। ওপরে Wallet-এর নিচে Profile-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি www.odesk.com/d/profile.php ঠিকানায় যান। এখন বাঁ পাশে সবার নিচে Create a company-এ ক্লিক করুন। এখন দুটি অপশনের নিচেরটি I want to post jobs and hire oDesk contractors(Client)-এর পাশের বক্সে টিক চিহ্ন দিন এবং Company Name-এর পাশের বক্সে আপনার কোম্পানির নাম দিন। এখন Create Your Company বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই আপনার কোম্পানি তৈরি হয়ে যাবে।
এখন ওপরে ডান পাশে আপনার নামের ডান পাশে দেখুন ছোট ত্রিভুজ আকৃতির চিহ্ন যুক্ত আছে। এখানে ক্লিক করলে দুটি নাম দেখতে পাবেন। একটি হলো আপনার নাম এবং অন্যটি আপনার কোম্পানির নাম।
আপনার নামের ওপর ক্লিক করলে আপনার কনট্রাকটর প্রোফাইল ওপেন হবে আর কোম্পানির নামের ওপর ক্লিক করলে কোম্পানির প্রোফাইল ওপেন হবে। এখন আপনার কোম্পানির নামের ওপর ক্লিক করুন। তাহলে নিচে ছবির মতো একটি পেজ দেখতে পাবেন। এটিই হলো আপনার কোম্পানির প্রোফাইল।
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, January 9, 2013

ডাউনলোড ম্যানেজারে ফাইল নামে দ্রুত

আপনি যে ফাইল বা সফটওয়্যারটি ইন্টারনেট থেকে নামাতে চান সেটি যদি অনেক বড় হয়, তাহলে নামতে অনেক সময় নেবে। এর মধ্যে যদি বিদ্যুৎ চলে যায় বা কোনো কারণে ডাউনলোড বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তা আবার নতুন করে ডাউনলোড করতে হয়। এতে অনেক সময় নষ্ট হয়। অথচ আপনি ডাউনলোডের এ কাজটি খুব সহজেই করতে পারেন ডাউনলোড ম্যানেজার সফটওয়্যার দিয়ে। এই সফটওয়্যারটি দিয়ে ফাইল খুব দ্রুত নামানো যায় এবং এতে রিজ্যুম-সুবিধাও আছে। অর্থাৎ কোনো ফাইলের কিছু অংশ নামানোর পর হঠাৎ ডাউনলোড হয়ে গেলে পরে যখন আবার ডাউনলোড শুরু হবে তখন আগে যতটুকু নামানো হয়েছে তার পর থেকে ডাউনলোড হতে থাকবে। এই সফটওয়্যারটি পাওয়া যাবে www.freedownloadmanager.org/download.htm ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে। এর আকার ৭.৩ মেগাবাইট। 
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, January 2, 2013

উইন্ডোজ ৭-এর তারিখের ধরন বদলে নিন

সাধারণত আমরা দিন-মাস-বছর ধরনে (ফরম্যাট) তারিখ ব্যবহার করি। কিন্তু প্রায় সব অপারেটিং সিস্টেমেই তারিখ ফরম্যট থাকে মাস-দিন-বছর হিসেবে। তাই অনেককেই দিন ও মাস নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।
কম্পিউটারের তারিখ দেখানোর ধরন পরিবর্তন করে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমের তারিখ ফরম্যাট বদলানোর জন্য প্রথমে নিচে ডান পাশ থেকে তারিখে ক্লিক করুন। এখন Change date and time settings-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটির Change date and time-এ ক্লিক করুন। এখন Change calendar settings-এ ক্লিক করে দেখুন Short date-এ mm/dd/yyyy নির্বাচন করা আছে। সেটি পরিবর্তন করে dd-mm-yyyy করে ok করুন। দেখবেন আপনার কম্পিউটারের তারিখ ফরম্যাট পরিবর্তন হয়ে দিন-মাস-বছরে রূপান্তরিত হয়েছে।
উইন্ডোজ এক্সপির তারিখ ফরম্যাট পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে Control panel-এ গিয়ে Regional and Language options-এ দুই ক্লিক করুন। এখন Customize-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটির Date-এ ক্লিক করুন। এখন Short date format-এ দেখুন mm/dd/yyyy নির্বাচন করা আছে। সেটি পরিবর্তন করে dd-mmm-yy নির্বাচন করে ok করুন। পরের উইন্ডোতে আবার ok করুন। এখন দেখবেন আপনার কম্পিউটারের তারিখ ফরম্যাট পরিবর্তন হয়ে দিন-মাস-বছরে রূপান্তরিত হয়েছে।
—মো. আমিনুর রহমান