Tuesday, August 10, 2010

নৈতিকতার শিক্ষা

গত ২১ জুলাই প্রথম আলোয় ‘শেখালেই কি উন্নত মানুষ হবে?’ শিরোনামে লেখাটির জন্য লেখক রুখসানা তাজীনকে ধন্যবাদ। যৌন নিপীড়ক বলে প্রমাণিত হওয়ার পরও যখন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষকই থেকে যান তখন মনে প্রশ্ন জাগে বিদ্যালয়ে থাকতে যেসব নীতিবাক্য পড়েছিলাম, যেমন: দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য—সেগুলো কি শুধুই পরীক্ষা পাসের জন্য, নাকি জীবনের জন্য। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিক্ষক এমন কাজ করেন আর কিছু শিক্ষক তাঁকে রক্ষায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন তখন সেই শিক্ষকদের নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেডিকেলে পড়তে দেখা যায়। তাঁরাই যখন পাস করে কর্মক্ষেত্রে নিয়োগ পান তখন তাঁদের মধ্যে থেকেই অনেকে সরকারি অফিসের কাজ ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন, ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে শুধু সেই কোম্পানির ওষুধ লেখেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে চুক্তি করে শুধু সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠান, তখন মনে প্রশ্ন জাগে—শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য কী?
শিশুরা পরিবেশ থেকে শেখে। পরিবার, সমাজ এবং বিদ্যালয়ও থেকে শেখে। কিন্তু পরিবারই বা শিশুকে কতটুকু সুশিক্ষা দিতে পারছে। তারা কোথায় থেকে শিখেছে। আমাদের দেশে তো প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কোথাও নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া হয় না। তাহলে একটা শিশু কীভাবে নৈতিকতার শিক্ষা লাভ করবে। প্রাকৃতিকভাবে একটা শিশু নৈতিকতার শিক্ষা লাভ করবে এমনটা আশা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বাধ্যতামূলক নৈতিকতার শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, সেটা একটু ভেবে দেখবেন কি?
মো. আমিনুর রহমান।

No comments:

Post a Comment