Wednesday, September 22, 2010

পলিটেকনিকে ভর্তি

এবারই প্রথম অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে ভর্তি করা হচ্ছে। অনলাইনে আবেদন করে টেলিটক সংযোগের মাধ্যমে ২০০ টাকা ফি পাঠিয়ে পরীক্ষার্থীরা আবেদন করেছেন। গত ২৩ জুলাই প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ২৯ জুলাই অনলাইনে ফল প্রকাশিত হয়েছে। ১ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হয়েছে এবং ১১ আগস্ট শুরু হয়েছিল অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির প্রক্রিয়া।দ্বিতীয় শিফটের জন্য আবার ২০০ টাকা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হয়েছে এবং এই শিফটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৩ সেপ্টেম্বর। ৮ সেপ্টেম্বর অনলাইনে দ্বিতীয় শিফটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে এবং ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর শুরু হবে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করা।কিন্তু পলিটেকনিকের দুই শিফটের কোনো শিফটেরই অপেক্ষমাণ তালিকার সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়নি। ট্র্যাক নম্বর দিয়ে অনলাইনে ফলাফল জানতে চাইলে লেখা আসে—আপনি অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন। অপেক্ষমাণ তালিকায় কত নম্বরে, সেটা জানা যাচ্ছে না। প্রথম শিফটের অপেক্ষমাণ তালিকার চার-পাঁচবার ফলাফল প্রকাশিত হলেও প্রতিবারই ফলাফল জানতে চাইলে লেখা আসে—আপনি এখনো অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন। অপেক্ষমাণ তালিকার ক্রমিক নম্বর কেন দেওয়া হচ্ছে না, সেটা বোধগম্য নয়। অপেক্ষমাণ তালিকায় প্রথম দিকে থাকলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়, কিন্তু শেষের দিকে থাকলে ভর্তির সুযোগ নেই বললেই চলে। একজন শিক্ষার্থী আর কত দিন অপেক্ষা করবেন? তিনি যদি জানতে পারেন তাঁর ক্রমিক নম্বর কত এবং সেটা যদি সবার শেষে হয়, তাহলে আর অপেক্ষা না করে অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এদিকে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ভর্তির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। এমনও শোনা যাচ্ছে, ৫০-৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, শিগগিরই অপেক্ষমাণ তালিকার ক্রমিক নম্বর প্রকাশ করে তাঁদের এই অনিশ্চিত অবস্থার অবসান ঘটাতে।
মো. আমিনুর রহমান
শাবিপ্রবি, সিলেট।

No comments:

Post a Comment