Saturday, February 26, 2011

ফেসবুকের হালনাগাদ মোবাইল ফোনে

সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে থাকা আপনার অ্যাকাউন্টের হালনাগাদ তথ্য জানা যাবে মোবাইল ফোন থেকে। জানার জন্য প্রথমে ফেসবুকে ঢুকে (লগ-ইন) ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ গিয়ে ওপরে Mobile-এ ক্লিক করুন। আবার www.facebook.com/mobile/?settings ঠিকানায়ও যেতে পারেন। এখন Register for Facebook Text Messages লিংকে ক্লিক করুন। Mobile Carrier-এ বাংলালিংক বা রবি নির্বাচন করে Next করুন। বাংলালিংক বা রবির নম্বর থেকে F লিখে 32665 নম্বরে এসএমএস পাঠান। ফিরতি মেসেজে আপনার কাছে একটি সাংকেতিক নম্বর আসবে, সেটি কোড বক্সে লিখুন। আপনার মোবাইল নম্বরটি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে যোগ করতে না চাইলে Add this phone number to my profile বক্স থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Next করুন। এখন http://www.facebook.com/mobile/?settings ঠিকানায় থেকে Already received a confirmation code? লিংকে ক্লিক করে কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Confirm-এ ক্লিক করুন। এখন কী কী নোটিফিকেশনের মেসেজ মোবাইল ফোনে পেতে চান, সেগুলো নির্বাচন করে দিন। (আপনার মোবাইল নম্বরটি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে যোগ হয়ে যেতে পারে, বাদ দিতে চাইলে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ইনফোতে গিয়ে এডিটে ক্লিক করে বাদ দিতে পারবেন।) এখন থেকে ফেসবুকের নোটিফিকেশনগুলো এসএমএসের মাধ্যমে আপনাকে জানানো হবে এবং এগুলোর জন্য কোনো টাকা খরচ হয় না।

Wednesday, February 16, 2011

আপনার ই-মেইলে অন্যকেউ?

আপনার মেইল ঠিকানাটি হয়তো হ্যাক্ড হয়ে গিয়েছিল। আবার যেকোনোভাবে হয়তো সেটি পুনরুদ্ধার (রিকভার) করতে পেরেছেন। আপনার মেইলের পাসওয়ার্ড কেউ হয়তো জেনে গেছে এবং সে মাঝেমধ্যে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করে। এখন কীভাবে জানবেন যে কে হ্যাক করেছিল বা কে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করেছিল অর্থাৎ কোন আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা থেকে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করেছিল? এটি জানার জন্য জিমেইল ঠিকানায় ঢুকুন। সবার নিচে Last account activity-র ডান পাশে Details-এ ক্লিক করুন। নতুন একটি পৃষ্ঠা আসবে। সেখানে আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত দশবার কখন, কত তারিখ, কোন আইপি ঠিকানা (দেশের নামসহ) থেকে আপনার জিমেইলে প্রবেশ করা হয়েছে—সবগুলোর তালিকা আসবে। আপনি যদি সব সময় একই কম্পিউটার থেকে লগ-ইন করে থাকেন এবং একই প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশের ঠিকানা একই থাকবে। তখন যদি দেখেন যে ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois-এ ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সংযোগদাতার, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সেবা দেওয়া হচ্ছে।

Saturday, February 12, 2011

ই-মেইলটি এসেছে কোত্থেকে?

আপনার ই-মেইল ঠিকানায় একটি মেইল এসেছে। কীভাবে জানবেন সেটি কোত্থেকে এসেছে, মানে কোন আইপি ঠিকানা থেকে এসেছে?
ইয়াহুর ক্ষেত্রে
ইয়াহুর ক্ল্যাসিক সংস্করণের ক্ষেত্রে মেইলে ক্লিক করে সবার নিচে ডান পাশে Full Headers-এ ক্লিক করুন। আর নতুন সংস্করণের ক্ষেত্রে মেইলের সাবজেক্টের ওপর মাউস রেখে ডান ক্লিক করে সবার নিচে View Full Header অপশনটিতে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে নিচের দিকে দেখবেন লেখা আছে Received: from []. এই আইপি ঠিকানাটিই হলো মেইল প্রেরকের আইপি ঠিকানা।
জিমেইলের ক্ষেত্রে
ইনবক্সের কোনো একটি ই-মেইল খুলেডান পাশের Reply-এর পাশের অ্যারোতে ক্লিক করে Show Original-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে নিচের দিকে দেখবেন, লেখা আছে Received: from []. এই আইপি ঠিকানাটিই হলো সেন্ডারের আইপি ঠিকানা।এখন ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois-এ ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন ইন্টারনেট সেবাদাতার। তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদিও পাবেন।
ওপরের পদ্ধতি অনুসারে আইপি ঠিকানা খুঁজতে সমস্যা হলে ইয়াহু থেকে Full Header পেইজের লেখাগুলো কপি করে বা জিমেইল থেকে Show Original পেইজের লেখাগুলো কপি করে www.ip-adress.com/trace_email ঠিকানায় গিয়ে To Trace An Email বক্সে পেস্ট করে Trace Email Sender বাটনে ক্লিক করে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এবং একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।

Thursday, February 10, 2011

ফেসবুকের নিরাপত্তা বাড়াবেন যেভাবে!

আজকাল প্রায়ই ই-মেইল ঠিকানা, ফেসবুক পরিচিতি (আইডি) হ্যাকড (বেদখল) হওয়ার কথা শোনা যায়। আপনি হয়তো অনেক দিন ধরে ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুকে আপনার অনেক ছবি, তথ্য ও বন্ধুরা আছে। কিন্তু আপনার ফেসবুক আইডি যদি হ্যাকড হয়ে যায়, তখন সবকিছুই হারিয়ে যাবে। যাঁরা হ্যাকিংয়ের কবলে পড়েছেন, তাঁদের ভালোই জানা আছে, তখন কী সমস্যায় পড়তে হয়। তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুকে আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়াতে পারেন। এতে হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে এবং হ্যাকড হলেও আপনি আপনার ফেসবুক আইডি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
ফেসবুকের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য প্রথমে www.facebook.com/update_security_info.php?wizard=1&src=netego ঠিকানায় যান। সেখানে গেলেই বুঝতে পারবেন আপনার ফেসবুক আইডির বর্তমান নিরাপত্তা সবল না দুর্বল। সেখানে দেখবেন তিনটি ধাপ আছে। স্টেপ-১: এখানে একাধিক ই-মেইল ঠিকানা যোগ করুন। স্টেপ-২: এখানে আপনার মোবাইল ফোন যোগ করুন (এখন বাংলালিঙ্কের নম্বর দেওয়ার সুযোগ আছে) । স্টেপ-৩: এখানে নিরাপত্তা প্রশ্ন যোগ করুন। এখন ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করে ইউজারনেমও দিতে পারেন এবং নিচে Account Security-এর ডান পাশের change-এ ক্লিক করে চেকবক্সগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে Save-এ ক্লিক করুন। এখন ফেসবুক থেকে বেরিয়ে (লগ-আউট) আবার ফেসবুকে ঢুকুন (লগ-ইন)। দেখবেন Name New Computer নামে একটি পেজ এসেছে। সেখানে Computer name বক্সে কোন নাম লিখে Continue-এ ক্লিক করুন। এখন থেকে প্রতিবারই আপনার ফেসবুক আইডিতে লগ-ইন করার সময় আপনার ই-মেইল ঠিকানায় এবং মোবাইল নম্বরে একটি বার্তা যাবে এবং তাতে লেখা থাকবে কখন, কী নাম দিয়ে, কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করা হয়েছে। আপনি যদি এই নাম দিয়ে এই সময় প্রবেশ না করে থাকেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন।
মনে রাখবেন, হ্যাকাররা প্রথমে ই-মেইল আইডি হ্যাক করার চেষ্টা করে। ই-মেইল আইডি হ্যাক করতে পারলে খুব সহজে ফেসবুক আইডিও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে। ওপরের পন্থাগুলো অবলম্বন করলে আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাকড হলেও পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। এমনকি আপনার সব ই-মেইল আইডি হ্যাকড হলেও বা আপনার ফেসবুকের ই-মেইল আইডি বদলালেও মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে তা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।

Thursday, February 3, 2011

কম্পিউটারে ভাইরাস!

কম্পিউটার ভাইরাস কী? এটি কী করে? ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম। এটি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়ায়। এটি কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়, অনেক প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার নষ্ট করে ফেলে, কম্পিউটারে কাজ করতে সমস্যা সৃষ্টি করে, ভুল ইনফরমেশন দেয়। তবে খুশির সংবাদ হলো ভাইরাস কম্পিউটারে থাকলেই ক্ষতি করে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তা চালানো (রান) হয়। অর্থাৎ ভাইরাস দিনের পর দিন কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সংগ্রহ করে কম্পিউটারে জমা করে রাখেন।
ভাইরাসযুক্ত ফাইলকে আপনি কপি, কাট, ডিলিট ইত্যাদি করতে পারবেন, এতে আপনার কম্পিউটারের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু সমস্যা হলো ভাইরাসযুক্ত ফাইলকে আপনি কখনো দুই ক্লিক করতে পারবেন না বা ভাইরাসযুক্ত ফাইলের ওপর মাউস রেখে কখনো ডান বাটনে ক্লিক করে ওপেন-এ ক্লিক করবেন না। যদি কখনো ভুলবশত ভাইরাসযুক্ত ফাইলে ডবল ক্লিক করে ফেলেন বা ভাইরাসে আপনার কম্পিউটার আক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। আপনার কম্পিউটারের সি ড্রাইভ থেকে প্রয়োজনীয় সব ফাইল সরিয়ে পুনরায় আবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দিয়ে দেন। তাহলে দেখবেন সব সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। ভাইরাস আমাদের যতটা না ক্ষতি করে, তার চেয়ে বেশি আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। কম্পিউটার থাকলে ভাইরাস থাকবেই এবং ভাইরাস মাঝেমধ্যে কম্পিউটারে আক্রমণ করবেই, এটাই স্বাভাবিক। তবে সব সময় লেটেস্ট অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করবেন এবং কয়েক দিন পর পর তা হালনাগাদ করবেন, যাতে কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ করতে না পারে। একবার ভাইরাস আক্রমণ করে ফেললে তার সমাধান একটাই। পুনরায় আবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেওয়া। ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়ায় পেনড্রাইভের মাধ্যমে। তাই পেনড্রাইভ ব্যবহারে সতর্ক হোন।

Wednesday, February 2, 2011

পেনড্রাইভ ব্যবহারে সতর্কতা

কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী পেনড্রাইভ। তথ্য বা ডেটা স্থানান্তরের জন্য যখন কম্পিউটারে পেনড্রাইভ লাগানো হয়, তখন অনেক সময় পেনড্রাইভ অটো ওপেন হয়ে যায় এবং পেনড্রাইভে ভাইরাস থাকলে তা কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা যদি পেনড্রাইভের অটো প্লে বন্ধ করে দিই এবং টাস্কবারের নেভিগেটর থেকে বা ফোল্ডার অপশনের মাধ্যমে পেনড্রাইভ ব্যবহার করি, তাহলে কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়াবে না।
পেনড্রাইভের অটো প্লে বন্ধ করার জন্য প্রথমে Start মেনু থেকে Run-এ ক্লিক করে gpedit.msc লিখে Ok-তে ক্লিক করুন। যে উইন্ডোটি আসবে, সেটিতে User configuration-এর বাঁ পাশের (+)-এ ক্লিক করে Administrative Templates-এর বাঁ পাশের (+)-এ ক্লিক করুন। তারপর System-এ ক্লিক করলে দেখবেন ডান পাশের উইন্ডোতে Turn off Autoplay নামে একটি লেখা এসেছে। সেটিতে ডবল ক্লিক করে Enable নির্বাচন করে Turn off Autoplay on অংশে All drives নির্বাচন করে Ok করে বেরিয়ে আসুন।
টাস্কবার থেকে নেভিগেটর করে পেনড্রাইভ ব্যবহার করার জন্য প্রথমে টাস্কবারে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Toolbars থেকে New Toolbar-এ যান। সেখান থেকে My computer নির্বাচন করে Ok-তে ক্লিক করুন। দেখবেন টাস্কবারে My computer-এর একটি লিংক এসেছে। এখন কোনো ফোল্ডার বা ফাইলে যেতে চাইলে বা কোনো কিছু ওপেন, কপি, কাট, পেস্ট, ডিলিট করতে চাইলে সেই লিংকের মাধ্যমে গিয়ে ফাইলে ডান বাটনে ক্লিক করলে ভাইরাস ছড়াবে না।
পেনড্রাইভে করে কোনো ফাইল বা ফোল্ডার অন্য কোনো কম্পিউটারে নিতে চাইলে সেগুলো জিপ করে নেবেন। জিপ করা ফাইল বা ফোল্ডারে ভাইরাস আক্রমণ করে না। কোনো ফাইল বা ফোল্ডার জিপ করতে চাইলে সেটিতে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Send to Compressed (Zipped)-এ ক্লিক করুন। দেখবেন, জিপ হয়ে গেছে। আবার আনজিপ করতে চাইলে সেটিতে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Extract All-এ ক্লিক করে পর পর দুবার Next-এ ক্লিক করে দেখবেন, আনজিপ হয়ে গেছে।
কম্পিউটারে সব সময় লেটেস্ট অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করবেন এবং কয়েক দিন পর পর তা হালনাগাদ করবেন, যাতে ভাইরাস আক্রমণ করতে না পারে। একবার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেলে আর অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করে লাভ নেই। তখন পুনরায় আবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দিতে হবে।