Wednesday, June 27, 2012

ই-মেইলের পাসওয়ার্ড কি অন্য কেউ জানে?

আপনার মেইলের পাসওয়ার্ড কেউ হয়তো জেনে গেছে এবং সে মাঝেমধ্যে আপনার মেইল খোলে। আবার হয়তো আপনার মেইল ঠিকানা হ্যাকড হয়ে গিয়েছিল, কোনোভাবে হয়তো পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন। কিন্তু এখন কীভাবে জানবেন কে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করেছিল অর্থাৎ কোন আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা থেকে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করা হয়েছিল?
জিমেইলের ক্ষেত্রে: প্রথমে জিমেইল ঠিকানায় লগইন করে সবার নিচে Last account activity-এর ডান পাশে Details-এ ক্লিক করুন। নতুন একটি পৃষ্ঠা আসবে। সেখানে আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত ১০ বার কখন, কত তারিখ, কোন আইপি ঠিকানা (দেশের নামসহ) থেকে আপনার জিমেইলে প্রবেশ করা হয়েছে, সবগুলোর তালিকা আসবে। আপনি যদি সবসময় একই কম্পিউটার থেকে লগইন করে থাকেন এবং একই সংযোগদাতার ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশের ঠিকানা একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সট বক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সংযোগদাতা প্রোভাইডারের, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।

ইয়াহুর ক্ষেত্রে: প্রথমে ইয়াহু মেইলে লগইন করে আপনার নামের ওপর ক্লিক করে Account Information নির্বাচন করুন। পাসওয়ার্ড দিতে বললে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। এখন নতুন পেইজ এলে বাঁ পাশ থেকে Sign-In and Security-এর সবার নিচের View your recent login activity-তে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত ১০ বার কোন দেশ থেকে, কত তারিখ, কতটার সময়, ব্রাউজার না ইয়াহু মেসেঞ্জার দিয়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছে এবং তখন কী কী কাজ করা হয়েছে। ডান পাশে Location থেকে IP Address নির্বাচন করে দিলে দেখতে পাবেন কোন কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে। এবং নিচে View More-এ ক্লিক করলে গত ২০ বার কোন কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে, তা-ও দেখতে পাবেন। আপনি যদি সবসময় একই কম্পিউটার থেকে লগইন করে থাকেন এবং একই কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশের ঠিকানা একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সট বক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোনো সার্ভিস প্রোভাইডারের, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
ইয়াহু মেইলের বিভিন্ন সংষ্করণ আছে যেমন ক্ল্যাসিক, বিটা ইত্যাদি। তাই বিভিন্ন ভার্সনে এই অপশনগুলো বিভিন্ন জায়গায় থাকতে পারে। একটু খোঁজাখুঁজি করলেই হয়তো পেয়ে যাবেন।
—মো. আমিনুর রহমান

Tuesday, June 26, 2012

পেনড্রাইভ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য অনেকক্ষেত্রেই দায়ী পেনড্রাইভ। তথ্য বা ডেটা স্থানান্তরের জন্য যখন কম্পিউটারে পেনড্রাইভ লাগানো হয় তখন অনেক সময় পেনড্রাইভ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু (অটোরান) হয়ে যায় এবং পেনড্রাইভে ভাইরাস থাকলে তা কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা যদি পেনড্রাইভের অটোরান বন্ধ করে দিই এবং পেনড্রাইভ না খুলে টাস্কবারের নেভিগেটর থেকে বা ফোল্ডার অপশনের মাধ্যমে পেনড্রাইভ ব্যবহার করি, তাহলে কম্পিউটারে ভাইরাস তুলনামূলকভাবে কম ছড়াবে।
টাস্কবার থেকে নেভিগেটর করে পেনড্রাইভ ব্যবহার করার জন্য প্রথমে টাস্কবারে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Toolbars থেকে New Toolbar-এ যান। সেখান থেকে My computer নির্বাচন করে ok-তে ক্লিক করুন। দেখবেন টাস্কবারে My computer-এর একটি লিংক এসেছে। এখন কোনো ফোল্ডার বা ফাইলে যেতে চাইলে বা কোনো কিছু ওপেন, কপি, কাট, পেস্ট, ডিলিট করতে চাইলে সেই লিংকের মাধ্যমে গিয়ে ফাইলে ডান বাটনে ক্লিক করে করবেন।
পেনড্রাইভ কখনো ডবল ক্লিক করে খুলবেন না। অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্কেন করে ফোল্ডার অপশনের সাহায্যে বা মাই কম্পিউটার ওপেন করে অ্যাড্রেসবারের পপ-আপ মেনুতে ক্লিক করে পেনড্রাইভ নির্বাচন করে খুলুন এবং অ্যান্টিভাইরাসের অটো প্রটেকটেড অপশনটি চালু করে রাখুন। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, June 23, 2012

ফেসবুকের টাইমলাইন বাদ দিন!

ফেসবুক বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুক টাইমলাইন নামে নতুন একটি ফিচার যোগ করেছে। অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইলে ফেসবুক টাইমলাইন-সুবিধা যুক্ত করেছেন। এটির অনেক সুবিধাও আছে।
তবে যাঁদের কম্পিউটারে ইন্টারনেটের গতি কম, তাঁদের জন্য এটি অনেক ঝামেলার মনে হয়। কারও প্রোপাইলের অনেক আগের তথ্য দেখতে চাইলে বারবার শুধু ইন্টারনেট ব্রাউজার হ্যাং করে। অনেকেই আবার না বুঝে ফেসবুক টাইমলাইন যুক্ত করে ফেঁসে গেছেন। এখন আর এটি বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। প্রোপাইল থেকে টাইমলাইন বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ ফেসবুক দিচ্ছে না। তবে আপনি চাইলে আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের সঙ্গে কয়েক কিলোবাইটের ছোট একটি সফটওয়্যার যুক্ত করে এটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য প্রথমে www.timelineremove.com ঠিকানায় গিয়ে ওই পেইজের মাঝখানের ডান পাশে click here বাটনে ক্লিক করুন। কয়েক কিলোবাইটের ছোট একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড হয়ে ইনস্টল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে। তারপর Install-এ ক্লিক করলেই সফটওয়্যারটি আপনার ব্রাউজারে ইনস্টল হয়ে যাবে।
এখন থেকে এই ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক টাইমলাইন অ্যাকটিভ করা প্রোপাইল বা ফ্যান পেইজগুলো দেখলে সেগুলো ফেসবুকের আগের সেটিংসের মতো দেখাবে। 
—মো. আমিনুর রহমান

Saturday, June 9, 2012

আউটসোর্সিং : ফেসবুক থেকে আয় করুন

বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে যতক্ষণ সময় থাকেন, তার অনেকটাই কাটান ফেসবুকে। অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের ব্যবসায়িক পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয় ফেসবুকে। ফেসবুকে এখন ওয়েবসাইটের মতো করে ফেসবুক ফ্যান পেজ তৈরি করা যায়। এতে ভিডিও, ছবি, ওয়েব ঠিকানাসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করা যায়। যখন ব্যবহারকারী এ পেজগুলোতে লাইক দেন, তখন এই পেজগুলো ফেসবুক ওয়ালে দেখা যায়। যখনই এই পেজে কোনো কিছু পোস্ট করা হয়, তখনই এ পেজগুলো ফেসবুক ওয়ালে ব্যবহারকারীদের নজরে আসে। এতে এই পেজে থাকা বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন হয়। এতে পণ্যের বিজ্ঞাপন যেমন হয়, তেমনি ওয়েবসাইটের ভিজিটরও বেড়ে যায়। ফেসবুকে ফ্যান পেজ বিনা মূল্যে তৈরি করা যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ফেসবুক ফ্যান পেজের জন্য ফেসবুক লাইক কেনে। মানে, বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে তাদের ফ্যান পেজে অনেক ফেসবুক লাইক কালেক্ট করে দিতে হয়। এতে অল্প সময়ে অল্প ব্যয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রচারও ভালো হয়। আর ফ্রিল্যান্সাররাও এজাতীয় অনেক কাজ পেয়ে থাকেন। এসব কাজ করার জন্য তেমন দক্ষতারও প্রয়োজন হয় না। শুধু ফেসবুক সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকলেই চলে। আপনার ফেসবুক ওয়ালে এই ফ্যান পেজগুলো পোস্ট করলেন লাইক দেওয়ার জন্য, বন্ধুদের আমন্ত্রণ করলেন, বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করলেন লাইক দেওয়ার জন্য—এতেই হয়ে যায়।
ফেসবুক-সম্পর্কিত যে কাজ/জবগুলো আউটসোর্সিং সাইটে পাওয়া যায়, সেগুলো হলো কাউকে (কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য) ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া, ফ্যান পেজ তৈরি করে দেওয়া, ফেসবুক লাইক কালেক্ট করে দেওয়া, ফেসবুকে ভোট দেওয়া, ভোট কালেক্ট করে দেওয়া ইত্যাদি। কোনো আউটসোর্সিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেসবুক লিখে সার্চ দিলেই এই জবগুলো দেখতে পাবেন। 
—মো. আমিনুর রহমান