Wednesday, September 28, 2011

সিডি বা ডিভিডি কপি করতে পারছেন না?

অনেক সময় সিডি বা ডিভিডি পুরোনো হয়ে গেলে বা বেশি বেশি চালালে সিডি বা ডিভিডির ফাইলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তখন আর সেগুলো কপি হয় না। আপনার অনেক দরকারি তথ্য হয়তো কোনো সিডি বা ডিভিডিতে জমা (কপি) করে রেখেছেন, কিন্তু সেই সিডি বা ডিভিডি যদি আর ওপেন না হয়, অর্থাৎ সেই তথ্যগুলো যদি আর পড়া না যায়, তাহলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। আপনি চাইলে ছোট একটি সফটওয়্যারের সাহায্যে সেই নষ্ট সিডি বা ডিভিডির ফাইলগুলো কপি করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে http://www.recoverytoolbox.com/cd.html ঠিকানা থেকে মাত্র ৬৫৫ কিলোবাইটের রিকভারি টুলবক্স সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) ইনস্টল করে ওপেন করলে দেখবেন, আপনার সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভটি দেখা যাচ্ছে। এখন পরপর দুবার Next-এ ক্লিক করলে দেখবেন, আপনার সিডি বা ডিভিডির ফাইলগুলো দেখা যাচ্ছে। এখন সব ফাইল কপি করতে চাইলে বাঁ পাশ থেকে সব বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save-এ ক্লিক করুন। অথবা নির্দিষ্ট কিছু ফাইল কপি করতে চাইলে বাঁ পাশ থেকে নির্দিষ্ট বক্সগুলোয় টিক চিহ্ন দিয়ে Save-এ ক্লিক করুন। ফাইলগুলো কপি হওয়ার পর সি ড্রাইভে গিয়ে দেখবেন CDRestored ফোল্ডারের ভেতর ফাইলগুলো সেভ হয়েছে এবং সেগুলো ঠিকমতোই আছে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, September 27, 2011

মুছে ফেলা ফাইল ফিরে পাওয়া

যদি আপনার কম্পিউটারের জরুরি কোনো ফাইল মুছে ফেলা হয় (ডিলিট করা), তাহলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। ইজি রিকভারি প্রো ৫.০ সফটওয়্যার দিয়ে খুব সহজেই সেই ফাইলগুলো ফিরিয়ে আনতে পারেন।
এ জন্য www.mediafire.com/?x4f8qlnbasaxq2u ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে মাত্র ৩.৩ মেগাবাইটের সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) নিতে পারেন। তারপর সফটওয়্যারটি ইনস্টল করুন। ইনস্টল হওয়ার পর এটি খুলে Next-এ ক্লিক করুন। যে ড্রাইভ থেকে আপনার ফাইলগুলো ডিলিট হয়েছে, সেই ড্রাইভ নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো এলে আবার Next-এ ক্লিক করুন। এখন দেখবেন, বাঁ পাশে এই ড্রাইভ থেকে ডিলিট হওয়া সব ফাইল বা ফোল্ডার দেখা যাচ্ছে। যে ফোল্ডারের ফাইলগুলো ফিরিয়ে (রিকভার) আনতে চান, সেই ফোল্ডার নির্বাচন করুন। দেখবেন, ডান পাশে সেই ফোল্ডারের সব ফাইল দেখা যাচ্ছে। ফোল্ডারটির পাশের বক্সে টিক চিহ্ন দিন। দেখবেন, ডান পাশের সব ফাইলে টিক চিহ্ন চলে এসেছে। ফাইলগুলোসহ ফোল্ডারটি যে ড্রাইভে সেভ করতে চান, Destination-এ সেই ড্রাইভের নাম লিখে—যেমন, ডি ড্রাইভে সেভ করতে চাইলে D লিখে—Next-এ ক্লিক করুন। ডাটা রিকভারি সম্পন্ন হওয়ার পর Finish দিয়ে বেরিয়ে আসুন। মনে রাখবেন, যে ড্রাইভ থেকে ফাইলগুলো ডিলিট হয়েছিল, সেই ড্রাইভে সেভ করা যাবে না এবং সেই ড্রাইভের ফাইল সিস্টেম অবশ্যই FAT হতে হবে। কারণ, NTFS ফাইল সিস্টেম এই সফটওয়্যারটি সাপোর্ট করে না। কোনো ড্রাইভের ফাইল সিস্টেম কী, সেটা জানার জন্য ওই ড্রাইভে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে প্রোপার্টিজে গেলেই দেখতে পাবেন ওই ড্রাইভের ফাইল সিস্টেমের নাম। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, September 24, 2011

প্রাপক কি ই-মেইলটি পড়েছেন?

একটা সময় ছিল যখন চিঠি ছিলজনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম। কারও কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন কিন্তু সেটি তিনি পড়েছেন কি না তা আজও জানা হয়নি। আবার আপনি হয়তো কাউকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন এবং সেটি ছিল শেষ চিঠি। অনেক বছর পর যদি কখনো আপনাদের দেখা হয়ে যায় তখন হয়তো পুরোনো অনেক স্মৃতিই মনে পড়ে। তখন হয়তো সেই চিঠিটির কথাও মনে পড়ে। তখন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে হয়, ‘তুমি ভালো আছো তো?’ তখন যদি পুরোনো কোনো প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাহলে নিশ্চয়ই সেই চিঠির কথাও উঠে আসে। তখনই জানা যায় চিঠিটি তিনি পান-ই নি। তখন আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
সেই যুগ শেষ। এখন যোগাযোগের জন্য ই-মেইল, ফেসবুক, মোবাইল ফোন কত কী-ই না আছে! তবে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসেবে ই-মেইল আছে শীর্ষে।আপনি হয়তো কারও কাছে ই-মেইল করেছেন কিন্তু ই-মেইলটি প্রাপক পড়েছে কি না সেটা অনেক সময় জানার দরকার হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় প্রাপক ই-মেইলটি পড়েও বলেন, ‘আমি পড়িনি বা পাইনি।’ তখন আর কিছু করার থাকে না। আপনি হয়তো চাকরির জন্য ই-মেইলে অনেকগুলো জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু দেখা গেল কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই আপনাকে ডাকেনি বা মাত্র একটা-দুইটা প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে ডেকেছে। প্রশ্ন হতে পারে আপনার জীবনবৃত্তান্তগুলো কি কোনো প্রতিষ্ঠানেরই পছন্দ হয়নি নাকি আপনার ই-মেইলটি কেউ খুলেই দেখেনি। পছন্দ না হলে হয়তো জীবনবৃত্তান্ত সম্পাদনা করা যায়। কিন্তু যদি কেউ সেটি খুলেই না দেখে তবে তো আর ডাকার প্রশ্নই ওঠে না।
আপনার ই-মেইলটি প্রাপক পড়েছেন কি না সেটি সাধারণত জানার উপায় থাকে না। যদি এমন হতো যে আপনার ই-মেইলটি প্রাপক পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন চলে আসবে এবং সেটাতে লেখা থাকবে প্রাপকের মেইলটি পড়ার সময়, অবস্থান, আইপি ঠিকানা, কতবার পড়েছেন, ব্রাউজার নেম, অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে কেমন হতো?
এই কাজটি চাইলেই করতে পারেন।এ জন্য প্রথমে www.spypig.com/farm/signin.php ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে Sign up Now-এ ক্লিক করে নিবন্ধন করে সাইন-ইন করুন। তারপর ১. Your email address-এ আপনি যে মেইল ঠিকানায় ই-মেইলটি পড়ার নোটিফিকেশন পেতে চান সেটি লিখুন। ২. Your message title-এ আপনার ই-মেইলের সাবজেক্ট নাম লিখুন। ৩. Select your SpyPig tracking image থেকে কোনো একটি ছবি নির্বাচন করে নিচের বাটনে ক্লিক করুন। এখন ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে নিচের ছবিটি কপি করে ই-মেইল মেসেজের মধ্যে (বডি) পেস্ট করে আপনার ই-মেইলটি পাঠিয়ে দিন। এখন থেকে প্রাপক মেইলটি পড়লে সঙ্গে সঙ্গে SpyPigÊNotificationÊ নামে একটি মেইল আসবে আপনার ই-মেইলে।সেটিতে লেখা থাকবে প্রাপকের মেইলটি পড়ার সময়, অবস্থান, আইপি ঠিকানা, কতবার পড়েছেন, ব্রাউজার নেম, অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি।
—মো. আমিনুর রহমান

Thursday, September 15, 2011

ম্যাক ঠিকানাও পরিবর্তন করা যায়

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান) কার্ডের ঠিকানাকে (ফিজিক্যাল অ্যাড্রেস) বলা হলো ম্যাক অ্যাড্রেস। সাধারণত কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ দিলেই একটি আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা ওই কম্পিউটারের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়। যতবার কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া হয়, ততবারই একটি করে আইপি ঠিকানা ওই কম্পিউটারের জন্য নির্দিষ্ট হয়। অর্থাৎ আইপি ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট হয় এবং প্রায়ই দেখা যায় ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে ম্যাক ঠিকানা সাধারণত একই থাকে। অর্থাৎ একটি ল্যান কার্ডের একটি স্থায়ী ম্যাক ঠিকানা থাকে। তবে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে যেমন আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করা যায়, তেমনি ম্যাক ঠিকানাও পরিবর্তন করা যায়। হ্যাকাররা সাধারণত হ্যাকিং করার আগে কম্পিউটারের আইপি এবং ম্যাক ঠিকানা—দুটিই পরিবর্তন করে ফেলে। তাহলে আর খুব সহজে হ্যাকারদের ধরা যায় না। ম্যাক ঠিকানা পরিবর্তন করার তেমনই একটি সফটওয়্যার হলো টিম্যাক। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই ম্যাক অ্যাড্রেস পরিবর্তন করা যায়। তিন মেগাবাইটের মতো এই সফটওয়্যার বিনা মূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন http://download.cnet.com/Technitium-MAC-Address-Changer/3000-2085_4-10554920.html ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করার পর খুললেই সবার ওপরে দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের বর্তমান ম্যাক অ্যাড্রেস এবং তার পাশে লেখা আছে Changed-এর নিচে No। অর্থাৎ ম্যাক ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়নি। এখন সবার নিচে Change MAC-এ ক্লিক করুন। তারপর Random MAC Address-এ ক্লিক করে Change Now-এ ক্লিক করুন। কোনো বার্তা এলে Yes-এ ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। রিস্টার্ট দিতে বললে রিস্টার্ট করুন। এখন সবার ওপর দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের নতুন ম্যাক ঠিকানা এবং তার পাশে লেখা আছে Changed-এর নিচে Yes। ম্যাক ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়েছে। আবার আগের ম্যাক ঠিকানায় ফিরে যেতে চাইলে একইভাবে সবার নিচে Change MAC-এ ক্লিক করুন। তারপর Orginal MAC-এ ক্লিক করুন। কোনো বার্তা এলে Yes-এ ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। রিস্টার্ট দিতে বললে রিস্টার্ট দিন। দেখবেন আবার আপনার আগের ম্যাক অ্যাড্রেস ফিরে এসেছে এবং তার পাশে লেখা আছে Changed-এর নিচে No। অর্থাৎ ম্যাক (MAC) অ্যাড্রেস পরিবর্তন করা হয়নি। 
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, September 14, 2011

পেনড্রাইভে লুকানো ফাইল উদ্ধার করা

অনেক সময় দেখা যায় পেনড্রাইভে করে দরকারি কোনো ফাইল নিয়ে গেলেন অন্য কোনো কম্পিউটারে প্রিন্ট করার জন্য। কিন্তু অন্য কম্পিউটারে আপনার পেনড্রাইভ লাগানোর পরই দেখেন পেনড্রাইভ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেছে। আপনি যে ফাইল বা ফোল্ডারটি নিয়ে গিয়েছিলেন, সেটি আর খুলছে না। অর্থা ৎ সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। আপনি আর প্রিন্ট করতে পারছেন না। তখন কী করবেন? তখন আপনার পেনড্রাইভটি নিয়ে ভালো কোনো কম্পিউটারে (যে কম্পিউটারে ভাইরাস নেই এবং লেটেস্ট অ্যান্টি-ভাইরাস আছে) স্ক্যান করবেন। স্ক্যান করার সময় দেখবেন, অনেক ভাইরাস ধরা পড়ছে এবং অ্যান্টি-ভাইরাস সেগুলোকে ডিলিট করছে। স্ক্যান শেষ হওয়ার পর অনেক সময় দেখা যায়, পেনড্রাইভ ফাঁকা। তবে পেনড্রাইভে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে প্রোপার্টিজে গেলে দেখা যায়, পেনড্রাইভে কিছু ডেটা আছে অর্থা ৎ পেনড্রাইভ কিছু মেমোরি দখল করে আছে, কিন্তু সেগুলো দেখা যাচ্ছে না। সেগুলো দেখার জন্য My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন System Restore-এ ক্লিক করে Turn off System Restore on all drives-এ ঠিক চিহ্ন দিয়ে ok-তে ক্লিক করুন। নতুন একটি উইন্ডো এলে সেটির yes-এ ক্লিক করুন। এখন My Computer-এর মেন্যুবারের Tools থেকে Folder options সিলেক্ট করে View-তে ক্লিক করুন। এখন Show hidden files and folders-এ ঠিক চিহ্ন দিন এবং Hide extensions.. ও Hide protected.. বক্স থেকে ঠিক চিহ্ন তুলে দিয়ে OK করুন। এখন দেখবেন পেনড্রাইভে আপনার ফাইল, ফোল্ডারগুলো লুকায়িত (হিডেন) অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এবং সেগুলো ভালো আছে, নষ্ট হয়নি।
পেনড্রাইভে করে কোনো ফাইল বা ফোল্ডার অন্য কোনো কম্পিউটারে নিতে চাইলে সেগুলো জিপ করে নেবেন। সাধারণত জিপ করা ফাইল বা ফোল্ডারে ভাইরাস আক্রমণ করে না। কোনো ফাইল বা ফোল্ডার জিপ করতে চাইলে সেটিতে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Send to Compressed (Zipped)-এ ক্লিক করুন। দেখবেন জিপ হয়ে গেছে। আবার আনজিপ করতে চাইলে সেটিতে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Extract All-এ ক্লিক করে পর পর দুবার Next-এ ক্লিক করুন। দেখবেন আনজিপ হয়ে গেছে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, September 13, 2011

সহজে অ্যাড্রেসবারে যাওয়া

কিবোর্ড দিয়ে দ্রুত কাজ করা যায়। ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যারগুলোর ওয়েব ঠিকানা লেখার জায়গায় (অ্যাড্রেসবার) দ্রুত যাওয়া যায় একটি কি চেপেই। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ও মজিলা ফায়ারফক্সে F6 চাপলেই হয়। আর অপেরার ক্ষেত্রে F8 চাপতে হয়। আবার CTRL+L চেপেও অ্যাড্রেসবারে যাওয়া যায়।
মো. আমিনুর রহমান

আপনার ইয়াহু মেইলে কে প্রবেশ করেছিল?

আপনার ইয়াহু ই-মেইলের গোপন নম্বর (পাসওয়ার্ড) কেউ জেনে গেলে মাঝেমধ্যে আপনার ই-মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করতে পারে। কেউ আপনার ই-মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করেছে কি না, কিংবা কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করেছিল, এটা জানতে ইয়াহু মেইলে লগইন করে আপনার নামের ওপর ক্লিক করে Account Information নির্বাচন করুন। গোপন নম্বর দিতে বললে পুনরায় দিয়ে লগইন করুন। এখন নতুন পেজ এলে বাঁ পাশ থেকে Sign-In and Security-এর সবার নিচের View your recent login activity-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত ১০ বার কোন দেশ থেকে, কত তারিখ, কতটার সময়, ব্রাউজার না ইয়াহু মেসেঞ্জার দিয়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছে এবং তখন কী কী কাজ করা হয়েছে। ডান পাশে Location থেকে IP Address সিলেক্ট করে দিলে দেখতে পাবেন, কোন কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে এবং নিচে View More-এ ক্লিক করলে গত ২০ বার কোন কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে, তাও দেখতে পাবেন।
আপনি যদি সব সময় একই কম্পিউটার থেকে লগইন করে থাকেন এবং একই প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশের ঠিকানা একই থাকবে। তখন যদি দেখেন, ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন, ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সার্ভিস প্রোভাইডারের, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে, কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। ইয়াহু মেইলের বিভিন্ন সংস্করণ আছে, যেমন—ক্ল্যাসিক, বিটা ইত্যাদি। তাই বিভিন্ন ভার্সনে এই অপশনগুলো বিভিন্ন জায়গায় থাকতে পারে। একটু খোঁজাখুঁজি করলেই হয়তো পেয়ে যাবেন। 
—মো. আমিনুর রহমান

Wednesday, September 7, 2011

টিক ট্যাক টোয়ে গেম তৈরির প্রোগ্রাম


মৃত ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিন

আপনার কোনো ফ্রেন্ড বা আত্মীয়স্বজন মারা গেলে তার যদি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তাহলে তা বন্ধ করে দিতে পারেন। মৃত ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য http://www.facebook.com/help/contact.php?show_form=deceased ঠিকানায় যান। সেখানে একটি ফরম আছে, সেটি পূরণ করে পাঠান। তাহলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যাচাই করার পর ওই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেবে। তবে সাবধান, ভালো মানুষকে মানে জীবিত ব্যক্তিকে মেরে ফেলতে যাবেন না। তাহলে কিন্তু ক্ষতি আপনারই হবে।
মো. আমিনুর রহমান

Sunday, September 4, 2011

ফেসবুকে Pending ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেখুন

ফেসবুকে আপনি কাকে কাকে Add Request পাঠিয়েছেন তা ফেসবুকের আগের সেটিংসে দেখা যেত। কিন্তু ফেসবুকের বর্তমান সেটিংসে এই অপশনটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে আপনি চাইলে একটি অ্যাপলিকেশনের সাহায্যে খুব সহজেই দেখতে পারেন আপনি কার কার কাছে Add Request পাঠিয়েছেন। http://apps.facebook.com/friendrequests ঠিকানায় গিয়ে Allow-এ ক্লিক করুন। তাহলেই দেখতে পাবেন আপনার পাঠানো সব Pending Request.
মো. আমিনুর রহমান

কম্পিউটারের গতি বাড়াতে...

কম্পিউটারের গতি বাড়ানো যায় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে। তেমন কিছু বিষয় নিচে দেওয়া হলো—
১. কম্পিউটারে কখনো Theme ইনস্টল করা উচিত নয়।থিম কম্পিউটারকে অনেক ধীর করে দেয়।
২. কম্পিউটারে অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপার, কথা বলা ঘড়ি (ভয়েস ঘড়ি) ইত্যাদি ইনস্টল করবেন না। এগুলো কম্পিউটারকে ধীর করে দেয়।
৩. Recycle bin সব সময় ফাঁকা রাখুন। Recycle bin-এ কোনো ফাইল রাখবেন না। Recycle bin-এ ফাইল রাখলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়।
৪. Start থেকে Run-এ ক্লিক করে এক এক করে Prefetch, temp, %temp%, cookies, recent লিখে ok করুন। ফোল্ডারগুলো খুললে সবগুলো ফাইল মুছে ফেলুন (ডিলিট)। 
কোনো ফাইল না মুছলে সেটি বাদ দিয়ে বাকিগুলো মুছে ফেলুন।
৫. কিছু সময় পরপর Start থেকে Run-এ ক্লিক করে tree লিখে ok করুন। এতে র‌্যামের কার্যক্ষমতা বাড়বে।
৬. ডেস্কটপে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন ডান পাশ থেকে Settings-এ ক্লিক করে ১৬ বিট নির্বাচন করে ok করুন।
৭. আবার Start থেকে Run-এ ক্লিক করে msconfig লিখে ok করুন। এখন ডান পাশের Services-এ ক্লিক করুন। যে প্রোগ্রামগুলো সব সময় কাজে লাগে না, সেগুলোর বাঁ পাশ থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন। এখন Startup-এ ক্লিক করে বাঁ পাশের সবগুলো টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে ok করুন। Restart দিতে বললে Restart দিন।
৮. এখন My Computer খুলে সি ড্রাইভের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। তারপর Disk Cleanup-এ ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। নতুন উইন্ডো এলে বাঁ পাশের সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে ok করুন। এভাবে প্রত্যেকটি ড্রাইভ ক্লিন করতে পারেন।
৯. Start থেকে Control Panel-এ যান। Automatic Updates-এ ডবল ক্লিক করুন। Turn off Automatic Updates নির্বাচন করে ok তে ক্লিক করুন। যাঁরা কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, এটা তাঁদের জন্য প্রযোজ্য।
১০. My Computer-এর ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন Advanced Settings সিলেক্ট করে Performance-এর নিচে Settings-এ ক্লিক করুন। এখন Customs সিলেক্ট করে সবার নিচের বক্সের ঠিক চিহ্নটি রেখে বাকি সবগুলো তুলে দিয়ে ok করুন।
১১. আবার My Computer-এর ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন Advanced সিলেক্ট করে নৃিচে ডান পাশে Error Reporting-এ ক্লিক করুন। Disable সিলেক্ট করে ok করুন।
১২. My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন System Restore-এ ক্লিক করে Turn off System Restore on all drives-এ ঠিক চিহ্ন দিয়ে ok তে ক্লিক করুন। নতুন একটি উইন্ডো এলে সেটির yes-এ ক্লিক করুন।
ডেস্কটপে যত কম আইকন রাখা যায় ততই ভালো।
১৩. Ctrl + Alt + Delete চেপে বা Task bar-এ রাইট ক্লিক করে Task Manager ওপেন করুন। তারপর Processes-এ ক্লিক করুন। অনেকগুলো প্রোগ্রামের তালিকা দেখতে পাবেন। এর মধ্যে বর্তমানে যে প্রোগ্রামগুলো কাজে লাগছে না, সেগুলো সিলেক্ট করে End Process-এ ক্লিক করে বন্ধ করে দেন। এই প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে কিন্তু অপারেটিং সিস্টেমের প্রোগ্রামও আছে। যদি ভুল করে কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেন এবং এতে যদি অপারেটিং সিস্টেমের কোনো সমস্যা হয়, তাহলে কম্পিউটার Restart দিন। ঠিক হয়ে যাবে।
১৪. কম্পিউটারের র‌্যাম কম থাকলে কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে কম্পিউটার কিছুটা ফাস্ট করা যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়ানোর জন্য প্রথমে My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে properties-এ যান। এখন Advance-এ ক্লিক করে performance-এর settings-এ ক্লিক করুন। আবার Advance-এ ক্লিক করুন। এখন change-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটির Initial size ও Maximum size-এ আপনার ইচ্ছামতো size লিখে set-এ ক্লিক করে ok দিয়ে বেরিয়ে আসুন। তবে Initial size-এ আপনার কম্পিউটারের র‌্যামের size-এর দ্বিগুণ এবং Maximum size-এ র‌্যামের size-এর চারগুণ দিলে ভালো হয়।
১৫. প্রথমে Control panel-এ যান। Control panel থেকে Add or Remove-এ ডবল ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে Add/Remove windows components-এ ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটির বাঁ পাশ থেকে যে প্রোগ্রামগুলো আপনার কাজে লাগে না, সেগুলোর পাশের টিক চিহ্ন তুলে দিন, তারপর Accessories and Utilities নির্বাচন করে Details-এ ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটি থেকে একই পদ্ধতিতে যে প্রোগ্রামগুলো আপনার কাজে লাগে না সেগুলোর পাশের টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে ok করুন। এখন next-এ ক্লিক করুন। Successful meassage এলে Finish-এ ক্লিক করুন। Restart করতে বললে Restart করুন।
১৬. শুধু আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করুন। যে সফটওয়্যারগুলো সব সময় কাজে লাগে না, সেগুলো কাজ শেষ করে আবার আন-ইনস্টল করে দিন।
১৭. হার্ডডিস্কের ১৫ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রাখলে এবং নিয়মিত ডিফ্রাগমেন্ট করলে কম্পিউটার অনেক ফাস্ট থাকে।
হার্ডডিস্কের ফাঁকা স্থানের পরিমাণ যত বেশি থাকে ততই ভালো।
১৮. সফটওয়্যার ইনস্টল করে ব্যবহার করার চেয়ে পোর্টেবল (বহনযোগ্য) সফটওয়্যার ব্যবহার করলে কম্পিউটার বেশি ফাস্ট থাকে।
—মো. আমিনুর রহমান